বশেমুরবিপ্রবিতে মোমবাতি প্রজ্বলন করে আবরার হত্যার প্রতিবাদ

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) মোববাতি প্রজ্বলন করে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে বশেমুরবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোমবাতি প্রজ্বলন করে আবরার হত্যার প্রতিবাদ জানায়।

এর আগে সোমবার (০৭ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস হলের সামনে থেকে আবরার হত্যার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হয়ে অবশেষে জয়বাংলা চত্বরে অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ফাহাদ হত্যার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন এবং দোষীদের অবিলম্বে ফাঁসি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ৩ টার দিকে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাহাদকে শেরে বাংলা হলের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার মাঝামাঝি স্থানে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (০৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

“আবরারের বাব-মা’র অভিশাপে যেন ধ্বংস হয় অসুস্থ সমাজ”

ফেসবুক টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, দেশের গণমাধ্যম এবং বিশ্ব গণমাধ্যমে আলোচলনার শীর্ষে আবররার হত্যাকান্ড ও বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে ফেসবুকে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন।

স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য……

“বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগেরই ‘৬৯ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন আমার বাবা।সারা জীবন তার মুখে গর্বের সঙ্গে উচ্চারিত হওয়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার স্বপ্ন ছিল আমারও। ভর্তি পরীক্ষার ফরম তোলার সময় ঢাকার বাইরে থাকায় পরীক্ষাই দিতে পারিনি আমি! সেই দুঃখ ভোলার জন্য প্রায়ই ভেবেছি পুত্রদ্বয়ের যেকোনো একজন যেন এই মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশীদার হতে পারে।



একেকটা আঘাতে ছেলেটা কি ‘মা গো’ বলে চিৎকার দিয়েছিল? ‘মা গো’ ডাক শুনে খুনি ছেলেগুলোর কি একটুও নিজের মা-এর কথা মনে পড়েনি! ঠিক কতবার.., কতক্ষণ ধরে.., কতটুকু আঘাত করলে ২০/২১ বছরের একটা তরুণ ছেলে মরেই যায়! আমি আর ভাবতে পারি না।



এই প্রতিষ্ঠানের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগেরই ছাত্র ছিল আবরার। আবরারের কথা ভাবি আর আমার পুত্রদ্বয়ের মুখের দিকে তাকাই। আমার বুক কাঁপে। বাচ্চা দু’টোর পিঠ হাত-পা’র ওপর হাত বুলিয়ে দেই। ছোটবেলায় এ রকম ছোট ছোট হাত পা-ই তো ছিল আবরারের! তার মা কত রাত পিঠে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে তাকে!

একেকটা আঘাতে ছেলেটা কি ‘মা গো’ বলে চিৎকার দিয়েছিল? ‘মা গো’ ডাক শুনে খুনি ছেলেগুলোর কি একটুও নিজের মা-এর কথা মনে পড়েনি! ঠিক কতবার.., কতক্ষণ ধরে.., কতটুকু আঘাত করলে ২০/২১ বছরের একটা তরুণ ছেলে মরেই যায়! আমি আর ভাবতে পারি না।

ফেইসবুকে আবরারের পিঠটার ছবি দেখলাম। কী ভয়ংকর! কী নৃশংস! কী কষ্ট! এই ছবিটা যেন তার বাবা-মা’র চোখে না পড়ে। ভুল বলেছি। আবরারের বাবা, আবরারের মা তাদের বাবুটার ক্ষতবিক্ষত পিঠে হাত বুলিয়ে যেন অভিশাপ দেন মানুষের মতো দেখতে খুনি অমানুষগুলোকে। তাদের অভিশাপে যেন ধ্বংস হয়ে যায় এই অসুস্থ সমাজ।

নুসরাতকে ভুলে গিয়েছি, আবরারকেও ভুলে যাব, বিচার চাই বলে লাভ আছে কিনা জানি না তবুও, বিচার চাই।”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

আবরার হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিক্ষোভ-মিছিল

কুবি টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কুমিল্লা নগরীর টাউনহলে বিক্ষোভ মিছিলটি করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি), কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।



“আবরারসহ যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে সবগুলোর সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন নতুন আবরার হত্যার স্বীকার না হয় সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো হল প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে।”



বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগানের মূখরিত হয়ে উঠে কুমিল্লা নগরী।

স্লোগানের মধ্যে ছিলো- ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, সন্ত্রাসীদের ঠাই নাই’, ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘দিয়েছি রক্ত, আরও দেবো রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি।

বিক্ষোভ মিছিলের সময় কুবি শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম হানিফ বলেন, “আবরারসহ যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে সবগুলোর সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বজিৎ হত্যার মতো যেন আসামীরা আইনের ফাক দিয়ে বের হয়ে না আসে। ভবিষ্যতে যেন নতুন আবরার হত্যার স্বীকার না হয় সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো হল প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে।”

এছাড়াও কুবি’র আবদুর রহিম, ভিক্টোরিয়া কলেজের মহিউদ্দিন আকাশ ও সরকারী কলেজের সৈকতসহ বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা বক্তব্য প্রদান করেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্তত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিলে অংশগ্রহণ করে।



