আইনের শাসন থাকতেও এ কেমন বর্বরতা!

জিসান তাসফিক


সম্প্রতি খবরের পাতায় কিংবা ফেসবুকে চোখ দিলে দেখা যায় ধর্ষণ, গনধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন, হত্যা, অর্থ পাচার ইত্যাদি বিষয় বস্তু নিয়ে দেশে তোলপাড়। দেশের আপামর জনগণের দাবি থাকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার। কিন্তু এই সব জনগণের মধ্যে হতে অপরাধী হয় এবং অপরাধ করে পার পেয়ে যায়। আবার অপরাধীদের পার করার জন্য জনগণের মধ্যেই থেকে সাহায্যকারী বের হয়ে আসে।

অপরাধ যেই করে এবং যেই সাহায্য করে উভয় আইনের চোখে সমান অপরাধী। সমাজবিশেষজ্ঞদের মতে প্রাচীনকালে আইনের যথাযথ শাসন ছিল না বলে বর্বরতা ছিল। কিন্তু বর্তমান যুগে যেটাকে আধুনিক বলা হয়, সে যুগে বর্বরতা সম্মুখীন হওয়া কোনো মানুষের কাম্য হতে পারে না।

মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলতে উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে প্রায় ৫০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ বোঝান হয়। বর্বরতা এর পূর্বেও ছিল কিন্তু ঐতিহাসিকগন এই সময়কে নিয়ে আলোচনা করেন। এই সময়কালে সমাজে, রাষ্ট্রে অনেক বর্বরতার ইতিহাস দেখা যায়। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে মহানবী যখন জন্মগ্রহণ করেন তখনকার সময়কে বলা হত আইয়ামে জাহেলিয়া অর্থাৎ অন্ধকার যুগ। এসময় কোনো আইন ও ন্যায়বিচার ছিল না। গোত্রে গোত্রে ছিল দ্বন্দ্ব।

নারী ও শিশুরা ছিল নির্যাতিত ও অবহেলিত। এমনও প্রথা ছিল যে নারীদের জীবন্ত কবর দেওয়া হত। কিন্তু নবীজির প্রচেষ্টায় সেখান থেকে মানুষ সভ্য হতে থাকে ও মানুষের মধ্য মনুষ্যত্ব আসতে থাকে। শুরু হয় নতুন ধারা শাসনব্যবস্থা যার অন্যতম সাক্ষী হল মদিনা সনদ, কুরআন ও হাদিস। মদিনা সনদে অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল নাগরিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে এবং অসহায় ও দুর্বলদের সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে।

অন্যদিক ইউরোপ তখন উন্নত ছিল না। ত‍ৎকালিন সময়ে গনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র ছিল না যার বলে শাসক শ্রেণীর আদেশই ছিল আইন । ১২১৫ সালে ম্যাগনাকার্টা চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপে সাংবিধানিক শাসনের সূচনা হয়। এর পরে ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে ব্রিটেনে গনতন্ত্র শক্তিশালী ভাবে শুরু হয়। কিন্তু আইনের শাসন দীর্ঘদিনের ফল। এর পরে আশা যায় আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাধ্যমে এই উপমহাদেশে রাজতন্ত্র উঠে যায় এবং আসে ব্রিটিশ শাসন। উপমহাদেশের যতগুলো লিখিত আইন আসে তার বেশির ভাগই ব্রিটিশদের হাতে গড়া।

কিন্তু এই সকল বিপ্লবে মানুষের অনেক কিছুই দিতে হয়েছে। ইতিহাস দেখলে জানান যায় যে ব্রিটিশরাও আইনের শাসন চালু করলেও তাদের শোষণ ও অত্যাচার থেকে ভারতীয়গন মুক্ত ছিল না। মানুষ যখনই তাদের নায্য দাবির আশায় বিপ্লব করেছে তখনই শাষক শ্রেণী দমননীতির মাধ্যমে অত্যাচার ও নিপীড়ন করেছে।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর থেকে যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয় তখন দুইলক্ষ মা-বোন নিজের সম্ভ্রমহানি হয় । কিন্তু এর কোনো বিচার হয় নি। পরাজিত সৈনিকেরা ব্যারাকে ফিরে গিয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় মহাবিশ্বযুদ্ধের সময় অনেক হত্যাকাণ্ড, নিপীড়ন, নির্যাতন ও ধর্ষণ হয়েছে। উভয় পক্ষের লোকজন ধর্ষণে জরিত থাকলেও বিচার হয় নাই।

যুদ্ধ জয়ের জন্য ধর্ষণ কোন যুক্তিতে প্রয়োজন তা আজও জানলাম না। আরব অঞ্চলে এখনও অনেক যুদ্ধ বিগ্রহ হয়। এখনও সেখানে নারীরা ধর্ষিত হয়। মানুষ জ্ঞানে বিজ্ঞানে আধুনিক হলেও মনুষ্যত্বতে আধুনিক হতে পারে নি। জেনেভা কনভেশন অনুযায়ী নারী ও শিশু এবং যুদ্ধ বন্দীদের উপর অত্যাচার করা যাবে না কিন্তু বাস্তবতা আমরা সবাই জানি। আমাদের পার্শবর্তী দেশের মায়ানমার সেনাবাহিনীর ধর্ষণ নির্যাতনের কথা আমরা অবগত। কিন্তু সেই ঘটনা কোনো বিচার এখনো হয় নি। অথচ বিশ্ব নেতারা দাবি করে আসছে পৃথিবী উন্নত হচ্ছে।

দূর্বলের উপর সবলের অত্যাচার সেই প্রাচীনকাল থেকে এসেছে। বাল্যবিবাহ বন্ধ, সতীদাহ প্রথা রদ , বিধবা বিবাহ ইত্যাদি না হলে ধর্মীয় কুসংস্কারের জন্য নারীরা আজও নির্যাতিত হত। সমাজের প্রত্যেকটি মানুষই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু নির্যাতনের শিকার হলে বাচার আশাও শেষ হয়ে যায়।

আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ও সাংবিধানিক আইনত ভাবে সকল মানুষকে সমান সুযোগ, সুবিধা ও অধিকার দিয়েছে । নারী নির্যাতনের মাত্রা প্রতিহিত করার লক্ষ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর জন্য প্রতিটি জেলা আলাদা ট্রাইব্যুনাল ও আছে। কিন্তু এরপরে ধর্ষণ কমানো যাচ্ছে না। এরপরেও আছে বিচারকের সংকট। বিচার বিভাগে প্রায় ৩৫ লক্ষাধিক মামলার জট রয়েছে। সেখানে বিচারক আছেন ১৮০০ এর মত। এত অল্প সংখ্যক বিচারক দিয়ে এত মামলা নিষ্পত্তি এবং ন্যায়বিচার আশা করা কল্পনার মত। একজন বিজ্ঞ বিচারক বলেছেন ১৮ কোটি মানুষের জন্য কমপক্ষে প্রয়োজন ১৮ হাজার বিচারক। বিশেষ মামলার ক্ষেত্রে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আজ সেখানেও মামলার জট পরে আছে।

এছাড়াও বাংলাদেশের বিচার বিভাগের নিজেস্ব কোনো অডিট সেল নেই। যার কারণে মামলার রায় অনুযায়ী বাস্তবায়ন নিয়ে আদালতে কোনো পর্যালোচনা করতে পারে না। ভুক্তভোগীদের সর্বোচ্চ আইনত সুবিধা হল রিট করা। কিন্তু সাধারণ মানুষের পক্ষে রিট করাতো দূরে থাকে রিট সম্পর্কে কোনো ধারণাও নেই।

