মাস্কের বদলে ফের ফুল বিক্রি হবে || ফয়সাল হাবিব সানি

মাস্কের বদলে ফের ফুল বিক্রি হবে
ফয়সাল হাবিব সানি


কথা দিচ্ছি, অসুস্থ পৃথিবী সুস্থ হলে আমি আবারও তোমার প্রেমে পড়ব৷

আমি তোমার জন্য সেদিন পর্যন্তও অপেক্ষা করব, যেদিন রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে মাস্কের বদলে ফের রাশি রাশি ফুল বিক্রি হবে আর আমি মুখ থেকে মাস্ক সরিয়ে পাগলের মতো ‘ভালোবাসি’ ‘ভালোবাসি’ বলে চেঁচিয়ে তোমাকে জাপ্টে জড়িয়ে ধরব।

ভালোবাসাকে আড়াল করবে দূরত্ব, তুমিই বলো তার সাধ্য কই? এমন তো একটা দিন চায়, যেদিন পৃথিবীতে আমৃত্যু ম্যাজিক ভালোবাসার ঘুড়ি উড়িয়ে তাজ্জব হৃৎপিণ্ডে পুরে অদ্ভুত সুন্দর আকাশ বয়ে বেড়াবে আমাদের এই মনুষ্যজন্ম!

এই পৃথিবী সুস্থ হলে হয়তো তোমার সাথে আমার নাও দেখা হতে পারে, তবে যেদিন থেকেই ফুলের কাছে ঘ্রাণের কাছে তুমি ছড়িয়ে পড়েছো, সেদিন থেকেই আমার বুকের বাঁম পাশে তোমার জন্য গুজে রেখেছি সহস্র রক্তগোলাপ!

সেই রক্তগোলাপের প্রতিটা রক্তচূড়ায় তোমার উপস্থিতি, তোমার জাদুকরী ঠোঁটের চুম্বনের দাগ আমি সেখানে কি দিয়ে মুছি বলো?

আচ্ছা, তুমি প্রেম নাকি দেবী? তুমি প্রতিমা নাকি নারী? কি নাম দেবো তোমার রাণী?
তুমি ফুল হয়ে স্পর্শে স্পর্শে তুমুল মগ্ন করো আমাকে! যেন তখন আমিই ফুলদানি।


লেখকঃ তরুণ কবি ও সাংবাদিক
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত পাঁচটি কবিতাগ্রন্থের রচয়িতা।
স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষ (বাংলা বিভাগ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি), গোপালগঞ্জ।

অপমানিত ভালবাসা

নাহিদুল ইসলাম ইমন


কি সুরে ডাকবো তোমায়?
কোন আদরে বাধবো তোমায়?
আমার সে ক্ষমতাই -বা কোথাই?
তোমাকে ভালবাসতে যে যোগ্যতার প্রয়োজন তা আর আমার কই?

তোমাকে কাছে পেতে যে মায়া প্রয়োজন তা হারিয়ে ফেলেছি সে তো কবেই!
তোমার পাড়ায় এখন নামী-দামী, যোগ্যদের ওঠাবসা,
তাদের ভীড়ে আমি যে অতি তুচ্ছ,নগন্য!
তোমার শহরে নিষিদ্ধ হয়েছে আমার ভালবাসা।

তোমাকে বাধবো যে মায়া দিয়ে,
সেটা ভাবাও নিছক বোকামিই,
বাধতে হলে যে যোগ্যতা লাগে,যে ব্যক্তিত্ব লাগে,
আমার সেসব কবেই গেছে হারিয়ে।

শুধু মায়া আর ভালবাসা দিয়ে বেধে রাখা যায় না,
বারংবার ভালবাসি বললেও কেউ কেউ আপন হয় না।
কিছু পারিনা বলেই তোমাকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই কলম ঘোরায়,
ভালবাসতে না পারার ব্যর্থতা ভাবি বসে নিরালায়।

আমি যে ব্যর্থ প্রেমিক!
প্রেমিকার ভেতরের আর্তনাদটাই আমি শুনতে পাইনি,
হাতে হাত রেখে বলতে পারিনি ‘আমি শুধু তোমারই’
পাশাপাশি হেটে বলতে পারিনি এই পৃথিবী শুধু আমাদেরই,
মুখ দেখে মন পড়তে পারিনি,চোখের ভাষা বুঝতে পারিনি,
আলতো ছুয়ে কখনো চুমু আকতে জানিনি।

এতোশত পারিনি,জানিনি কেন বলোতো?
আমায় সেই অধিকারটুকুই তো তুমি দাওনি!
ভালবেসে যত আপন হওয়া প্রয়োজন তা তুমি হওনি,
আপন সুরে,মিষ্টি মায়ায় কখনো কাছেঅপমানিত ডাকোনি,
তবুও আমি কত্ত বোকা বলোতো!

এখনো আশায় বুক বাধি মায়ায় জড়িয়ে তোমায় রাখবো।
ভালবেসে বেশ বোকাই বনে গেলাম,তাইনা?
আমার হৃদয়ের অতৃপ্ত দহন,সীমাহীন আর্তনাদ তোমার পর্যন্ত পৌছায় না!
আচ্ছা তোমার শহরে উচ্ছিষ্ট হিসেবে কি আমার জায়গা হবে?

বরং প্রভু দ্বারে প্রার্থনা করো তবে,
মৃত্যু যেন ভালবেসে ছুয়ে যায় আমায়,
তোমার জীবনের আপদ বিদেয় হবে!

শেষ বার্তা

নাহিদুল ইসলাম ইমন


মাঝরাতের এ বার্তা যদি তোমার নিকট পৌছায়-
তবে না হয় ভুলবশতই ক্ষমা করে দিয়ো আমায়।
ভুলের খেয়ালে,জিদের হেয়ালে দিয়েছো যে যন্ত্রনা,
জানি করোনি তুমি,পেয়েছো কারো মন্ত্রনা!

অন্যের সাথে স্থীর চিত্রে যদি থাকোই হাসি-খুশি,
তবে বলো কেন বারংবার-“তোমায় ভালবাসি”!
রাগবশত,আবেগবশত করেছো যত অবহেলা,
সইতে না পেরে যাচ্ছি আমি,হবে তুমি একেলা।

যাচ্ছি আমি,যাবে তুমিও,হারাবে যত আশা,
মিথ্যা অপবাদে,হিংস্র উন্মাতে পুনরায় দিলে ধোকা!
আজ যতই ডাকো বারংবার,চিৎকার হোক যতই!
নতুন ভোর দেখতে দিয়ে এবার আমি যাবোই।

আমার আর্তনাদ যদি বুঝতে পারো,
সুখে থাকতে পারবে না,ভালবাসা বাড়বে আরো।

বুঝলে না এ আর্তনাদ, শুনলে না এ হৃদয় কল্লোল,
রয়েই গেলে অধরা,হলে না, হবেও না আমার শৃঙ্খল।
আমার হৃদয়ে আজ বারি বর্ষন,
তোমার কালো মনে ঢাকা আমার সুখের অনুক্ষন!

কেন করো এমন!তবে তুমিও কি তেমন?
খুলো মনের দ্বার,দেখো মনের জ্বালাতন।
কি সুখ পাবে তুমি?কি আনন্দ পেলে করে ছলনা,
যতই বলি- শুনবে না, দিবে যতশত বাহানা!

আজকের এই শেষ বার্তা জানি কেউ পৌছে দিবে,
অতঃপর-প্রস্ফুটিত একজোড়া ফুল আকস্মিকই ঝড়ে যাবে!!

তুমি হীনা || রুদ্র বৈশাখ

তুমি হীনা
রুদ্র বৈশাখ



তুমি হীনা কাটছে আমার
সকাল দুপুর সন্ধ্যা
সুখ আছে তবু সুখ নেই
দুঃখের বইছে বন্যা ।

তুমি হীনা জীবন আমার
মৃত ফুলের কলি
একা ফেলে যেওনা আমায়
কি করে তোমায় বলি ?

