হাবিপ্রবিতে অনলাইন পরীক্ষার উপর তিন দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু

 

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে “HSTU Online Examination Policy” শীর্ষক কর্মশালা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (১৪ জুলাই) উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. রওশন আরা, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্স অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. তাহেরা ইয়াসমিন ও প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএসই অনুষদের ডীন ও ইসিই বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ মাহাবুব হোসেন এবং ইসিই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও আইটি সেলের কো-অরডিনেটর মোঃ মেহেদী ইসলাম। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি এর পরিচালক প্রফেসর ড. বিকাশ চন্দ্র সরকার।

কর্মশালাটিতে উপাচার্য বক্তব্যের শুরুতে মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

এ সময় তিনি উপস্থিত শিক্ষকদের উদ্দেশ্য বলেন, এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষকগণ অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে সম্মুখ জ্ঞান লাভ করবেন। ব্যবহারিক প্রয়োগে গেলে হয়তো কিছু সমস্যা হতে পারে, সেগুলো সমাধান করে নিতে হবে এবং নীতিমালার উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এ জন্য তিনি নীতিমালা অনুসরণের জন্য আহবান জানান এবং পাশাপাশি করোনাকালীন সময় বিবেচনায় নিয়ে মানবিক বিষয় গুলো মাথায় রেখে কাজ করতে বলেন। যতো দ্রুত সম্ভব পরীক্ষার রুটিন প্রকাশের জন্য তিনি ডীনবৃন্দের প্রতি আহবান জানান। নীতিমালার বিষয় গুলো ভালোভাবে শিক্ষার্থীদের বোঝাতে বলেন। পরিশেষে অল্প সময়ে এ ধরণের একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের জন্য আইকিউএসি এবং প্রশিক্ষকগণদের প্রতি ও অংশগ্রহণকারী শিক্ষকগণকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে হাবিপ্রবিতে অনলাইন পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। আজকের প্রশিক্ষণ কর্মশালাটিতে কৃষি ও ভেটেরিনারি অনুষদের সকল শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

 

দিনাজপুরে লকডাউন, হাবিপ্রবির সকল পরীক্ষা স্থগিত

 

হাবিপ্রবি টুডে

দিনাজপুরে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি হওয়ায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত সকল ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা.মো: ফজলুল হক ।

এ সময় রেজিস্ট্রার জানান, দিনাজপুর সদর লকডাউনের আওতায় থাকায় ১৫-২১ জুন পর্যন্ত সশরীরে কোনো পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছি কিন্ত তিনি এ সময় পরীক্ষা না নেয়ার জন্য বলেছেন। এসময় যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয় সে বিষয়েও তিনি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি খুব শীঘ্রই এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। ছাত্র-ছাত্রীসহ সকলকে এই সময়টা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি।

প্রসঙ্গত,শিক্ষামন্ত্রণালয় ও ইউজিসি অনুমোদন থাকলেও দিনাজপুর জেলা মঙ্গলবার থেকে আগামী এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করায় এই সময়ে প্রকাশিত রুটিনে কোন পরীক্ষা নিতে পারবে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে ১৫-২১ জুন পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত সকল পরীক্ষাসমূহ বন্ধ থাকবে।

হাবিপ্রবি’র নতুন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হলেন অধ্যাপক রাজীব

হাবিপ্রবি টুডে


দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা:মোহাম্মদ ফজলুল হককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করে অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিব হাসান কে তার নিজ দ্বায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রারের হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।তিনি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
বুধবার(৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেমের অনুমোদনক্রমে ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (সংস্থাপন) স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ বিষয়টি জানানো হয়।

এক অফিস আদেশে বলা হয়, “এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদে নিযুক্ত প্রফেসর ডঃ মোঃ ফজলুল হক মেডিসিন সার্জারি এ্যান্ড অ্যাবস্ট্রাক্ট বিভাগকে ৭ তারিখ হতে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি প্রদান করা হলো এবং সেইসাথে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিব হাসান কে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিম্নবর্ণিত শর্তে রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে নিযুক্ত করা হলো।

