মাইকিং করে জাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

জাবি টুডে


ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় একাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত এবং অন্তত তিনটি মোটরগাড়ি ভাঙচুর করা হয় ।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় এক বাসিন্দাকে আটকে চাঁদা দাবি করায় তারা এ হামলা চালিয়েছে।

আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত তিনটি মোটরগাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় মসজিদগুলোতে মাইকিং করে স্থানীয়দের জড়ো করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হয়। এরপর সেই সূত্রে ধরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলা চালায়। এতে একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে, এছাড়া কিছু শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকার মেসগুলোতে আটকে রেখেছেন স্থানীয়রা।’

আশুলিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, হামলার তথ্য জানার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

বিক্ষোভ সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে ৩ জন নিহত

আন্তর্জাতিক টুডেঃ ভারতজুড়ে চলছে নাগরিত্ব আইনের বিরোধিতায় তুলকালাম। বিক্ষোভ চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছে। বিক্ষোভে অশান্ত কর্ণাটক ও উত্তর প্রদেশে পুলিশের গুলিতে তিন জন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) কর্নাটকের রাজধানী ব্যাঙ্গালুরুতে ও লক্ষ্ণৌয়েও বিক্ষোভ-সংঘর্ষ চলার সময় ব্যাঙ্গালুরুতে দুই জন এবং উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌয়ে এক জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে ব্যাঙ্গালুরুতে চার পুলিশ সদস্যকে গুলি চালাতে দেখা গেছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের একটি দলকে লক্ষ করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কর্মকর্তারা আহত দুইজনের মৃত্যুর খবর জানান।

অন্যদিকে, উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌয়ে বৃহস্পতিবার একজনের মৃত্যুর খবর সম্পর্কে বিক্ষোভকারীরা বলেছে, বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে জখম হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে বুধবার রাত থেকেই গোটা উত্তরপ্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। চারজনের বেশি লোকের জমায়েতের উপর জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। একই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল বেঙ্গালুরুসহ কর্ণাটকের বিভিন্ন স্থানেও।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স।

রাস্তায় যোহরের নামাজ, বেষ্টনী তৈরি করে নিরাপত্তা দিল হিন্দুরা

আন্তর্জাতিক টুডেঃ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে এখনও বিক্ষোভ প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবারও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজধানী নয়াদিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও কর্ণাটক-সহ অন্তত ১০টি রাজ্যে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন।

এদিন দুপুরের দিকে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শত শত সাধারণ মানুষ যোহরের নামাজ আদায় করেছেন। এ সময় তাদের চারদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেন অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা।

নামাজ আদায়ের সময় অন্য ধর্মের মানুষদের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরির এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে প্রশাসনের জারিকৃত ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করায় রাজধানীতে চারজনের বেশি মানুষ একসঙ্গে জমায়েত হতে পারবেন না।

এদিকে বেঙ্গালুরুতে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদদ রামচন্দ্র গুহ-সহ শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। টেলিভিশন চ্যানেলে স্বাক্ষাৎকার দেয়ার সময় তাকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা।

সূত্রঃ এএনআই।

পুলিশ কেন ছাত্র ‘পেটাল’? পুলিশের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের ‘মামলা’

আন্তর্জাতিক টুডেঃ ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা ঘটেছে।

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার পর শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর নাজমা আক্তারও। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি পুলিশের কাছে লিখিত জবাব চেয়েছেন তিনি।

রবিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের ঘটনায় সারাদেশে ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পুলিশকে অনুমতি কে দিয়েছে, সে ব্যাপারে জানতে চান তিনি। বিনা অনুমতিতে ক্যাম্পাসে কেন প্রবেশ করল পুলিশ? শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্য কেন করা হলো, সেসব জানতে চাওয়ার পরেও থেমে থাকেননি। পুলিশের বিরুদ্ধে উপাচার্য নিজেই অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, “দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভ দেশের অন্যান্য শহর ও ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়েছে। জামিয়া মিলিয়ার শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা একই কাতারে নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করেছেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে এমন কঠোর পদক্ষেপ নেবে, সেটা হয়তো ভাবতেই পারেনি ভারতের পুলিশ। সেটাও আবার কোনো নারী ভাইস চ্যান্সেলর! এখন যুতসই কোনো জবাবও দিতে পারছে না পুলিশ।

এদিকে আইপিএস কর্মকর্তারা একেকজন একেক কথা বলছেন। একজন গণমাধ্যমে বলেই ফেলেছেন, আসলে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে চায়নি, শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিতে গিয়ে দৌড়ে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে হঠাৎ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে।

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমা আক্তারের কাছে এমন উত্তর গ্রহণযোগ্য তো নয়ই বরং তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে গেছেন। দায়ীদের তিনি কাঠগড়ায় নেবেনই বলে জানতে চান, কেন ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলা হলো?