তুমি হীনা এক মুহূর্ত
লাগে না আমার ভালো
তুমি এসে বসলে পাশে
আধাঁরে দেখি আলো ।

অবেলায় তুমি যেওনা ফেলে
আগলে রেখো মনে
তুমি হীনা এই জীবন বৃথা
চলে যাবো ঐই বনে !

সাহেব এবং চাকর

সাহেব এবং চাকর
মোঃ আলমগীর হোসেন



দেখতে অনেক সাহেব আছে,
মনটা তাদের সাহেব না;
মনের ভিতর ময়লা থাকে,
ভীষণ ময়লার আস্তানা।

তাদের বাড়ির ম্যাম সাহেবা
ঘরের কাজের মেয়েকে
অত্যাচারের চরম সীমায়
হত্যা করে অনেকে।

সাহেব সাথে রাতে মাতে,
পূরণ করে কামনা;
শিক্ষিত সাহেবের কাছে
কেউ তা আশা করে না।

কার দরবারে চাইবে বিচার?
দরজা থাকে আটকানো!
দাস প্রথাকে হার মানিয়ে
এমনটা হচ্ছে কেনো?

ম্যাডামের দুই ছেলে মেয়ে,
বয়স হবে পাঁচ-ছয়;
তারাও তো বাঘের বাচ্চা,
অত্যাচারী কম নয়!

তুই তোকারি, কাজের ছুড়ি,
আচরণ খুব খিটখিটে;
আরো অনেক গোপন কথা,
মানবতা সংকটে!

বাড়ির ভিতর পোষে কুকুর,
গোশত ছাড়া খায় না;
অথচ কাজের মেয়েকে
হাড্ডিটাও দেয় না।

হায়রে সাহেব! হায়রে ম্যাডাম!
কেমন বিদ্যা শিখেছো?
পিতা-মাতার নিকট থেকে
কি শিক্ষাটা পেয়েছো?

তোমার সাহেব চাকরি করে,
চাকর তো সেও বটে!
ছোট চাকর! বড় চাকর!
ব্যবধান তো নাই মোটে।

তুমিও চাকরের মেয়ে,
ভুলেছো সেই কথা?
রাজ রাণীও চাকর বটে,
ভেবে তা দেখো যথা।

চাকর ছাড়া কে আছে আর?
অহমিকা ভালো না।
দেখতে অনেক সাহেব আছে,
মনটা তাদের সাহেব না।

ঝগড়া এবং ধৈর্য্য

ঝগড়া এবং ধৈর্য্য
মোঃ আলমগীর হোসেন



ঝগড়া ছিল জনম জনম,
আজো ঝগড়া আছে;
ঝগড়া থাকবে সামনে দিনে
মিলের পাছে পাছে।

ঝগড়া আছে পরিবারে,
বউ শ্বাশুরীর সাথে;
ঝগড়া লেগে দুই জনা খুব
অনল দ্বন্দ্বে মাতে।

বউ শ্বাশুরীর চুলাচুলি,
পাড়া পড়শি হাসে;
সুখের ঘরে উলু উড়ে,
নিঠুর সর্বনাশে!

বউ চলে যায় বাপের বাড়ি,
আসবে না আর ফিরে;
বাপ নাহি তাই চাচায় জিগায়
কেমন আছিস মা’রে?

স্বামী আমার ভালোই তবে
শ্বাশুড়ি দেয় জ্বালা;
সারাদিনই গালাগালি,
মুখে দেয় না তালা।

এমন ওষুধ দাওনা চাচা,
করবো তারে হত্যা;
এমন মানের দিও যেনো
কেহ না পায় পাত্তা।

বিশটা বড়ি দিলো চাচায়,
কুড়ি দিনের জন্য;
মায়া করে খাওয়ায়ে দিবি,
জান হবে তার শূন্য।

খাওয়ার পরে যাবে বেড়ে
আগের চেয়ে রাগ,
কুড়ি বড়ি শেষ হলেই
ধরবে মরণ বাঘ।

তবে রে মা লক্ষ্মী সোনা,
রাগ করিসনা তুই;
রেগে গেলে ফেঁসে যাবি,
সাথে ফাঁসবো মুই।

চাচার কথায় নম্র মাথায়
শুরু অভিযাত্রা,
ধীরে ধীরে শ্বাশুরী মা’র
কমে রাগের মাত্রা।

ওষুধ শেষে শ্বাশুড়ি হাসে,
মরার খবর নাই;
মিষ্টি ভাষায় কথা বলে,
রাগ হলো তার ছাই।

বউকে এখন বউ মা বলে,
এক থালাতে খায়;
অবাক হয়ে বউ দ্রুত
চাচার কাছে যায়।

এমন ওষুধ দাও গো চাচা,
শ্বাশুড়ি না মরে!
শ্বাশুড়ি যে মায়ের মতো,
ছায়া আমার ঘরে।

চাচায় বলেঃ ওগো মেয়ে
চিকিৎসা দেই আমি;
যে ওষুধ দিয়েছি তোমায়
বিষ নহে তা জানি।

তোমায় আমি বলেছিলাম,
ওষুধ চলাকালে
কোনো কথা বলিও না
শ্বাশুড়ি রাগ হলে।

রাগ করোনি বলেই তোমার
শ্বাশুড়ি খুব খুশী,
তোমার ধৈর্যে তুমি মহৎ
হয়েছো খুব বেশী!

ঝগড়া বিবাদ হার মেনেছে
ধৈর্য্য ধরার কাছে,
ঝগড়া ছিল জনম জনম,
আজো ঝগড়া আছে।

বড়ই মধুর মা

বড়ই মধুর মা
মোঃ জামাল উদ্দিন



শত কষ্টেও হাসি মোখে
যেজন ফিরে চায়,
খাঁটি ভালবাসবে তোমায়
জনম দুখী মায়।

মায়ের মত মধুর স্বজন
কে বল আর আছে,
বিনে স্বার্থে করেন সেবা
স্বার্থ নাইতো পাছে।

বড়ই মধুর মাযে আমার
থাকতে না পায় দাম,
সারা জীবন কেটে কেটে
ঝরায় গায়ের ঘাম।

সন্তানেরই সুখের তরে
কাটেন অহর নিশি,
নিজে উপুস থেকে খাওয়ান
সন্তানকে তার বেশী।

জনম দুখী মাযে আমার
শুধুই কেটে কেটে,
জীবন যৌবন শেষে এখন
বার্ধক্যতে হাটে।

গায়ের মেয়ে

গায়ের মেয়ে
তানজিনা ইসলাম



গায়ে ছিলো ভালোই ছিলো
গায়ের মেয়ে সখিনা,
শহর গিয়ে পাল্টে গেলো
লাগায় হাওয়া দখিনা।

অসৎ লোকের পাল্লায় পড়ে
করে নানান অপরাধ,
মাদক দ্রব্য সেবন করে
নষ্ট করে জীবন স্বাদ।

উস্কানি তে ফাঁসে তারা
বড় কর্তার আদেশে,
প্রচার করে মদ ইয়াবা
জাতি ধ্বংস স্বদেশে।

আরো কতো লোভে তাদের
রাখে নিত্য ডুবিয়ে,
সখিনারা এপার ওপার
চালে গুটি চুবিয়ে।

হঠাৎ একদিন পড়লো ধরা
পুলিশ কড়া দু’হাতে
খবর পেয়ে লুকায় দাদা
ছুটে দেখো গুহাতে।

দায় এবং দায়িত্ব

দায় এবং দায়িত্ব
মোঃ আলমগীর হোসেন



দায়িত্ব যতো বড়ো হবে,
ততো বড়ো দায়;
দায় এড়াতে কেউ পারে না,
যেমনই হোক আয়।

বৈধ পথে আয়ের সাথে
ব্যয়ের অসঙ্গতি,
তখনই হয় দায়িত্বশীলের
জীবনে দূর্গতি!

বিলাসিতায় হেলায় খেলায়
গা ভাসিয়ে দিলে,
দায় তখনই যায় হারিয়ে
দুঃখের চিতানলে।

তখনই হায়! বিবেক হারায়,
অসৎ পথের ধান্ধা!
নৈতিকতা পালায় যথা,
আলোর সাথে আন্ধা!

আলোর সাথে দিনে রাতে
হয় আঁধারের যুদ্ধ;
আলো হারে আপন ঘরে,
প্রকৃতি হয় ক্রুদ্ধ।

ক্ষুদ্র পাপের মাপকাঠিটা
সীমা রেখা ছাড়ে,
ভিখারীর ন্যায় অনৈতিক আয়
দুস্থ লোকের দ্বারে!

পরের বাড়ি বিক্রি করি
ঘুষের টাকা আনে,
ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকৃতিও
পাপের দিকে টানে।

ঘুষের টাকায় গাড়ি হাকায়,
অনেক বড় বাড়ি;
রাতে কেনো ঘুম আসে না,
ব্যথার ছড়াছড়ি।

যায় রসাতল সকল আমল,
অহ নিশি কান্না;
কেউ শোনে না ব্যথার কথা;
বুকে পানির ঝর্ণা।

ঝর্ণা বেয়ে নদী হয়ে
যায় সাগরের দিকে,
তাহার টাকা মসজিদেও
নেয় না কোন লোকে!

মন্দিরে বা গীর্জা ঘরে,
কিংবা প্যাগোডাতে
হয় না কোন জায়গা তাহার,
সারা দুনিয়াতে।

চতুর্দিকে সকল লোকে
জবাবদিহি চায়,
দায়িত্ব যতো বড়ো হবে,
ততো বড়ো দায়।

নৈতিকতা

নৈতিকতা
মোঃ আলমগীর হোসেন



নৈতিকতা খুবই তিতা,
ফলাফল খুব মিষ্টি;
মহান প্রভুর পক্ষ থেকে
চমৎকার এক সৃষ্টি।

নৈতিকতা অর্জিত হয়
অধ্যবসায় দিয়ে;
যার রয়েছে নৈতিকতা,
যায় না পথ হারিয়ে।

ভুল পথেও পথ খুঁজে নেয়
নৈতিকতার জোরে,
নৈতিকতা বর্জিত লোক
ঘরেও চুরি করে।

সব ধরনের গর্হিত কাজ
অতি অনায়াসে
দেশকে বলি দিয়ে হলেও
করতে পারে সে!

স্বার্থ ছাড়া সে বোঝে না
অন্য কোন কিছু,
সে কেবলই ছুটে চলে
অন্ধকারের পিছু।

দিনের আলোয় দেখে না সে,
আঁধার হলে দেখে;
অভাগারা সব সমাজে,
সকল দেশে থাকে।

যা কিছু তার ভালো কর্ম
লোক দেখানোর জন্য,
দেশের মাথা বিক্রি করেও
নিজেকে ভাবে ধন্য।

কিন্তু যাদের নৈতিকতার
ভিত্তি অনেক পোক্ত,
মরেও তারা রক্ষা করে
নিজের দেশের স্বার্থ।

দেশ বিদেশে ইতিহাসে
এদের সংখ্যা কম,
কিন্তু তাদের স্মরণ করে
দেশবাসী হরদম।

কোন লোভে অনেক প্রভাবে
বিবেক দেয় না বিক্রি,
হয়তো তাদের দখলে নাই
বড়ো বড়ো ডিগ্রি।

তাদের আছে নৈতিকতা,
দেশের প্রতি দৃষ্টি;
নৈতিকতা খুবই তিতা,
ফলাফল খুব মিষ্টি।