ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে ভয় পেতে মানা করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চলতি মাসেই দেশে করোনা পরবর্তী ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে এ নিয়ে ভয় পেতে মানা করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।তিনি বলেছেন, সতর্ক থাকলেই এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চীনা টিকা প্রয়োগ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, করোনা টিকা বিষয়ে চীনের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।‌ খুব শীঘ্রই সিনোফারমের টিকা বাংলাদেশ পাবে।‌ আর চুক্তি হয়ে গেলে জুন মাস থেকে দেশে টিকা কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।

চীনের চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ বা সিনোফার্ম থেকে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের দেড় কোটি টিকা কিনতে যাচ্ছে। বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় প্রথম চালানে সিনোফার্মের ৫০ লাখ টিকা জুনে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।

তিন মাসে সিনোফার্মের কাছ থেকে দেড় কোটি টিকা কিনতে দুই পক্ষ তিনটি চুক্তি সইয়ের জন্য চূড়ান্ত করে ফেলেছে।

প্রসঙ্গত, ১৩ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা এক কোটি টিকা কেনার ব্যবস্থা করেছি। খুব শিগগিরই দেশে টিকা আসতে শুরু করবে।

এরই ধারাবাহিকতায় চীনের সিনোফার্ম থেকে টিকা কেনার বিষয়টি ১৯ মে অনুষ্ঠিত অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন হয়েছে।

স্বাস্থ্যখাতে যেখানে দুর্নীতি সেখানেই ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যেখানে দুর্নীতি পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতির প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এই আধুনিকায়ন কাজ শুরু হয়।

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী মানুষ করোনাকে অবহেলা করছে। এর ফলে আমেরিকা, ইউরোপসহ অনেক দেশেই করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ (সেকেন্ড ওয়েভ) শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও আগামী শীতে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ শুরুর আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এর জন্য কী কী করণীয় ব্যাপারে সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় ইতোমধ্যে দেশের স্বাস্থ্যখাত সক্ষমতা দেখিয়েছে। আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার বিশ্বের মধ্যে উলেল্গখযোগ্য অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক দেশই কাজ করছে। এদের মধ্যে ৯টি কোম্পানি তাদের পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এসব কোম্পনির অন্তত পাঁচটির সঙ্গে সরকারের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। সঠিক ভ্যাকসিনটি আমরা সঠিক সময়ে পেতে চাই। তিনি বলেন, বিশ্বের যে কোনো দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলে আমরাও বসে থাকবো না

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকিরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী: প্রয়োজন হলে লকডাউন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, কোনো এলাকা যদি করোনাভাইরাস বেশি আক্রান্ত হয়ে যায়, অবশ্যই সেসব এলাকা লকডাউন করা হবে। দেশের যেখানে যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে সেখানে লকডাউন করা হবে।’-ডেইলি স্টার।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “লকডাউনের মাধ্যমে চীন করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে । অন্যান্য দেশও চীনকে অনুসরণ করছে। যদি আমাদের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে এবং আমাদের কোনো এলাকা যদি করোনায় বেশি আক্রান্ত হয়ে যায়, আমরাও অবশ্যই সে এলাকা লকডাউনে নিয়ে যাবো। আমাদের দেশের মানুষকে করোনা থেকে রক্ষা করতে হবে। লকডাউন হচ্ছে আক্রান্ত এলাকার জন্য করোনা মোকাবেলার একমাত্র উপায়।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘লকডাউন বড় সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে, বেশি আক্রান্ত হলে এটি করতে হবে। আমরা তো এখন ভালো পরিস্থিতিতে আছি বলে মনে করি। অন্য দেশের তুলনায় আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা কম। মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ১ জন। যিনি মারা গেছেন তার বয়স ৭০-এরও বেশি। তাছাড়া তার কিডনি, হার্টের রোগ ও ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ ছিল।’

তিনি প্রশ্নের উত্তরে আরো জানান, প্রবাসীরা যারা আসে, এর মধ্যে দু-একটি এলাকার খবর আমাদের কাছে আসে। এটা হলো— মাদারীপুর, ফরিদপুর এলাকা। আরেকটা আছে শিবচর এলাকা। এসব এলাকাতে বেশি করে দেখা যাচ্ছে। যদি অবণতি ঘটে। তাহলে আমরা লকডাউনের দিকে যাবো। অন্যান্য জেলায় যতজন পাচ্ছি, সেসব জেলায় (মাদারীপুর, ফরিদপুর) বেশি পাচ্ছি। আক্রান্ত ১৭ জনের মধ্যে বেশিভাগই সেখানকার। ওখানকার লোক বিদেশে থাকেও বেশি। সেজন্য আমরা সেসব এলাকা বেশি ক্রিটিক্যাল মনে করছি। আগামীতে সেখানে যদি সত্যিই বেড়ে (সংক্রমণ) যায়, তাহলে আমরা লকডাউন করে দেবো,’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষকে আমরা কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। এটা তো আমাদের বিরাট একটা সফলতা যে এত মানুষকে আমরা রাখতে পেরেছি। আর যারা লঙ্ঘন করছেন, তাদের জরিমানা করছি। তাদের জেলে যেতে প্রস্তুত থাকার কথাও বলা হচ্ছে। সেই বিষয়েও আমরা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবো না।’