সংবাদ প্রেরক ‘দ্য ক্যাম্পাস টুডে’ এর কুবি প্রতিনিধি মুহাম্মদ ইকবাল মুনাওয়ার


 

বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ মুক্তি পাক

আবরার ফাহাদ! বুয়েট ক্যাম্পাসের উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলোর একজন ছিলো সে। কাল থেকে দেশের মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশিবার উচ্চারিত নাম। কিন্তু কেনো? কারন তার উপর করা বর্বরোচিত আঘাত এবং তারই ফলশ্রুতিতে এই সুন্দর পৃথিবী থেকে প্রস্থান ঘটেছে ছেলেটির।

কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, নটরডেম থেকে বুয়েটের ইইই। দেশসেরা ছাত্রদের একজন। বুয়েটের মত প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর জন্য তার নিজের, বাবা-মা’র, শিক্ষক সহ কতজনের কত শ্রম ছিলো, সবকিছু মাত্র ক’ঘন্টার ব্যবধানে পন্ড হয়ে যাবে কে ভেবেছিলো! কি দুর্ভাগা তার বাবা-মা!



বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ মুক্তি পাক


কত স্বপ্নের বীজ বপন করে রেখেছিল পরিবারটি। ভেবেছিলো এইতো কিছুদিন পর পরিবারের হাল ধরবে, সবার মুখে হাসি ফোটাবে। নরপিশাচরা একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে অতি জঘন্য ভাবে সব স্বপ্ন শেষ করে দিলো।

আবরারের বাবার স্টেটমেন্ট শুনলাম। যেখানে উনি বলছেন “আমাদের পরিবার আগাগোড়া নৌকায় ভোট দেই!”

মাত্রই মারা যাওয়া পুত্রশোকে কাতর বাবাকে পরিবারের রাজনৈতিক সমর্থনের পরিচয় দিয়ে বিচার চাইতে হয়! হায়! কোন দেশে আমরা আছি! কেনো শুধুমাত্র ভিন্নমত ধারণ করার কারনে কারোর জীবন চলে যাবে? কেনো এসব দিনেদিনে বাড়ছে? স্বাধীনতা অর্জনের অর্ধশতকের কাছাকাছি সময়ে এসে এমন পরিনতি কি আমাদের কাম্য ছিলো? সত্যিকার অর্থেই ভাষাহীন হয়ে গেছি!

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আমাদের দেশের ক্যাম্পাস গুলোতে অহরহ ঘটেছে। বিচারের জন্য অনেকেই হন্যে হয়ে ঘুরেও ন্যায়বিচার পায়নি।



ছেলেটি বুয়েটের না হয়ে গ্রামের কোনো এক কলেজের হলে কি এমন শোরগোল শোনা যেতো? এতো লিখালিখি বা নিউজ হতো? আমি নিশ্চিত হতো না।


কেনো ঘটছে এমন ঘটনা। সমাজে মানুষ বড় হয় মানবিকতা ও যুক্তিতর্কের মাঝে। আজকাল এই দুটি গুণ অনেকের মধ্যে দেখা যায় না। কণ্ঠরোধের সংস্কৃতি একটা দেশকে দিনকে দিন পিছিয়ে দিতে পারে কারন যেখানে তর্ক নেই সেখানে উন্নয়নের সুযোগ সীমিত। মানবিকতা গড়ে ওঠে পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে। অর্থ উপার্জন ও সামাজিক স্ট্যাটাস অর্জন মূখ্য উদ্দেশ্য হতে পারেনা। প্রতিষ্ঠান মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ। যার ফলশ্রুতিতে মানসিক বিকারগস্ত মানুষের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। সাথেসাথে ক্ষমতার অতিরিক্ত ব্যবহার ও শো-অফ মানসিকতাও অনেকাংশে দায়ী।

শুনলাম অমিত সাহা নামের একজনের রুমে অবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সেই হত্যায় সবচাইতে নিষ্ঠুর ভূমিকা পালন করে বলে খবরে এসেছে। কিন্তু তার নাম এজাহার থেকে বাদ, গ্রেফতারও হয়নি, ছাত্রলীগ ১১ জনকে বহিষ্কার করেছে, সেখানেও তার নাম নেই। হয়তো আরেকটি বিচারহীনতা দেখতে যাচ্ছে দেশ। এমন তো হবার কথা নয়।

আজ ছেলেটি বুয়েটের না হয়ে গ্রামের কোনো এক কলেজের হলে কি এমন শোরগোল শোনা যেতো? এতো লিখালিখি বা নিউজ হতো? আমি নিশ্চিত হতো না। তার অর্থ একটা ঘটনা যতক্ষণ না দেশের সবার কাছে পৌঁছাতে পারছে ততক্ষণ সবাই নিরব থাকছি, ততক্ষণ বিচার ঠিকমত হবে কি না তা নিয়ে আশংকায় থাকছি।

কিন্তু আমরা আশাকরি বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ মুক্তি পাক। দেশের বিরাজমান বিচারব্যবস্থায় যে শাস্তির বিধান রয়েছে তার সবকিছুর প্রয়োগ হোক। আমরা চায়না এমনভাবে আর কোনো মা’য়ের কোল খালি হোক। ক্যম্পাসগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল চরিত্র ফিরে পাক। সুষ্ঠু লেখাপড়া ও গবেষণার পরিবেশ দ্রুতই নিশ্চিত হোক।

লেখকঃ নাসির উদ্দিন, প্রধান সম্পাদক, দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

‘আমার বিশ্বাস, হত্যাকারীরা মারাত্মক নেশাগ্রস্থ ছিলেন’

জোবায়ের চৌধুরীঃ আমার বিশ্বাস, হত্যাকারীরা মারাত্মক নেশাগ্রস্থ ছিলেন। সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের পক্ষে এমন কাজ সম্ভব নয়। বুয়েটে মাদকসেবন নিয়ে সংঘর্ষের নজির রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে না পারলে নামকরা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে লাভ নেই। শিক্ষার্থীদের মন থেকে মানবিকতা, উদারতা, অসহিষ্ণুতা, সহনশীলতা গুণ দূর করেছে মাদক। হিংস্রতা তাদের জানোয়ার-হায়েনাতে পরিনত করছে।



দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে চলছে মাদকের সম্রাজ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কিংবা বুয়েট; কোনটিই এই ব্যাধি থেকে মুক্ত নয়।



দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে চলছে মাদকের সম্রাজ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কিংবা বুয়েট; কোনটিই এই ব্যাধি থেকে মুক্ত নয়। আমি খবর নিয়েই বলছি, দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি শ্রেণি মাদককে সহজলভ্য করছে নিজেদের বহুমুখী স্বার্থের জন্য। এসব মাদকাসক্ত ‘উচ্চ মেধাবী’ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ড ছাড়া আর কি আশা করা যেতে পারে! মাদকের প্রভাবে তারা অমানবিক, নিষ্ঠুর কাজ করবে- এটাই স্বাভাবিক।

মাদক ব্যবসায়, বিস্তারের সঙ্গে কারা জড়িত? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে নিশ্চয় সকল তথ্য আছে। মাদকের প্রভাবে উচ্চ শিক্ষিত অমানবিক খুনী উৎপাদনের কারখানায় পরিনত হয়েছে দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে মাদক নামক ব্যাধি নির্মূল করতে হবে।

ফেসবুক পাতা থেকে।

ফাহাদ হত্যার ঘটনায়, বুয়েট ছাত্রলীগের ২ নেতা আটক

বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবরার ফাহাদ নামে এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির (বুয়েট) ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাকিন ফুয়াদ এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলকে চকবাজার থানা পুলিশ আটক করে বলে জানা গেছে।



ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাকিন ফুয়াদ এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলকে আটক করেছে চকবাজার থানা পুলিশ।



ফাহাদ হত্যার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে হল অফিস ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এদিকে ওই সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, রাত ২টা ৬ মিনিটের পর আর কোন ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ফুটেজ পেলে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া একাধিক শিক্ষার্থী মোবাইলে ভিডিও করার কথা শোনা গেলেও তা এখনো পাওয়া যায়নি।

কৃষ্ণপদ রায় বলেন, “ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি। আমরা দেখছি কারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই।”

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, “কয়েকটি সিটি সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিচার বিশ্লেষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক, যে জড়িত থাকবে তাকেই তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”

উল্লেখ্য, রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরে বাংলা হলের ভেতর ওই ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়। ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। এছাড়া তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই: অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার

বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবরার ফাহাদ (২১) নামে এক ছাত্রকে হত্যার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে হল অফিস ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।



“এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই”



এদিকে ওই সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, রাত ২টা ৬ মিনিটের পর আর কোন ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ফুটেজ পেলে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া একাধিক শিক্ষার্থী মোবাইলে ভিডিও করার কথা শোনা গেলেও তা এখনো পাওয়া যায়নি।

কৃষ্ণপদ রায় বলেন, “ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি। আমরা দেখছি কারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই।”

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, “কয়েকটি সিটি সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিচার বিশ্লেষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক, যে জড়িত থাকবে তাকেই তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”

এদিকে ফাহাদ হত্যার ঘটনায় দু‘জনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল এবং সহ সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ।

উল্লেখ্য, রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরে বাংলা হলের ভেতর ওই ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়। ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। এছাড়া তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাসুক এলাহী বলেন, “রাতে আমি ডিউটিতে ছিলাম। রাত ২টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের ১ম ও ২য় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

এ ঘটনার ব্যাপারে চকবাজার থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, “রাত ২টার দিকে আবরার ফাহাদের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায় হলে। ধারণা করা হচ্ছে, তার সহপাঠীরাই তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।”

প্রসঙ্গত, ফাহাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। তার বাবার নাম বরকতুল্লাহ। তিনি বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে