তৃতীয় শেণির ছাত্রীর স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত, আদালতে মাদ্রাসা শিক্ষক

সাভার প্রতিনিধি


সাভারের আশুলিয়ায় কওমি মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টার অভিযোগে একই মাদ্রাসার শিক্ষক ছলিম আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আদালতে পাঠানো হয়ে

জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল পবনারটেক এলাকায় মারকাজুল কুরআন ও সুন্নাহ মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ছলিম আহমদ মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানাধীন মাইজগ্রাম এলাকার সমছ উদ্দিনের ছেলে।

মামলা সূত্র জানা গেছে, ওই ছাত্রী স্থানীয় কওমি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। মাদ্রাসার শিক্ষক ছলিম আহমদ তার মেয়েকে বিভিন্ন সময় জড়িয়ে ধরে এবং শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেয়।

আরো জানা গেছে, গত ১০ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ওই শিক্ষক তার মেয়েকে ডেকে নিয়ে জড়িয়ে ধরে। একপর্যায়ে তার উপর হামলে পড়ে। এ সময় তার মেয়ে চিৎকারে করলে তাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়। সেই থেকে ওই মেয়ে ওই মাদ্রাসায় যায় না। তাকে মাদ্রাসায় যেতে বললে কান্নাকাটি করে। একপর্যায় মেয়ে এসব ঘটনা জানালে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ইউনুস বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে বুধবার এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

অদূর জঙ্গল থেকে শিক্ষকের ‘লাশ’ উদ্ধার, স্ত্রীসহ আটক ৫

সারাদেশ টুডে


নেত্রকোনায় শ্বশুরবাড়ি এলাকার জঙ্গল থেকে স্কুল শিক্ষক উজ্বল চৌধুরীর (৪১) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় স্ত্রী মনি, শাশুড়ি ললিতা, শ্বশুর আব্দুল হাই, শালা আরিফ ও রাজিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। উজ্বল চৌধুরী জেলার মদন উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা বিভাগের শিক্ষক। তিনি দুই সন্তানের জনক।

সোমবার ( ২৭ জানুয়ারি) সকালে নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় বাড়ির অদূরে জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটেছে।

গ্রাম সুত্রে জানা যায়, কোনাপাড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে মনিকে গত প্রায় আট বছর পূর্বে বিয়ে দেন মদন উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামের কেনু মিয়া চৌধুরীর ছেলের সাথে। এরপর থেকে মনি কোনাপাড়া তার বাবার বাড়িতেই বসবাস করতো। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

জানা গেছে, ২৭ জানুয়ারি, সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়ির অদূরে জঙ্গলের মাঝে সড়কের পাশে এলাকাবাসী লাশ দেখতে পেয়ে প্রথমে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমকে অবহিত করেন। পরে চেয়ারম্যান নেত্রকোনা মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা মর্গে পাঠায়।

হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসি। তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে উজ্বলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে টেনে নিয়ে অন্যত্র ফেলার চেষ্টা করছিল। গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ।

হাবিপ্রবির ছাত্র হলে ইয়াবা সেবন, আটক ২

হাবিপ্রবি টুডেঃ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( হাবিপ্রবি) তাজউদ্দীন আহমেদ হলে ইয়াবা সেবনকালে বহিরাগত ২ জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দীন আহমেদ হল সংলগ্ন স্টোর রুম থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকৃতরা হলেন- আসাদুজ্জামান সুমন (১৯) ও আলম হোসেন। সুমন বাশেরহাট উপজেলার মহাবলীপুর এলাকার অহিদুল ইসলামেতর ছেলে। আলম দিনাজপুর সদরের উত্তর সাদীপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. খালেদ হোসেন জানান, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সহকারী প্রক্টর ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তাজউদ্দীন আহমেদ হলের গণরুম সংলগ্ন স্টোর রুম হতে দুজনকে মাদক সেবনরত অবস্থায় আটক করা হয়। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।”


সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডের হাবিপ্রবি প্রতিনিধি তানভির আহমেদ।