নিম্নলিখিত আইন ২০০১ এর ১১ ধারার ১২ উপধারা মোতাবেক এ আদেশ কার্যকর করা হলো”।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেমের প্রশাসনিক কাজে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা.মোহাম্মদ ফজলুল হক,প্রক্টর অধ্যাপক মো. খালেদ হোসেন,কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.বিধান চন্দ্র হালদার,
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড.ইমরান পারভেজ সহ প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ১১ জন শিক্ষক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বুধবার(৭ অক্টোবর) থেকে সকল ধরণের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন।

এ ব্যাপারে নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিব হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,” মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর স্যার আমাকে যোগ্য মনে করে এই পদে নিযুক্ত করেছেন এজন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সংকট নিরসনে আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। পাশাপাশি স্যার আমার উপর যেই দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, আমি যেন তা যথাযথভাবে পালন করতে পারি,এজন্য সকলের সহযোগিতা চাই”।

 

 

উপাচার্যের অনীহায় প্রশাসনিক কাজে অচলাবস্থা, শিক্ষকগণের আজ থেকে কর্মবিরতি

 

হাবিপ্রবি টুডে


দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(হাবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেমের অসৌজন্যমূলক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকগণ আজ বুধবার(৭ অক্টোবর) থেকে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনিকে দায়িত্বরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ‘করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে হাবিপ্রবি উপাচার্য মহোদয় প্রশাসনিক ভবনে অফিস না করায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে দীর্ঘ অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারের নেতৃত্বে প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ কিভাবে সমস্যা সমূহ উত্তোরণ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য উপাচার্য মহোদয়ের বাসভবনস্থ অফিসে দেখা করতে গেলে উপাচার্য মহোদয় দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান।

অতঃপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার মহোদয় মোবাইল ফোনে সাক্ষাতের অনুরোধ জানালেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। মূল ফটকে প্রশাসনিক দায়িত্বরত শিক্ষকরা প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে বাধ্য হয়ে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেন- মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলরের উদ্ভূত আচরণের জন্য প্রশাসনিক দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গ পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে বিরত থাকবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার গণমাধ্যমকে বলেন,’দীর্ঘদিন থেকে উপাচার্য মহোদয় প্রশাসনিক কার্যক্রম সঠিকভাবে দেখভাল করছেন না। এতে নানা কাজে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

তাই আজ আমরা সকলে তাঁর সাথে দেখা করতে উপাচার্যের বাসভবনে যাই। বিভিন্ন সমস্যার সমাধান প্রকল্পে সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্তু তিনি আমাদের সাথে সাক্ষাৎ না করায় আমরা আগামীকাল থেকে কর্মবিরতির করার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি’।

এদিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধক্ষ্য প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, পোস্ট গ্রাজুয়েট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. ফাহিমা খানম, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ ফজলুল হক ( বীর মুক্তিযোদ্ধা), আইআরটির পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ তারিকুল ইসলাম, জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ডা. শ্রীপতি সিকদার, অধ্যাপক রোজিনা ইয়াসমিন (লাকী),।

আরও স্বাক্ষর করেন, পরিবহন শাখা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মফিজুল ইসলাম, সহকারি প্রক্টর শিহাবুল আউয়াল, মোঃ মহিন উদ্দিন, ড. মোঃ রাশেদুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল মোমিন সেখ, ডঃ মোঃ হাসানুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ডঃ ইমরান পারভেজ, প্রক্টর অধ্যাপক ডঃ মোঃ খালেদ হোসেন, প্লানিং, ডেভলপমেন্ট এ্যান্ড ওয়ার্কস বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডঃ মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, সহকারী প্রক্টর মোঃ রবিউল ইসলাম সহ আরো অনেকে।