এছাড়াও কিছু বিশেষ ব্যক্তি আইনের সৌন্দর্যের অপব্যবহার করে আসামীদের পার করে দিচ্ছে অর্থাৎ আত্মপক্ষ সমর্থনের যথেষ্ট সুযোগ নিয়ে থাকে। একদিকে মামলার জট অন্য দিকে আইনের অপব্যবহার। যার ফলে দিনে দিনে ধর্ষণ, নির্যাতনের মত নিকৃষ্ট অপরাধ বেড়েই চলেছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য মতে ২০২০ সালে এখন পর্যন্ত ৮৮৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এগুলো প্রকাশিত ঘটনা।

কিন্তু এমন ঘটনা অনেক অপ্রকাশিত রয়ে গিয়েছে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ঘটনাটি ঘটার ৩২ দিন পরে প্রকাশিত হয় তাও আবার ভিডিও নিজেরা প্রকাশ করে তার মাধ্যমে তা না হলে অপ্রকাশিতই থেকে যেত। স্থানীয় লোকজন, স্থানীয় সরকার প্রশাসন অথবা মাঠ প্রশাসন সবাই নিশ্চুপ ছিল যেখানে ধর্ষণের মত ঘটনা জনগণ মেনে নিতে পারে না ।

দেশের এমন পরিস্থিতিতে সরকার জনগণকে পাশে নিয়ে এইসব মোকাবেলা করা সম্ভব। আইনের সুশাসন বাস্তবায়ন করে প্রয়োজন। ইতিহাস থেকে সবাইকে শেখা উচিত নয়তো অবহেলার কারণে জনগণের মধ্যে বিপ্লব এসে যাবে।

লেখকঃ জিসান তাসফিক
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ,
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

কুমিল্লায় আপন ভাইকে হত্যা, ঘর থেকে ৮দিন পর গলিত লাশ উদ্ধার

এবিএম আতিকুর রহমান বাশার
দেবীদ্বার প্রতিনিধি


কুমিল্লার দেবীদ্বারে আপন ভাইকে হত্যা করে নিজ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার ৮দিন পর (সোহেল নামের এক যুবকের গলিত লাশের) সন্ধান পেল পুলিশ।
সংবাদ পেয়ে দেবীদ্বার থানা পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে দেবীদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী গ্রাম থেকে ওই যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার ও ছোরতহাল রিপোর্ট তৈরী পূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ।

নিহত সোহেল (৩২) দেবীদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকা সন্ধিগ্ধ ঘাতক নিহতের ভাই ইব্রাহীম পলাতক থাকায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘাতক ইব্রাহিমের স্ত্রী রোজিনা বেগমকে আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ৩০ আগষ্ট দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহিম এবং সোহেল মিয়ার মাঝে মারামারি হয়। ইব্রাহিম তার স্ত্রী রুজিনাকে সাথে নিয়ে যুবক সোহেল মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে ঘটনাস্থলেই সোহেল মারা যান। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ইব্রাহিম তার আপন ভাইয়ের লাশ বস্তাবন্দী করে তার নিজ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখেন। পরে বেশ কয়েকদিন যাবত তাকে খুঁজা খোঁজি করে না পেয়ে নিহতের ভাগিনা মাইনুদ্দিন সোহেল কোথায় আছে তা তার মামা ইব্রাহীমের নিকট জানতে চান। এ সময় ঘাতক ইব্রাহিম জানান সোহেলকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে। স্বজনরা কোন নিরাময় কেন্দ্রে তাকে দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ইব্রাহিম তাদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে নিজেই আত্মগোপন করেন।

আশপাশের লোকজন ইব্রাহিমের স্ত্রী রোজিনা বেগমকে চাপ দিলে নিজ ঘরেই সোহেলের লাশ পুঁতে রাখা হয়েছে বলে জানান। খবর পেয়ে দেবীদ্বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

