ধর্ষণকে রুখতে সংসদ ভবনের সামনে মানববন্ধন করলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

মাজেদুল ইসলাম
শেকৃবি প্রতিনিধি


উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে বাংলাদেশ নাকি ধর্ষণের জোয়ারে??প্রশ্নবিদ্ধ বাংলার আপামর জনতার বিবেক। সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষত ফেসবুক স্ক্রল করলে নিউজফিড ও মেসেন্জার গ্রুপ গুলো সরগরম এখন ধর্ষণ নিয়ে।তবুও সরকার যেন গা ঢাকা ভাব পোষণ করছে!!

বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ আজ গর্জে উঠেছে ধর্ষণের বিরুদ্ধে এবং ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি পাবলিক প্লেসে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার জন্য।

বিশেষত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ঘটমান পৈশচিক, মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দায় ধর্ষণের মতো নিকৃষ্ট ঘটনায় জাতির বিবেক আজ নিষ্পেষিত।

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আজ ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন করে।মিছিলটি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সেকেন্ড গেইট দিয়ে শুরু হয় জাতীয় সংসদ ভবন পর্যন্ত চলে। জাতীয় সংসদের সামনে শিক্ষার্থীগণ সমবেত হয়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বক্তব্য এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাত( ৭) দফা দাবি উত্থাপন করে।

প্রধানমন্ত্রী ধর্ষকের শাস্তি পাবলিক প্লেসে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে দ্রুত ধর্ষণমুক্ত বাংলাদেশ উপহার দেবে এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন শেকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ

৯ বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করালেন স্বামী

সারাদেশ টুডে


ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৯ বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বামীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নির্যাতিতা নারীর স্বামী (৩৫) ও নজরুল ইসলাম (২৫)। এজাহারভুক্ত দুই আসামি হাকিম মিয়া (৩০) ও আক্তার হোসেন (৪০) পলাতক।

শুক্রবার রাতের এ ঘটনায় গত শনিবার ঈশ্বরগঞ্জ থানায় স্বামীসহ চারজনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন ওই নারী।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই ওই নারীর স্বামী (বাড়ি উপজেলার সরিষা ইউনিয়নে) যৌতুক দাবি করতেন। স্ত্রীকে অনৈতিক কাজে রাজি করাতে না পেরে শারীরিক নির্যাতন করতেন। বিয়ের তিন বছরের মাথায় স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেন। পরে তিনি আগের ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করে বাড়িতে নেন। কিছুদিন পর আগের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন স্বামী।

এদিকে ১৫ দিন আগে স্বামী স্ত্রীকে জানান, তাকে একটি জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যাবেন। সেখানে তার বন্ধুরা থাকবেন। এতে রাজি না হওয়ায় স্বামী মারধর করায় স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে আসেন।

গত শুক্রবার তিনি ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার স্টেশন এলাকায় একটি বাসায় কাজ করতে যান। খবর পেয়ে তার স্বামী বাসাটি থেকে তাকে নিয়ে অন্যত্র চলে যান। বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরার পর রাতে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে জাটিয়া ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে বাবু মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে নেন। সেখানে স্বামী ও স্বামীর বন্ধুরা তার সর্বনাশ করেন।