হাবিপ্রবি : প্রশাসনের উদ্যোগে প্রণোদনা পাচ্ছে ৬০০ শিক্ষার্থী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ (৯সেপ্টেম্বর) ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তথ্যটি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত ২১ শে এপ্রিল প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মারফত করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পারিবারিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক প্রণোদনা প্রদান সংক্রান্ত যে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছিলো। তা যাচাই-বাছাই শেষে ৬০০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে নির্বাচিত করা হয়েছে।

নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে প্রণোদনা প্রাপ্তির বিষয়টি জানানো হবে এবং নির্বাচিত আবেদনকারীর প্রদত্ত বিকাশ নম্বরে প্রণোদনা হিসেবে নির্ধারিত টাকা প্রদানের প্রক্রিয়া অনতিবিলম্বে শুরু হবে।

প্রণোদনা প্রদানের বিষয়ে এক শিক্ষার্থী অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, অবশেষে টাকাটা দেওয়া হচ্ছে জেনে খুশি হয়েছি। তবে এটি আরো আগে দিলে ভালো হতো। তবে দেরীতে হলেও টাকা দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি।

এ বিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড.ইমরান পারভেজ সাংবাদিকদের বলেন , মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদানের জন্য সম্মতি প্রদানের জন্য।

স্যারের সার্বিক দিক নির্দেশনা ও সহযোগিতায় আজ নির্বাচিত অনুদানপ্রার্থীদের মধ্যে সহায়তার অর্থ তাদের প্রদত্ত বিকাশ নাম্বারে পৌঁছে দেয়ার কাজ চলছে । আশা করছি প্রাপ্ত অর্থ শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক কাজে ব্যবহার করবে।

হাবিপ্রবি: অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


অনলাইন ক্লাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার ( ৭ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে হাবিপ্রবির ফিশারিজ অনুষদের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা শুরুর দাবিতে মানববন্ধন করে।

করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৫ মাস থেকে অলস সময় অতিবাহিত করছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এর ব্যতিক্রম নন দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের( হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোদমে অনলাইন ক্লাস হলেও হাবিপ্রবিতে তেমনভাবে অনলাইন ক্লাস শুরু হয় নি।

শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন রয়েছে হতাশায়, অন্যদিকে সেশনজটের মতো অভিশাপের মুখে পড়েছে হাজারো শিক্ষার্থী। এরই ধারাবাহিকতায় অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষার জন্য মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ তারেক বলেন, ” কয়েকমাস আগে থেকেই দেশের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে, শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাদে। আর এতে করে আমাদের সেশনজট দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। ফিসারিজ ১৮ ব্যাচের লেভেল ২ সেমিস্টার ২ এর ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিলো মার্চ মাসের শেষদিকে।

কিন্তু করোনার সাধারণ ছুটি শুরু হওয়াতে সব ভেস্তে যায়। করোনার সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পূর্বেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আন্দোলন ও অন্যান্য কারণে প্রায় ৪ মাসের জট ছিলো ।বর্তমানে সে জট প্রায় ১ বছরের মতো হতে চলেছে।

এতে করে নিম্নবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীরা অনিশ্চিয়তায় দিন পার করতেছে। ইউজিসি থেকে গত জুলাই মাসে অনলাইন ক্লাস শুরু করার কথা বলা হলেও হাবিপ্রবি প্রশাসন সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয় ২০ আগস্টে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হাবিপ্রবি প্রশাসন শুধুমাত্র অসমাপ্ত সেমিস্টারের ক্লাসের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু যাদের ফাইনাল পরীক্ষা আটকে গেছে তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাই একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসাবে বলতে চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণ করুক। কিংবা পরবর্তী সেমিস্টারের অনলাইন ক্লাস শুরু করুক “।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফিসারিজ অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এ.কে.এম রুহুল আমিন বলেন, ” গত মাসের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেখানে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে অসমাপ্ত সেমিস্টারের ক্লাসগুলো সমাপ্ত করার ব্যাপারে।

