৬ষ্ঠ শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা

৬ষ্ঠ শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা | ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২১ শিক্ষাবর্ষের পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টে কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিষয়ের প্রথম অধ্যায় থেকে একটি এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে। অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নঃ একজন আত্মমর্যাদাবান মানুষ হিসেবে কোন কোন বৈশিষ্ট্য তোমার মধ্যে আছে? আর কি কি বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে দেখতে চাও এবং কেন?

ষষ্ঠ শ্রেণি, সপ্তম শ্রেণি, অষ্টম শ্রেণি, নবম শ্রেণি শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ম সপ্তাহের ২০২১ অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (www.dshe.gov.bd). এই আর্টিকেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা এর নমুনা উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হবে।

যে যেহেতু প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাদের নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্ট বিদ্যালয় জমা দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে। সুতরাং ক্লাস ষষ্ঠ এর শিক্ষার্থীদের জন্য এই অ্যাসাইনমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই অ্যাসাইনমেন্ট আপনার বিদ্যালয় জমা দিলেই আপনি পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে পারবেন।

ষষ্ঠ শ্রেণি কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১

নির্ধারিত কাজ -২
মিনু (গদ্য)
পাঠ নম্বর ২

অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নঃ একজন আত্মমর্যাদাবান মানুষ হিসেবে কোন কোন বৈশিষ্ট্য তোমার মধ্যে আছে? আর কি কি বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে দেখতে চাও এবং কেন?

ষষ্ঠ শ্রেণি কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর নমুনা উত্তর । তোমাদের ষষ্ঠ শ্রেণীর পঞ্চম সপ্তাহের কর্ম জীবন মুখী শিক্ষা বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর লিখলে ভাল ফলাফল পাবেন বলে আশা করছি।

এসাইনমেন্ট এর উত্তরঃ

আত্মমর্যাদাঃ কর্মেই আনন্দ। কাজের মাধ্যমে যেমন সফলতা অর্জন করা যায় তেমনি নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে তৈরি করা যায়। কর্মের মাধ্যমে সমাজের আত্মমর্যাদা অর্জন করা যায়। আত্ম শব্দের অর্থ হলো নিজ আর মর্যাদা শব্দের অর্থ হলো সম্মান। আত্মমর্যাদা মানে হল অপরকে সাহায্য করা, নিজেকে ভালোবাসা ও অন্যের প্রতি সহনশীল হওয়া, অন্যকে সম্মান করা, অন্যের পছন্দ-অপছন্দকে সম্মান করা ইত্যাদি।

অনেকে মনে করেন আত্মমর্যাদা হলো নিজের কাছে নিজের সম্মান ও মানুষ হিসেবে নিজের পরিচয় সম্পর্কে সচেতন থাকা কিন্তু বস্তুতপক্ষে আত্মমর্যাদা হলো নিজের চারপাশ ও নিজের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সে অনুযায়ী আচরণ করা। অন্যায় কাজ করতে লজ্জাবোধ করা, মানুষ হিসেবে সকল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য আচরণ করা, ভালো নতুন কিছু চিন্তা করা ইত্যাদি হল আত্মমর্যাদার পরিচয়।

৬ষ্ঠ শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট বাংলা

৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (dshe.gov.bd)

মানুষের চরিত্রে আত্মমর্যাদাবোধ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। একজন মানুষ হিসেবে প্রত্যেকের কর্মজীবনে এবং ব্যক্তিগত জীবনে আত্মমর্যাদাবোধ থাকা উচিত। একজন আত্মমর্যাদাবান ব্যক্তি সমাজের খুব সহজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। সমাজের সকল স্তরের মানুষ দ্বারা সম্মানিত হয় এবং কর্ম জীবনে সফলতা লাভ করেন।

আত্মমর্যাদার ধারণা: ‘আত্ম’ অর্থ ‘নিজ’ আর ‘মর্যাদা’ অর্থ ‘সম্মান’। অতএব, আত্মমর্যাদা বলতে ‘নিজের প্রতি সম্মান’ কে বোঝায়।

আত্মমর্যাদার বৈশিষ্ট্য:

১. নিজের কাছে নিজের সম্মান ও মানুষ হিসেবে নিজের পরিচয় সম্পর্কে সচেতন থাকা।
২. নিজের পরিবেশ ও নিজের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সে অনুযায়ী আচরণ করা।
৩. অন্যায় কাজ করতে লজ্জাবোধ করা।
৪. মানুষ হিসেবে সকল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য আচরণ করা।
৫. ভালো ও নতুন কিছু চিন্তা করা আত্মমর্যাদাবোধের পরিচয় বহন করে।
৬. সবার কাছে গ্রহণযোগ্য রুচিবোধের প্রকাশ আত্মমর্যাদাবোধের পরিচয়।

আত্মমর্যাদাবান মানুষের আর যে যে বৈশিষ্ট্য আমার নিজের মধ্যে দেখতে চাই এবং তার কারণ যুক্তিসহ লিখা হলো-

১) আমাদের আত্মমর্যাদার প্রকাশ ঘটে কাজের মাধ্যমেই। নিজের কাজ নিজে করাটা আত্মমর্যাদার পরিচায়ক।
২) গুরুজনের চাওয়া-পাওয়াকে শ্রদ্ধা করা এবং তাদের মতামত মেনে চলার চেষ্টা করাও আত্মমর্যাদাবোধের পরিচয় বহন করে।
৩) একজন আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন মানুষ অন্যের অসুবিধা হয় এমন কিছু কখনোই করেন না।

৪) সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, গণসাক্ষরতা অভিযান অনুযায়ী আত্মমর্যাদা সম্পর্কে সচেতনতার পরিচয় বহন করে।
৫) অন্যের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো এবং সম্ভব হলে অন্যকে তার কাজে যথাসাধ্য সাহায্য করাও আত্মমর্যাদাবোধের বহিঃপ্রকাশ।
৬) নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা আত্মমর্যাদার অন্তর্ভুক্ত।

একজন মানুষ হিসেবে সমাজের চলার জন্য অবশ্যই তাকে আত্মমর্যাদাবান হয়ে ওঠা উচিত। একজন আত্মমর্যাদাবান মানুষ হিসেবে আমি উপরোক্ত বিষয় সমুহ আমার চরিত্রে অবলম্বন করে সামনের জীবনে এগিয়ে যেতে চাই।

৬ষ্ঠ শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট বাংলা

৬ষ্ঠ শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট বাংলা | Class 6 Bangla Assignment 5th Week ষষ্ঠ শ্রেণি, সপ্তম শ্রেণি, অষ্টম শ্রেণি, নবম শ্রেণি শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ম সপ্তাহের ২০২১ অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (www.dshe.gov.bd). এই আর্টিকেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট বাংলা এর নমুনা উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হবে। অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নঃ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সহপাঠীর প্রতি তোমার আচরণ কেমন হওয়া উচিত বা অনুচিত তা একটি ছকের মাধ্যমে তুলে ধর।

যে যেহেতু প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাদের নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্ট বিদ্যালয় জমা দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে। সুতরাং ক্লাস ষষ্ঠ এর শিক্ষার্থীদের জন্য এই অ্যাসাইনমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই অ্যাসাইনমেন্ট আপনার বিদ্যালয় জমা দিলেই আপনি পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে পারবেন।

ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১

নির্ধারিত কাজ -২
মিনু (গদ্য)
পাঠ নম্বর ২

অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নঃ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সহপাঠীর প্রতি তোমার আচরণ কেমন হওয়া উচিত বা অনুচিত তা একটি ছকের মাধ্যমে তুলে ধর।

ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর নমুনা উত্তর

যে সকল শিশুর ইন্দ্রিয় ক্ষমতা বুদ্ধি বা শারীরিক ক্ষমতা এতটাই ভিন্ন যে কারণে তাদের জন্য বিশেষ শিক্ষা বা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন হয়, সেই সকল শিশুকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলা হয়। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলতে সেইসব শিশুদের বুঝায় সমবয়স্কদের তুলনায় যাদের বুদ্ধি সংবেদন, শারীরিক বৈশিষ্ট্য, ভাব বিনিময় ক্ষমতা ও সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মাত্রার কম বা বেশি হয় তাকেই ব্যতিক্রমী শিশু বলে আখ্যায়িত করা হয়। অর্থাৎ যারা সাধারণের বাইরে তারাই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু।

৪র্থ সপ্তাহ : ৬ষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট ২০২১

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষা পদ্ধতি ভালো ফল দেয় । এ ধরনের শিশুদের যদি জটিল বিষয়কে সহজ-সরলভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করে শেখানো যায় তবে তারা সহজে বুঝতে পারবে। শ্রেণীকক্ষ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষাদান করা যেতে পারে।

আমার শ্রেণিতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু থাকলে তার প্রতি আমার অনেক দায়-দায়িত্ব থাকবে।

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সহপাঠীর প্রতি আমার আচরণ যেমন হওয়া উচিত বা অনুচিত তা একটি ছকের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো-

আমার আচরণ যেমন হওয়া উচিত

* বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের প্রথম সারিতে বসানোর ব্যবস্থা করতে পারি।
* তাদেরকে কথা বলার বা দেখানোর সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি।
* কিছু না বুঝলে অথবা বুঝতে অসুবিধা হলে বুঝিয়ে দিতে পারি।
* সহজ, সরল ও সাবলীল ভাষায় তাদের সাথে কথা বলতে পারে।

* তাদের সাথে সর্বদা ভালো আচরণ করতে পারি।
* তাদেরকে যে কোন সমস্যায় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে পারি।
* তাদের কোনো অসুস্থতা দেখা দিলে বিলম্ব না করে শিক্ষকদের জানাতে পারি।

* তাদেরকে সব সময় হাসিখুশি তথা বিনোদনের মধ্যে রাখতে পারি।
* শ্রেণীর অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও যেন তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে পারে সে ব্যবস্থা করতে পারি।
* তাদের সাথে ভাই বোনের মতো আচরণ করতে পারি।

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সহপাঠির আমার আচরণ যেমন হওয়া উচিত নয়

* তাদেরকে পেছনে রেখে সামনের সারিতে বসা উচিত নয়।
* তাদের সাথে কথা বলা উচিত নয়।
* তাদেরকে কথা বলায় বাধা দেওয়া উচিত নয়।
* তাদের সাথে কখনোই খারাপ আচরণ করা উচিত নয়।
* তাদেরকে কখনোই প্রতিবন্ধী কিংবা অটিস্টিক বলা যাবে না।