নুরদের ওপর হামলা: মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদকসহ আটক ২

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নূর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলার ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্যকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. আবদুল বাতেন।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা। হামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ওই হামলায় নুরসহ অন্তত ৩২ জন আহত হন।

হামলার ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়েন। হামলায় অন্তত ৩২ জন আহত হন।

এদিকে হামলায় ছাত্রলীগ নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগের একজনের কথা শুনেছি, ছাত্রলীগ তাকে আগেই বহিষ্কার করেছে অপকর্মের জন্য

ফাহাদ হত্যার ঘটনায়, বুয়েট ছাত্রলীগের ২ নেতা আটক

বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবরার ফাহাদ নামে এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির (বুয়েট) ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাকিন ফুয়াদ এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলকে চকবাজার থানা পুলিশ আটক করে বলে জানা গেছে।



ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাকিন ফুয়াদ এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলকে আটক করেছে চকবাজার থানা পুলিশ।



ফাহাদ হত্যার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে হল অফিস ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এদিকে ওই সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, রাত ২টা ৬ মিনিটের পর আর কোন ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ফুটেজ পেলে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া একাধিক শিক্ষার্থী মোবাইলে ভিডিও করার কথা শোনা গেলেও তা এখনো পাওয়া যায়নি।

কৃষ্ণপদ রায় বলেন, “ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি। আমরা দেখছি কারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই।”

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, “কয়েকটি সিটি সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিচার বিশ্লেষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক, যে জড়িত থাকবে তাকেই তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”

উল্লেখ্য, রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরে বাংলা হলের ভেতর ওই ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়। ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। এছাড়া তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে