আদালতে ‘দৈনিক সংগ্রাম’ পত্রিকার সম্পাদক

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ‘দৈনিক সংগ্রাম’ পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে হাতিরঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব তালুকদার দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় এ মামলাটি করা হয়েছে।

৩৬ নম্বর ওয়ার্ড মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আফজাল ‘দৈনিক সংগ্রাম’ পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন।

আদালতে তাঁকে রিমান্ড চাইবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য এখনো জানা যায়নি।

বাড়িতে গিয়ে ৩ বোনকে জেলে দেওয়ার হুমকি, এসআই প্রত্যাহার

সারাদেশ টুডেঃ ইয়াবা দিয়ে কলেজ পড়ুয়া তিন বোনকে জেলে ঢোকানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের নির্দেশে বিশ্বনাথ থানা থেকে তাকে সিলেট পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিম্বের)দুপুরে বিশ্বনাথ থানা থেকে ফরিদ উদ্দিনকে সিলেট পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা বলেন, ‘রাহেলা বেগম নামের এক নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসপি স্যার এসআই আবদুল লতিফকে ক্লোজড করেছেন।’

জানা যায়, গত ৮ডিসেম্বর রোববার বিশ্বনাথ থানা পুলিশের এসআই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ এনে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন ওই দুই কলেজ ছাত্রীর মা রাহেলা বেগম (৪৫)। তিনি বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তি জানাইয়া গ্রামের আশিক আলীর স্ত্রী।

এ দিকে গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাহেলা বেগমের সতিন একই বাড়ির বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম (৪০) তার সতিন রাহেলা ও তার ছেলে মেয়েদের বিরুদ্ধে থানায় মারধরের লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ তদন্তে ওইদিন দু’বার দুই সতিনের বাড়িতে গিয়ে এসআই লতিফ রাহেলা বেগমের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন এবং তার কলেজ পড়ুয়া তিন মেয়েকে ইয়াবা বড়ি দিয়ে জেলে ঢোকানোর হুমকি দেন।

এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোদের মতো হাজারও বেহায়া মেয়েদের জেলে ঢুকিয়ে উচিৎ শিক্ষা দিয়েছি। আর আমার হাত কতটুকু লম্বা তোরা কেনো? প্রধানমন্ত্রীও জানেন-না!’

জাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ২২৪ পৃষ্ঠার ‘দুর্নীতির খতিয়ান’ প্রকাশ

জাবি টুডেঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে ২২৪ পৃষ্ঠার ‘দুর্নীতির খতিয়ান’ প্রকাশ করেছে আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বই আকারে এ খতিয়ান প্রকাশ করা হয়।

২২৪ পৃষ্ঠার কালো প্রচ্ছদের এ খতিয়ানে ভিসি প্রফেসর ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে ১১টি খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার নানা তথ্য-চিত্রসহ অন্তত ৭৫টি দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। এছাড়া খতিয়ানে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় দুর্নীতিবিরোধী ৭ ইশতেহার প্রস্তাব করেছে আন্দোলনকারীরা।

কালো প্রচ্ছদের খতিয়ানটিতে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনের ইতিবৃত্ত; অপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যানের সংকট; উপাচার্যের দুর্নীতির পূর্বাপর; আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার বৃত্তান্ত; বিভিন্ন সময় দেয়া স্মারকলিপি, লিফলেট, সংবাদ বিবৃতি; আচার্যের কাছে খোলা চিঠি, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সময়ের প্রতিবেদন; কার্টুন, গ্রফিতি, পেইন্টিং ও স্থিরচিত্র; আন্দোলনের ক্রমপঞ্জি; দুর্নীতিবিরোধী ৭টি ইশতেহারসহ আন্দোলনের নানা দিক খতিয়ানে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইশতেহারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত প্রশাসনিক, একাডেমিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অর্থনৈতিক হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করা, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন, সংশোধন এবং যে কোনো অবকাঠামোগত উন্নয়নে সব অংশীজনের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ করা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিয়ে সিনেট পূর্ণাঙ্গ করা এবং সমস্ত বাণিজ্যিক কোর্স এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনার বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।

এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, ‘উপাচার্য নিজের পদে আসীন থেকে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দুর্নীতির মহোৎসব দেখা যাবে। তিনি উন্নয়নকাজ দেখভালের যোগ্যতা হারিয়েছেন বলেই আমরা তার পদত্যাগ চেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় এখন গভীর সংকটে নিমজ্জিত। আশা করছি, সরকার এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।’

এ সময় সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সহ-সভাপতি মুশফিক-উস-সালেহীনের সঞ্চালনায় আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন খতিয়ানের ‘ভূমিকা’, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু ‘উপাচার্যের দুর্নীতির পূর্বাপর’ ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ ‘দুর্নীতিবিরোধী ইশতেহার’ পাঠ করেন।

এদিন সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক খবির উদ্দিন, অধ্যাপক আব্দুল জব্বার হাওলাদার, অধ্যাপক তারেক রেজা, অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ প্রমুখ। এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে গত বছর ২৩ অক্টোবর ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা অনুমোদন দেয় একনেক। এই কাজের নানা অনিয়ম, ত্রুটি, দুর্নীতিসহ কয়েকটি অভিযোগ তুলে আন্দোলন করে আসছে একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

মিছিলে অংশ না নেয়ায় ‘পিটিয়ে’ হল থেকে বের করে দিল ছাত্রলীগ!

কুয়েট টুডেঃ মিছিলে না যাওয়ায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(কুয়েট) ছাত্রলীগ এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হল থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রহৃত শিক্ষার্থীর নাম আহমেদ জেবাইল মেরাজ। তিনি বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ওই হলের আবাসিক ছাত্র।

সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রহৃত শিক্ষার্থী জেবাইল মেরাজ অভিযোগ করেন, হল থেকে ব্যক্তিগত কাজে বের হওয়ার সময় লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র রেদওয়ানের নেতৃত্বে ৫/৬ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী আমাকে ঘিরে ধরে মিছিলে অংশ না নিয়ে বাইরে যেতে নিষেধ করেন। তাদেরকে জরুরি কাজ আছে জানালে তারা আমার ওপর চড়াও হন। কেউ চড় থাপ্পড় ও কেউ কিল ঘুষি মারেন। এরপর তারা আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে কুয়েট ছাত্রলীগের শোডাউন চলছে ক্যাম্পাসজুড়ে। এই শোডাউনে অংশ গ্রহণের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের জোর করে বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, খোঁজ খবর নিচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মেরাজের ব্যাপারটা শুনেছি। বিষয়টি তার বিভাগীয় প্রধানকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।