তবে তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি স্পর্শকাতর, সোহেল একাধিক বিয়ে করলেও বর্তমানে তার কোন স্ত্রী নেই। সোহেলের প্রথম স্ত্রীর সংসারে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে আছে। সোহেলের বড় ভাই ইব্রাহীমের স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে ঘটনার দিন (৩০ আগষ্ট) রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইব্রাহীম কোদালের বাট দিয়ে সোহেলের মাথায় আঘাত করলে সে লুটিয়ে পড়ে। পরে ইব্রাহীম ও তার স্ত্রী মিলে নিজ ঘরের মেঝেতে মাটি খুঁড়ে সোহেলের লাশ গুম করে রেখেছিল।

এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন জানান, নিহতের ভাই ঘাতক ইব্রাহিমের স্ত্রীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিখোঁজ সোহেল মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন ভাই ইব্রাহিম পলাতক থাকলেও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়। তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন, তদন্ত চলছে।
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার,

আমিও একদিন ঘুম থেকে উঠে শুনি, আমার বাবা-মা-ভাইসহ কেউ নেই

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতিমদের উদ্দেশে বলেছেন, আমিও একদিন ঘুম থেকে উঠে শুনি আমার বাবা-মা-ভাইসহ কেউ নেই। তোমরা যারা এতিম, তাদের ব্যথা আমরা বুঝি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে আজ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজ কল্যাণ অধিদফতর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এবং আমার ছোট বোন শেখ রেহানা সব সময় তোমাদের মতো এতিম এবং অসহায়দের কথা ভাবি। এজন্য তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা কিভাবে দেয়া যায় আমরা সে চিন্তা করি। তাদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়ন করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের জীবনে তোমরাই সবচেয়ে আপনজন। এজন্য আমাদের পরিবারে যে কারো জন্মদিনে আমরা বাইরে বড় করে কোনো অনুষ্ঠান না করে তোমাদের মত এতিমদের কাছে আমরা মিষ্টি ও খাবার পাঠাই।

মিথ্যা মামলা থেকে জামিন পেলেন জবি ছাত্র মনির

ফারহান আহমেদ রাফি
জবি


অবশেষে হত্যা মামলায় অজ্ঞাত নামা আসামী হিসেবে গ্রেপ্তারকৃত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মনির জামিন পেয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে শরিয়তপুর জেলা দায়রা জজ আদালতে তার মামলার শুনানি হয় , এবং তাকে নিঃশর্ত জামিন দেয়া হয়।

এ বিষয়ে মনিরের ভাই সিরাজের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, মনিরের মুক্তিতে অনেক খুশি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, শরীয়তপুর ১ আসনের এমপি , জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্ষণসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

জানা যায়, মনির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
গত ১ জুলাই তারিখ তাকে তার গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার সেনের চর ইউনিয়নের বলাই মুন্সী কান্ধি গ্রামে তার বাসা থেকে তাকে অজ্ঞাতনামা আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।

পাবনায় ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

ডেস্ক রিপোর্ট: ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিরোধে পাবনার চাটমোহরে এক ছাত্রলীগ নেতা খুন হয়েছেন।

রবিবার (১৪ জুন) রাতে উপজেলার হান্ডিয়াল মধ্যপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫) নামে ওই নেতার প্রাণ গেছে বলে।

নিহত হাবিব সেখানকার হান্ডিয়াল নিকেরীপাড়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানিয়েছে, হাবিব কয়েকজন কর্মী নিয়ে রবিবার রাতে হান্ডিয়াল বাজারে অবস্থান করছিলেন। এ সময় কয়েকজন অজ্ঞাত যুবক তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি মারধর করে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান হাবিব।

চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন বলেন, ক্রিকেট খেলা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে কারা জড়িত বা হত্যাকাণ্ডের কারণ কী, এখনই বলা যাচ্ছে না।

খুলনায় ইফতারের পানির সাথে বিষ মিশিয়ে গৃহবধূকে হত্যা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ খুলনার পাইকগাছা কয়রার সীমান্তে ইফতারির পানীয়র সাথে বিষ মিশিয়ে রিমা বেগম (২৩) নামে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।

ঘটনায় নিহতের মা মমতা বেগম বাদী রিমার স্বামী কিবরিয়া সানা, দেবর কারিজুলসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামী করে কয়রা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

থানা পুলিশ গৃহবধূর স্বামী কিবরিয়া সানা ও দেবর কারিজুল সানা গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, ঘটনার ২/৩ দিন আগে থেকে রিমাকে তার শ্বশুর বাড়ীর লোকেরা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল।

মামলার বিবরণ ও পারিবারিক একাধিক সূত্র জানায়, গত ৩ মে সন্ধ্যা। কয়রা উপজেলা থেকে ১৯ ও পাইকগাছা থেকে ১৮ কিলোমিটার দুরে কয়রা সীমান্তের হরিনগর গ্রাম। ইফতারির সময় সেখানে তখন চলছে মাত্র দু’মাস ও ৫ বছরের দু’কন্যা সন্তানের জননী রোজাদার রিমা বেগমকে হত্যার ষড়যন্ত্র। অসহায় গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর ও দেবর পরষ্পর যোগসাজসে ইফতারীর পানীয়র সাথে বিষ মিশিয়ে তাকে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র করে।

ইফতারীর সময় ঘণিয়ে আসলে তারা তাকে ঐ বিষ মিশ্রিত পানীয় দেয় ইফতারীতে। এতে কিছুক্ষণের মধ্যেই রিমা মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট শুরু করলেও পরিবারের লোকজন তাকে ডাক্তারের কাছে নিতে নানা টালবাহালনা শুরু করে।

এক পর্যায়ে প্রতিবেশীদের চাপে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক জেহের আলীকে ডেকে আনলে রিমা মৃ’ত্যুর আগে তাকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে বলে ডাক্তারকে জানায়। ডাক্তার তাকে দ্রুত হাপাতালে নিয়ে ওয়াশ করানোর ব্যবস্থা করান।

তারপরও অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথিমধ্যে ডুমুরিয়ায় পৌছালে তার মৃত্যু হয়।

লাশের ময়না তদন্ত শেষে স্বামীর বাড়ীতে নিলে ঘটে আরো বিপত্তি। স্বামীর বাড়ির লোকজন সেখানে তাকে কবর দিতে না দেয়ায় সেখান থেকে লাশ ফিরিয়ে নেয়া হয় তার পিত্রালয় পাইকগাছার গজালিয়ায়। সেখানেই দাফন সম্পন্ন হয়েছে তার।

এদিকে ময়না তদন্ত শেষে রিমার লাশ স্বামীর বাড়ীতে পৌছালে সেখানে দাফনে বাঁ’ধা দেয়ায় নিহতের পিত্রালয় পাইকগাছার গজালিয়ায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহত রিমার সদ্য প্রসূত ২ মাসের শিশু কন্যা জাহিদা ও ৫ বছরের শাহিদাকে তাদের দাদা-দাদীরা সেখানেই আটকে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

নিহত গৃহবধূ রিমার পিত্রালয় থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, রিমার রেখে যাওয়া সদ্য প্রসূত ২মাসের মেয়ে জাহিদা ও ৫ বছরের শাহিদাকে তাদের দাদা-দাদিরা তাদের জিম্মায় রেখে দিয়েছে।

বুকে-পায়ে গুলি করে স্কুলশিক্ষককে ‘হত্যা’

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


স্কুলশিক্ষকের পায়ে এবং বুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত শিক্ষকের নাম আসাদুল বারী খান। তিনি কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার সেনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজবাড়ীর পাংশ উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের সুবর্ণখোলা গ্রামের গড়াই নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে আসাদুল বারী খান নিজ গ্রামে তার অসুস্থ চাচা মো. খলিলুর রহমান খানকে (৯০) দেখে রাস্তায় আসার সময় একদল দুর্বৃত্ত তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পায়ে-বুকে গুলি করে হত্যা করে গড়াই নদীর পাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে আসাদুল বারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আসাদুল বারী খানের ভাতিজা সাদ্দাম খান জানান, স্থানীয় জজ আলী বিশ্বাসের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জজ আলী বিশ্বাসের লোকজন তাকে হত্যা করেছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, হত্যা বিষয়টি জানার পর আমি সেখানে প্রায় দেড়শত পুলিশ মোতায়েন করেছি। শোনা যাচ্ছে জজ আলী বিশ্বাস এবং কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকা সন্দেহজনকভাবে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