কিন্তু যাদের পরীক্ষা আটকে আছে তাদের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। এটি শুধু একটি লেভেলের কিংবা একটি বিভাগের কিংবা একটি অনুষদের জন্য নয় বরং সকল অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য।আমরা তো একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করতে পারিনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তি কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আমরা তখন সেভাবে একাডেমিক কার্যক্রাম পরিচালনা করবো।”

এ দিকে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ ফজলুল হক ( বীর মুক্তিযোদ্বা) বলেন, ” বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন মানববন্ধন অনাকাঙ্ক্ষিত। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলে যদি কোনো শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন সে দায়ভার কে নিবে ?

আমার অনুষদে কিছু শিক্ষার্থীর ভাইভা অনলাইনে নেয়া শুরু হয়েছে। সেখানেও আমরা নানা প্রতিবন্ধকতা লক্ষ্য করছি। অনেক শিক্ষার্থী ভাইভাতে অনুপস্থিত, আবার অনেকের ছবি দেখা যাচ্ছে না ঠিক মতো, অনেকের আবার নেট পাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ক্লাস করা আর অনলাইনে ক্লাস করার মাঝে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবে আমরা লক্ষ্য করছি ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেওয়ার কথা চিন্তা করছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তা করছি। সরকারের সিদ্ধান্তের উপর বিষয়গুলো নির্ভর করছে।

আবার অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করছে যে, ফাইনাল পরীক্ষা আটকায় গেছে বিধায় পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হচ্ছে না? এ বিষয়ে প্রশাসনের বক্তব্য যদি কোনো শিক্ষার্থী আগের সেমিস্টারে অকৃতকার্য হয় তখন পরবর্তী সেমিস্টারে ক্লাস করা তার জন্য অযথা। এ ছাড়া নিয়মের বাহিরে গিয়ে তো কোনো কিছু করা সম্ভব না। তবে আশা করছি খুব দ্রুতই সব কিছুর সমাধান হয়ে যাবে ।”

প্রসঙ্গত , হাবিপ্রবিতে বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষা আটকে যাওয়ার কারণে নতুন সেমিস্টারের অনলাইন ক্লাস শুরু হচ্ছে না। আর এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।

স্বাস্থবিধি মেনে হাবিপ্রবিতে জাতীয় শোক দিবস পালিত

 

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি


যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ শনিবার (১৫ আগষ্ট) হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালিত হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে একাডেমিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়।

সকাল ৯.১৫ টায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ কালো ব্যাচ ধারণ করেন। এরপর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহীআত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। ক্রমান্বয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার নেতৃবৃন্দ, কর্মচারিগণ, হাবিপ্রবি স্কুলের শিক্ষকগণ। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

সকাল ১০.৩০ মিনিটে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের বাণী পাঠ করা হয়। বানীতে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধ-বিধ্বস্থ দেশকে গড়ে তুলতে দিন-রাত কাজ করছেন, বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি আদায় করছেন, জাতিসংঘ এবং ওআইসিসহ নানা ফোরামে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ, দারিদ্র্য আর ক্ষুধা থেকে দেশ বাঁচাতে সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছেন ঠিক সেই মুহুর্তে স্বাধীনতা বিরোধী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের যোগসাজসে তাঁকে হত্যা করা হয়। এ দেশের কিছু বিপথগামী ও কুলাঙ্গার সেনা সদস্যরা ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে যে নৃশংসভাবে হত্যা করে তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দারিদ্র নিরসন ও সামাজিক উন্নয়নেও অর্জন এখন লক্ষনীয়। বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়কে ধাবমান। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে। ২০৩০ সনের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত একটি সমৃদ্ধ জাতি গড়ার পথে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এবার আমরা এক ভিন্ন পরিস্থিতিতে জাতীয় শোক দিবস পালন করছি। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব কোভিড ভাইরাস সংক্রমন জনিত মহামারীতে আক্রান্ত। জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সঠিক ও গতিশীল নেতৃত্বে জাতি এই মহাসংকট যেভাবে মোকাবিলা করছে তা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং জাতিসংঘ কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে”।

সকাল ১০.৫০ মিনিটে কিছু ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। বাদ যোহর হাবিপ্রবি’র কেন্দ্রীয় মসজিদে জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

প্রসঙ্গত, বিকাল ৬.৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা অবনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

 

আবেদনের আড়াই মাসেও দেওয়া হয়নি অনুদানের টাকা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

হাবিপ্রবি টুডে: করোনাকালে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিলেও দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আবেদন আহবান করে সহায়তা না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

তবে এর আগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনবল কম থাকায় আবেদন ফর্ম থেকে উপযুক্তদের বাছাই প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। ঈদ পরবর্তী সময়ে চূড়ান্তভাবে মনোনিতদের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় “ছাত্র-কল্যান তহবিল” থেকে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর অর্থ সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন দুই হাজার দুইশত জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৪০০ জনের আবেদন প্রক্রিয়ায় ভুল ও গরমিল থাকায় তা বাতিল হয়ে যায়।

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ফেসবুক গ্রুপে কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এই অনুদানের অর্থ আরো অনেক আগেই দেওয়া উচিৎ ছিল। ধীরে ধীরে সব কিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত অনুদান দেয়নি। আপদ-কালীন সময়ের ঘোষিত এমন একটা স্পর্শকাতর অনুদান বাস্তবায়নে বিলম্ব করাটা প্রশাসনের উদাসীনতা ছাড়া কিছুই নয়।

অর্থনীতি বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: আনিসুজ্জামান বলেন, “ঘোষণা দেবার এক মাসের মাঝে তা কার্যকর করতে পারলে শিক্ষার্থীদের উপকারে আসত।এভাবে সময়ক্ষেপণ করার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর প্রতি আস্থা কমে আসতেছে সবার। তাদের মনে রাখা উচিত শিক্ষার্থীদের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়”

সর্বশেষ ঈদের ছুটির আগে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই সংক্রান্ত খাতে ছয় লক্ষ’র মতো টাকা আছে। আগস্টের ৯ তারিখ থেকে(সম্ভাব্য) সব বিভাগের অনলাইন ক্লাস শুরু হবে এবং তার পূর্বেই অনুদানের টাকা মনোনীতদের দেওয়া হবে। যা এখনো পাননি আবেদন করা শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “উপাচার্য মহোদয় এর ইচ্ছা শিক্ষার্থীরা যেন এই অর্থ তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে লাগাতে পারে। আগামী রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হলে এর পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে টাকা প্রদান করা হবে।”

অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম

তানভির আহমেদ
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি


দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন আ’ক্রান্তের সাথে ক্রমশ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃ’তের সংখ্যা। সেই সাথে বাড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির সংখ্যা।

তাই অফলাইন থেকে অনলাইনে ইন্টারনেট নির্ভর বিভিন্ন সেবার সাথে মানুষকে সুপরিচিত করেছে তুলেছে করোনাকালীন ঘরব’ন্দী এই সময়।

টেলিপ্যাথি, ই-কমার্স এর পাশাপাশি ক্যারিয়ার আড্ডা, টকশো, বিভিন্ন সভা-সেমিনার, এমনকি নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স অনলাইনে করা থেকে ক্লাস পর্যন্ত করছে মানুষ।

অনলাইন ক্লাস ধারণার সাথে এদেশের শিক্ষার্থীরা সুপরিচিত না হলেও বেশ কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করেছেন। এমনকি অনলাইনে পরীক্ষা নিয়ে সেমিস্টার শেষ করার ঘটনাও ঘটছে সেখানে।

গত ২৬ মে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান এর সভাপতিত্বে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে একটি অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সেশন জট কমিয়ে আনতে অনলাইন ক্লাসে চালুর বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ।

ইউজিসি জানিয়েছেন অনলাইনে ক্লাস হলেও হবেনা কোন পরীক্ষা। উক্ত সিদ্ধান্তের আলোকে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) সম্প্রতি অনলাইন ক্লাসে যাওয়ার জন্য অফিস আদেশ জারি করেছেন কর্তৃপক্ষ। এতে অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চালিয়ে যেতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্ব-স্ব অনুষদীয় ডীনগনকে বলা হয়েছে।

অফিস আদেশ জারি হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

বিভিন্ন বিভাগ এবং অনুষদে খোঁজ নিয়েও অনলাইন ক্লাস চালুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থী উপস্থিতির সংখ্যা তুলনামূলক কম বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ ব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, “ক্লাস শুরু করা প্রয়োজন, চাকুরির দিক থেকেও বয়স বাড়ছে। অনেকের মোবাইলে থ্রি জি নেটওয়ার্ক সেবা ও ডেটার দাম বেশি হওয়ায় সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে রেকর্ড ক্লাস, ভিডিও, পিডিএফ পরে দেখে নেওয়া যায়! এছাড়া আমরা বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এখন সারাদিন অনলাইনেই থাকি। করোনা পরিস্থিতি কবে নাগাত স্বাভাবিক হবে তারও ঠিক নেই। যাদের সমস্যা তাদের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেখা উচিত, যাতে শিক্ষা বৈষম্য সৃষ্টি না হয় “।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ ব্যাচের এফপিই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মিনহাজ আবিদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পর থেকে মেসে না থেকেও ৫০% মেস ভাড়া দিয়ে আসছি। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বেকার হয়ে বাড়িতে পরে আছে। এছাড়াও কিছু শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার কথা থাকলেও তা কবে করা হবে জানিনা। আমি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো, প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে ক্লাস শুরু করতে। যাদের সমস্যা আছে তাদের জন্য যেনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়”।

জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার জানিয়েছেন, “অনলাইন ক্লাসের উপর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নিয়ে ইতোমধ্যে একটা প্রশিক্ষন কর্মশালা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশ কিছু বিভাগ অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের হাতে ছোট মোবাইল ফোন রয়েছে যার দ্বারা ক্লাস করা সম্ভব নয়।

এক্ষেত্রে মঞ্জুরী কমিশন বা সরকার ‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ’ প্রকল্প যদি কোনভাবে শুরু করতে পারে তাহলে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে, তাহলে শিক্ষাটাকে আমরা একটা পর্যায়ে রাখতে পারবো”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা.মো: ফজলুল হক (মুক্তিযোদ্ধা) বলেন, “মার্চের মাঝামাঝি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ আছে। সীমিত আকারে অফিস গুলো চালু রাখা হয়েছে। হলগুলো ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র বিদেশি শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করছেন এ মুহুর্তে। এতো লম্বা ছুটিতে শিক্ষার্থীরা কিছুটা জটে পড়েছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। সেই জট কাটিয়ে উঠতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা আরম্ভ করেছি আমরা।”

অনির্দিষ্টকালের জন্য হাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা

তানভির আহমেদ, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি


প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আজ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার (১৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৬ জুন, ২০২০ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, পরিক্ষা ও আবাসিক হলসমূহ বন্ধ থাকবে এবং শর্তসাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অফিস সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরি সেবা চালু থাকবে। ডাক্তারগণ টেলি-মেডিসিন সেবা প্রদান করবেন। বয়স্ক, ঝুকিপূর্ণ, অসুস্থ কিংবা সন্তানসম্ভবা নারীগণ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তাগণ কর্মস্থল (দিনাজপুর) ত্যাগ করবেন না এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত বহিরাগত কোন ব্যক্তিকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও অবস্থান না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।