কলেজছাত্রকে কুপিয়ে ‘হত্যা’

সারাদেশ টুডে


টাঙ্গাইল শহরের এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শহরের নজরুল সেনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের গলিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই কলেজছাত্রের নাম ইসরাক (২০)।

আজ বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে কলেজ-ছাত্রকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত কলেজছাত্র ইসরাক শহরের আশেকপুর এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। ইসরাক শহরের হাজী আবুল হোসেন ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ছাত্র।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়। তিনি জানান, বিকালে কোনো এক সময় কলেজছাত্র ইসরাককে ঘটনাস্থলে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিশু স্কুল থেকে পালানোয় বাবাকে পিটিয়ে ‘হত্যা’

সারাদেশ টুডে


পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় দুই শিশু শিক্ষার্থীকে স্কুলে পালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিটুনিতে মো. আবুল বশার নামে এক শিক্ষার্থীর বাবার মৃত্যু হয়েছে। আবুল বশার উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের খালেক মাতব্বরের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি লোহার কারখানায় গ্যাস মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।

আজ রবিবার দুপুরে পিটিয়ে আহত করলে ওই দিনই রাত সাড়ে আটটার দিকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের আবুল বশারের ছেলে নাবিলের (৭) সাথে শিশু শ্রেণিতে পড়াশুনা করে একই গ্রামের চান মিয়ার ছেলে রবিউল (৭)। তারা দুই জনেই শনিবার স্কুল পালায়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

জানা যায়, ওই ঘটনার জের ধরে রোববার দুপুরে রবিউলের বাবা চান মিয়া ও বড় ভাই সাব্বির নাবিলের বাবা বশারের ওপর লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চায়। এ সময় বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে বশারকে সড়কের ওপর ফেলে রাখে।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থকমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখাকে বশারের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত সাড়ে আটার দিকে বশার মারা যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাউফল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

অদূর জঙ্গল থেকে শিক্ষকের ‘লাশ’ উদ্ধার, স্ত্রীসহ আটক ৫

সারাদেশ টুডে


নেত্রকোনায় শ্বশুরবাড়ি এলাকার জঙ্গল থেকে স্কুল শিক্ষক উজ্বল চৌধুরীর (৪১) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় স্ত্রী মনি, শাশুড়ি ললিতা, শ্বশুর আব্দুল হাই, শালা আরিফ ও রাজিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। উজ্বল চৌধুরী জেলার মদন উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা বিভাগের শিক্ষক। তিনি দুই সন্তানের জনক।

সোমবার ( ২৭ জানুয়ারি) সকালে নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় বাড়ির অদূরে জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটেছে।

গ্রাম সুত্রে জানা যায়, কোনাপাড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে মনিকে গত প্রায় আট বছর পূর্বে বিয়ে দেন মদন উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামের কেনু মিয়া চৌধুরীর ছেলের সাথে। এরপর থেকে মনি কোনাপাড়া তার বাবার বাড়িতেই বসবাস করতো। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

জানা গেছে, ২৭ জানুয়ারি, সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়ির অদূরে জঙ্গলের মাঝে সড়কের পাশে এলাকাবাসী লাশ দেখতে পেয়ে প্রথমে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমকে অবহিত করেন। পরে চেয়ারম্যান নেত্রকোনা মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা মর্গে পাঠায়।

হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসি। তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে উজ্বলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে টেনে নিয়ে অন্যত্র ফেলার চেষ্টা করছিল। গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ।