নামে মাত্র বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের নাম ফলক, তথ্যাদি মুছে গেছে অনেক আগেই

কুবি টুডেঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) একমাত্র ভাস্কর্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের নামফলক মুছে গেছে অনেক আগেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পাশেই বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য অবস্থিত।

খোজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ভাস্কর্য বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের নামফলক নামেমাত্র আছে। নামেমাত্র নামফলক থাকলেও ভাস্করের নাম উদ্বোধকের নাম সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি মুছে গেছে অনেক আগে। মুছে যাওয়ার অনেক দিন পর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এখনো পর্যন্ত গৃহীত হয়নি কোন পদক্ষেপ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশাসন এ ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। আমরা অতি দ্রতই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিব।

নামফলকের অবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলি দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশিলী (সিভিল) জনাব এস. এম. শহিদুল হাসান বলেন, এটা অতি সামান্য কাজ এখানে প্রকৌশল দপ্তরের তেমন কাজ নাই। এস্টেট দপ্তর এ কাজ করবে।

উল্লেখ্য, এই ভাস্কর্য ২০১৭ সালের ১৫’ই আগস্ট তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. আলী আশরাফ উদ্বোধন করেন। এটি ভাস্কর মৃণাল হক নির্মাণ করেন।



সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডের কুবি প্রতিনিধি ইকবাল মুনাওয়ার।



 

কুবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

কুবি টুডেঃ যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে র‍্যালি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাওয়া হয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিভিন্ন বিভাগ সমূহ, কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদ, শাখা ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনগুলো, সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সংগঠনগুলো শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. আবু তাহের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার নৃশংসতা, মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান ও ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে আলোচনা করেন। একই সাথে মুক্তিযুদ্ধ চেতনাকে বুকে ধারণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডের কুবি প্রতিনিধি ইকবাল মুনাওয়ার।


 

কুবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে রাশেদুল-স্বপন

কুবি টুডেঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২০ এর নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের ‘নীল দল’ পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হয়েছে।

বুধবার (১১ই ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্চ রুমে ভোট গ্রহণ চলে।

শিক্ষক সমিতির নীল দল থেকে সভাপতি পদে লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ রাশিদুল ইসলাম শেখ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার নির্বাচিত হয়েছেন।

বিএনপি পন্থী স্বাধীনতা, ঐতিহ্য ও জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ‘সাদা দল’ কার্যকরী পরিষদের কোন পদে নির্বাচিত হতে পারেনি।

এ দিন বিকাল ৪টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহা. আমিনুল ইসলাম আকন্দ প্রাথমিক ভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

নির্বাচিত সভাপতি মোঃ রাশিদুল ইসলাম শেখ ১৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা দলের প্রার্থী গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম পেয়েছেন ২৭ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার পেয়েছেন ১৫৯ ভোট। এ পদে সাদা দলের প্রার্থী গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন পেছেন ১৫ ভোট।

নীল দল থেকে অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন, সহ-সভাপতি ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক ও পদার্থ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস মিয়া; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অর্থনীতি বিভাগের মো. নাসির হুসেইন; কোষাধ্যক্ষ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া; সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোকাদ্দেস উল ইসলাম।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন, লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জিয়া উদ্দিন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাদেকুজ্জামান, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলাম,মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান, আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. তোফায়েল আহমেদ ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান।

প্রসঙ্গত, গত চার বছর ধরেই শিক্ষক সমিতিতে আওয়ামী লীগপন্থী প্যানেল নীলদল জয়ী হয়ে আসছে। গতবছরের নির্বাচনেও পুর্ণ প্যানেলে জয় পেয়েছিল নীলদল।



সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডের কুবি প্রতিনিধি মুহাম্মদ ইকবাল মুনাওয়ার।



 

বর্ণিল আয়োজনে কুবি সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

কুবি টুডেঃ আনন্দ শোভাযাত্রা, কেক কাটা এবং আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। মঙ্গলবার(১০ ডিসেম্বর) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে দিনব্যাপী এসব কর্মসূচীর আয়োজন করে সংগঠনটির সদস্যরা।

এদিন দুপুর বারোটায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রশাসনিক ভবনের নিচে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে বেলা সাড়ে বারোটায় প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বর্ষপূর্তির কেক কাটেন আলোচনা সভার অতিথিবৃন্দ।

আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তানভীর সাবিকের সঞ্চালনায় ও সমিতির সভাপতি মো: জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সংগঠনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার(বাসস) প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের , সংগঠনটির উপদেষ্টা ও ছাত্রপরামর্শক অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মো: বেলাল হুসেইন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘সাংবাদিকতা একটা পেশা যখন সে এটা ধারণ করে তখন সে সাংবাদিক হয়ে ওঠে। সত্যকে ধারণ করার সময় এখনই। কুমিল্লার শালবন বিহারে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হবে একদিন দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সবকিছুর মূলে থাকতে হবে এদেশের মানুষের কল্যাণ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। উন্নয়ন সাংবাদিকতার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। ইতিবাচক সাংবাদিকতা করতে হবে।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, ‘গণমাধ্যম না থাকলে সাংবাদিকতা বিকশিত হয়না। সংবিধানে বাক স্বাধীনতার কথা বলা আছে। তবে সকল স্বাধীনতার একটি বাধ্যবাধকতা আছে। যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ নিয়ে সাংবাদিকতা করতে হবে। সাংবাদিকতায় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। ঐক্যের দ্বারা সব করা সম্ভব।’

আলোচনা সভার পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ফটোগ্রাফি কন্টেস্টে বিজয়ী ১০ জন প্রতিযোগীকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। এছাড়া গত ২ নভেম্বর ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ৬ ডিসেম্বর অর্ধযুগ পার করে সংগঠনটি।

সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডের কুবি প্রতিনিধি মুহাম্মদ ইকবাল মুনাওয়ার।

কুবিয়ানদের ‘সমাবর্তন ভাবনা’

দীর্ঘ এক যুগ পর অনেক আলোচনা সমালোচনা পেরিয়ে আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রথম সমাবর্তন। একঝাঁক গাউন পরা গ্রাজুয়েটে ভরে যাবে পুরো ক্যাম্পাস। রাষ্ট্রপতির আগমন সহ নানা আয়োজন ক্যাম্পাসকে রঙিত করবে। আনন্দে উচ্ছ্বাসে মাতবে পুরো ক্যাম্পাস। সমাবর্তন নিয়ে কুবি শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরেছেনদ্য ক্যাম্পাস টুডে‘র কুবি প্রতিনিধি মুহাম্মদ ইকবাল মুনাওয়ার।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাযাত্রার চুড়ান্ত গন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়। এ অভিযাত্রার স্বীকৃত পরিণতি ঘটে সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে। তাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক গ্রাজুয়েটের নিকটই ‘সমাবর্তন’ এক পরম-আকাঙ্ক্ষিত আয়োজন। আমার ক্ষেত্রেও এর আবেদন অভিন্ন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন প্রথম সমাবর্তন নিয়ে অধিকাংশের মত আমারও অনেক প্রত্যাশা ছিল, আছে। তবে নানাবিধ পারিপার্শ্বিকতা ও সীমাবদ্ধতার পরিপ্রেক্ষিতে সব সময় প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির পূর্ণ সমন্বয় অনেক সময় সম্ভবপর হয়ে উঠে না কিন্তু দু’একটি অপ্রাপ্তিকে মূল বিবেচ্য গণ্য করে সমাবর্তনের অসংখ্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হতে চাই না।

সহপাঠী, শিক্ষক, জুনিয়র ভাই-বোনসহ সকলের সাথে আনন্দঘন মিলন হবে লাল পাহাড়ের সবুজ ক্যাম্পাসে, এটাই হবে সমাবর্তনে আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক ও যথাযথ ভূমিকা পালন এবং স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রিয় ক্যাম্পাসের প্রথম সমাবর্তনটি সার্বজনীন, সাবলীল ও সার্থক হয়ে উঠবে -এমনটাই প্রত্যাশা।


আহসান হাবীব
প্রথম ব্যাচ
একাউন্টিং এণ্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ
প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।

অপেক্ষার পালা শেষ হতে যাচ্ছে,বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে দীর্ঘ দিনের লালায়িত স্বপ্ন।প্রতিষ্টার পর থেকে প্রথম সমাবর্তনের দ্বারপ্রান্তে প্রাণের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। শত শত গ্রাজুয়েটদের আগমনে দিনটি হয়ে উঠবে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন,প্রাপ্তির দিন।মিলনমেলার এ দিনে কালো গাউনটি লাল-মাটি বেষ্টিত সবুজ ক্যাম্পাসের মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দিয়ে দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে চাই।অবনত মস্তকে স্মরন করতে চাই আমার পরিবার সহ সেসকল মহান ব্যক্তিদের অবদান যাদের জন্য আমি আজ গ্রাজুয়েট,যাদের কারনে শত শত গ্রাজুয়েটদের বাঁধভাঙা উল্লাস আর আনন্দে সামিল হতে পারছি।

যেহেতু সমাবর্তন মাধ্যমেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্নতা লাভ হয় তাই আশা করছি সমাবর্তনের প্রধান বক্তা হিসেবে একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয়, বিশ্ববরেণ্য এবং খ্যাতিমান বক্তাকে নির্বাচিত করা হবে।

কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি সমাবর্নের পিছনে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। সর্বোপরি, সকল গ্রাজুয়েটদের সমাবর্তনে অংশগ্রহনের আহবান এবং সমাবর্তনের সফলতা কামনা করছি।


মো. রাসেল মিয়া
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস [শিক্ষা ক্যাডার]
প্রভাষক, জাকিগঞ্জ সরকারি কলেজ, সিলেট।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী, ৩য় ব্যাচ, ইংরেজি বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হবে এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া কিন্তু প্রথমবারের মত কুবিয়ানরা সমাবর্তন পাচ্ছে সেটা নিঃসন্দেহে অন্যরকম ভালো লাগার। প্রথম বারের মতো মহামান্য রাষ্ট্রপতি ক্যাম্পাসে এসে আমাদেরকে গ্র‍্যাজুয়েট ঘোষণা করে করবে এটা ভেবেই ভালো লাগছে।সমাবর্তনের গিফট কস্টিউম নিয়ে সংবাদ বিবৃতি দেখে ভালোই লাগছে।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অনেক সীমাবদ্ধতা থাকবেই তবে গ্র‍্যাজুয়েটরা তাদের সাথে বাবা অথবা মা অথবা এরকম অন্তত একজন অতিথির রেজিষ্ট্রেশন এর মাধ্যমে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করে দেওয়া যেত যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে আসছে। কারণ প্রতিটা গ্র‍্যাজুয়েটই তার পরিবারকে তার আনন্দের অংশীদার করতে চায়। সকল বিতর্কের উর্দ্ধে যেয়ে একটি সফল সমাবর্তন হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

ওবায়দুল হক
৭ম ব্যাচ, গণিত বিভাগ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক সভাপতি, সায়েন্স ক্লাব কুবি।

সমাবর্তন নিয়ে স্বপ্নের জালবোনা সেই স্নাতক জীবনের শুরুর দিন থেকেই। কেতাবি শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে গুরুগৃহ থেকে ফিরে কেউ গার্হস্থ্য জীবনে আবার কেউবা কর্ম জীবনে প্রবেশ করেছি। সবকিছু ছাপিয়ে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন “ফ্ল্যাগ-বিয়ারার” হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি আমরা।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এম্বাসেডর হিসেবে আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয়টির আসন্ন সমাবর্তন উৎসবমুখর হোক। প্রাক্তনদের পদচারণায় আন্দোলিত হোক লাল মাটির প্রিয় ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের প্রতিটি পাহাড়ি টিলা, বালুকণা জেনে যাক যে তাদের লালিত সন্তানেরা ভুলে যায় নি তাদের কাছে ঋণের কথা।

সমাবর্তন অনুষ্ঠান যে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক সনদ বিতরণের অনুষ্ঠান হবে না সে আকাঙ্খা রাখতেই পারি। আমন্ত্রিত বক্তাদের উঠে আসার গল্প নয় বরং তাদের জীবনবোধ ও দর্শন আলোকিত করুক প্রতিটি প্রাণ। প্রাক্তনরাই যেহেতু সমাবর্তনের প্রাণ কাজেই তাদের মতামত ও গঠনমূলক সমালোনা প্রশাসন গুরুত্বের সাথে দেখবে আশা করছি। প্রাক্তনদের সম্মানার্থে এ মঞ্চ থেকেই ঘোষণা আসুক সিন্ডিকেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি রাখার বিষয়টি। পরিশেষে, কুবির প্রথম সমাবর্তন সুপরিকল্পিত ও প্রাণবন্ত হোক সে প্রত্যাশা সবসময়।


আব্দুল্লাহ-আল-মুসাইব
প্রাক্তন শিক্ষার্থী, ৬ষ্ঠ ব্যাচ, ইংরেজি বিভাগ,
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও ই ন্ডিয়ান পার্টিশন রিসার্চার।

গায়ে সমাবর্তনের গাউন জড়িয়ে, আকাশের দিকে মাথার হ্যাট ছুড়ে মারার যে অনুভূতি, তার স্বাদ নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রতিটি শিক্ষার্থীই স্বপ্নে জাল বুনতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ গাম্ভির্যপূর্ণ এই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি হাত থেকে পাওয়া ওই এক টুকরো কাগজ একজন শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের শ্রম,মেধা এবং অধ্যবসায়ের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।

সুতরাং বলার অপেক্ষা রাখে না, এই সমাবর্তনের জন্য একজন শিক্ষার্থী কতটা উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করে। যেহেতু সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপক্বতারও পরিচায়ক, তাই নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন নিয়ে নিঃসন্দেহে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর মতো আমিও রোমাঞ্চিত।

আদনান কবির সৈকত
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক সভাপতি, ডিবেটিং সোসাইটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ।

ছিনতাইকারীদের কবলে কুবি শিক্ষার্থী

কুবি টুডেঃ দেশের অন্যতম শহরের একটি কুমিল্লা শহর। কুমিল্লা শহর ক্রমেই হয়ে উঠতেছে ছিনতাইকারীদের রাজত্ব। বাদ যাচ্ছে না শিক্ষার্থী সহ সাধারণ ব্যক্তি ও। ছিনতাইকারীরা কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে নানা ভাবে ছিনিয়ে নেই জনসাধারণের জিনিসপত্র। শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে রয়েছে তাদের গ্রুপ।

কখনো কখনো সিএনজি’তে যাওয়ার পথে, কখনো কয়েকজন মিলে ঘিরে চাকু নিয়ে সবকিছু নিয়ে নেই। শিক্ষার্থীদের মূল্যবান জিনিস সহ বাদ যায় না জনসাধারণের জিনিসপত্র। গত কয়েকমাসে এমন ছিনতাইয়ের ঘটনার শিকার হয় অনেক শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ । ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে সব হারিয়েছেন এমন অনেকও রয়েছেন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) তিন টা’র সময় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ ইসলাহীর সব কিছু নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। তার ভাষ্যমতে, সে বিকেল দুইটার বাসে শহরে গেয়েছিল, কাজ সেরে ৩ টার দিকে সিএনজি করে পদুয়ার বাজার বিশ্ব রোড আসার জন্য সি এন জি তে উঠে। হটাৎ সিএনজি ইপিজেডে (ভিন্ন রাস্তা) ঢুকিয়ে দেয়।

ইসলাহি নামিয়ে দিতে বললে, ড্রাইভার বলে তাদের একটু নামায়ি দিয়ে আসি। এই বলে দ্রুত ফাকা গলিতে ডুকিয়ে দেয় সি এন জি। চাকু ধরে সব নিয়ে নেয়। তার সাথে কয়েকদিন আগে কেনা ১৪ হাজার টাকার স্মার্টফোন সহ ছিল ২৫০০ টাকা। এছাড়া একই ঘটনার সম্মুখীন হয় অনেক শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ।

এদিকে ছিনতাইয়ের শিকার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান ক্যাম্পাস টুডে কে সাক্ষাৎকারে বলেন, গত ৩ তারিখ সকাল ৬.২৫ মিনিটে শাসনগাছা বাস স্ট্যান্ড থেকে অটোতে উঠেছি টমছম ব্রিজ যাওয়ার জন্য। শাসনগাছা থেকে পুলিশলাইন হয়ে কান্দিরপাড় দিয়ে টমছম ব্রিজ আসার কথা থাকলেও পুলিশলাইন থেকে সেটি চকবাজার হয়ে হাউজিং নিয়ে আসে। গাড়িতে দুজন যাত্রী বেশে ছিনতাইকারী অটো ড্রাইভারের সহযোগীতায় আমার গলায় এবং পেটে চাকু ধরে এন্ড্রোয়েড ফোন+ চার হাজার টাকা নিয়ে যায়। এই নিয়ে তিনি থানায় জিডিও করেন।

এছাড়া ও ভুক্তভোগী নৃবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লা রানীপুকুর পাড়ে ভিক্টোরিয়া কলেজের পাশে ওই সময় রাস্তায় দুইটা ছেলে ছাড়া কেউ ছিলোনা হুট করে এসেই আমার পেটে চাকু ধরে আমার মোবাইল আর ওই দিন টিওশনের টাকা দিয়ে ছিল ৫ হাজার টাকা সহ সব নিয়ে নেই।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি’র (তদন্ত) সাথে বললে জানান, পুলিশ প্রশাসন প্রতিদিন ছিনতাইকারী গ্রেফতার করতেছে। জনসাধারণ যাতে সুস্থভাবে শহরে চলাচল করতে পারে এই ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন অনেক আন্তরিক। আমদের এই শহরে প্রতিদিন ৬-৭ টা টিম অপরাধ দমন জন্য কাজ করে যাচ্ছে।



সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডের কুবি প্রতিনিধি মুহাম্মদ ইকবাল মুনাওয়ার।



 

এসো মিলি প্রাণের উৎসবে

কামরুল হাসানঃ প্রত্যেক গ্র্যাজুয়েটের কাছে সমাবর্তন থাকে লালিত স্বপ্নের মতো। কালো গাউন মুড়িয়ে টুপিটা আকাশপানে ছুড়ে দেয়ার সেই দৃশ্যগুলো চোখে ভাসে সবারই। সব গ্র্যাজুয়েটের কাছে এই দিনটি হলো স্পেশাল। সহপাঠি, জুনিয়র, সিনিয়র সবাই ফিরে যায় পুরোনো সেই দিনগুলোতে।

প্রাণের উৎসবে মেতে উঠে সবাই। গল্প আড্ডা আর গানে ফিরে দাপিয়ে বেড়ানো ক্যাম্পাস জীবনের দুরন্তপনা দিনগুলোতে। এক দুই দিনের জন্য গ্র্যাজুয়েটরা হয়ে উঠে ডানাছাড়া বিহঙ্গের মতো।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৩ বছর পর ১ম সমাবর্তন আয়োজন হচ্ছে ২৭ জানুয়ারি ২০২০। প্রথম ৮টি ব্যাচের প্রায় ৬হাজারের মতো গ্র্যাজুয়েট সমাবর্তন পাচ্ছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য এডভোকেট আবদুল হামিদ গ্র্যাজুয়েটদের সনদ প্রদান করবেন।


আসুন সব অভিমান ভুলে লালমাটির ক্যাম্পাসটা দেখে আসি। গল্প আড্ডা চায়ের চুমুকে উষ্ণতা ছড়াই। আর বের হওয়ার পর কত কত জুনিয়রদের সাথে দেখাও হয়নি। নতুন পুরোনোতে মিলেমিশে একাকার হোক লালমাটির সবুজ চত্ত্বর। চলো বন্ধু ফিরে যাই আরেকবার ৫০ একরের এক টুকরো ভালোবাসার মাঝে।


সমাবর্তন আয়োজন এক প্রকার চ্যালেঞ্জই বটে। বিগত সময়ে কোন উপাচার্য এ চ্যালেঞ্জ নিতে পারেনি। বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহনের পরই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন আযোজনের আশ্বাষ দেন। এরই প্রেক্ষিতে আগামী ২৭ জানুয়ারি ২০২০ হতে চলছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রাণের উৎসব।

প্রতিষ্ঠার এত বছর পর সমাবর্তন আয়োজনে শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশ রোমাঞ্চ কাজ করছে। চলছে পুরোদমে রেজিষ্ট্রেশন এর কাজ। ১ নভেম্বর থেকে রেজিষ্ট্রেশন শুরু হয়ে চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। সমাবর্তন ফি এবং সমাবর্তনে অংশ না নিলেও মূল সনদ উত্তোলনে সমাবর্তনের সমপরিমাণ ফি দিতে হবে প্রশাসনের এমন শর্তে সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে অনেকেই আপত্তি জানিয়েছেন। এ নিয়ে কতিপয় সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপাচার্য আলোচনায় বসেছেন। অংশ না নিলেও সমান ফি দিতে হবে এ শর্ত থেকে বিশ্বববিদ্যালয় প্রশাসন শিগগিরই সরে আসবেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ।

এমন দু একটি বিষয় ছাড়া সমাবর্তন নিয়ে সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে একপ্রকার উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। যারা বর্তমান শিক্ষার্থী সমাবর্তন পাচ্ছে না, তাদের মাঝেও উৎসবের অন্ত নেই। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেছে, ১ম থেকে ১৪ তম ব্যাচ একসাথে ক্যাম্পাসে আসবে সেটাই রোমাঞ্চকর। এ যেনো হবে পুরোনো নতুদের এক মিলনমেলা।

সমস্যা, সম্ভাবনা, সীমাবদ্ধতা অনেক কিছুই আছে। সবকিছুর সমাধান হয়তো সম্ভব না। আশা করছি কিছু বিষয় সমাধান করতে কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট হবেন। কিছু সীমাবদ্ধতা মেনে নিতে হবে। দল মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা কুবিয়ান। সমাবর্তনই কেবল পারে সকলের মেলবন্ধন করতে।

আসুন সব অভিমান ভুলে লালমাটির ক্যাম্পাসটা দেখে আসি। গল্প আড্ডা চায়ের চুমুকে উষ্ণতা ছড়াই। আর বের হওয়ার পর কত কত জুনিয়রদের সাথে দেখাও হয়নি। নতুন পুরোনোতে মিলেমিশে একাকার হোক লালমাটির সবুজ চত্ত্বর। চলো বন্ধু ফিরে যাই আরেকবার ৫০ একরের এক টুকরো ভালোবাসার মাঝে।

সব ভেদাভেদ ভুলে…….
আসুন মেতে উঠি প্রাণের উৎসবে।
রাঙ্গিয়ে দেই সবুজ আঙ্গিনা।
জয়তু কুবি।
১ম সমাবর্তন সফল হোক।

লেখকঃ ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

কুবি: সেশনজট নিরসনের দাবিতে আন্দোলনে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ (ভিডিওসহ)

কুবি টুডেঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সেশনজট নিরসন সহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৮ই নভেম্বর) সাড়ে ন’টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মাসুদা কামাল, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকরা এসে শিক্ষার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা করেন কিন্তু শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের আল্টিমেটাম সহ আন্দোলন চালিয়ে যায়। এসময় শিক্ষার্থীরা নানা শ্লোগান সহ ফেস্টুনে বিভিন্ন প্রতিবাদী ভাষা লিখে আন্দোলন করে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- সেশনজট নিরসনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যাচগুলোর চূড়ান্ত পরীক্ষা নিতে হবে, ব্যাচ ভিত্তিক শিফট করে ক্লাস রুটিন প্রণয়ন করতে হবে, নির্দিষ্ট একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রনয়ন করতে হবে, ২৫ নভেম্বরের মধ্যে আর্ট এ্যান্ড হ্যারিটেজ সোসাইটির পূর্নাঙ্গ কমিটির নির্বাচন এবং দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে, প্রতি জোড় সেমিস্টার পরবর্তী এক মাসের মধ্যে ফিল্ড ওর্য়াক ও ভাইবা শেষ করতে হবে।

আন্দোলন চলাকালীন সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনায় বসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের এই পাঁচ দফা দাবি মেনে নেন। দাবি মেনে নেওয়ার পরবর্তী শিক্ষার্থীরা আন্দোলন বন্ধ করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।

ভিডিও দেখুন:



সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডের কুবি প্রতিনিধি ইকবাল মুনাওয়ার।



 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বক্তা ‘স্থানীয় সাংসদ’

কুবি টুডেঃ প্রতিষ্ঠার ১৩ বছর পরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যাল (কুবি) ১ম সমাবর্তনের আয়োজন করছে। আগামী বছরের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়টির সমাবর্তন। দেশের এ উচ্চ শিক্ষালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারীদের আনুষ্ঠানিক ডিগ্রী প্রদানের এ অনুষ্ঠান বেশ কাঙ্খিত।

তবে ডিগ্রীধারীদের উৎসাহ ও উদ্দিপনায় পানি ঢেলেছে খোদ বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসন। তৈরী হচ্ছে ক্ষোভ। সমাবর্তনে কোন নোবেল লরিয়েট’কে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে আনার স্বপ্ন দেখিয়ে নিজের রাজনীতিকে পাকাপোক্ত করতে স্থানীয় সাংসদকে এ সমাবর্তনের বক্তা হিসেবে মনোনিত করেছেন।

এমন সিদ্ধান্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত করা হলেও শিক্ষার্থীদের রোষাণলে পড়ার ভয়ে সমাবর্তন বক্তার নাম প্রকাশ করা হয়নি বলে জানা যায়। অন্যদিকে সমাবর্তনে নিবন্ধনের জন্য ধার্যকৃত অর্থের পরিমাণ কমানোর দাবিও করছেন ডিগ্রীধারীরা।

জানা যায়, অনুষ্ঠিতব্য সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়টির আচার্য মো. আব্দুল হামিদ সভাপতিত্ব করবেন। এ সমাবর্তনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সরকারের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীকে সমাবর্তন বক্তার জন্য মনোনীত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা, সমালোচনা, ক্ষোভ ও অপ্রাপ্তির সুর।

সমাবর্তনে যাদেরকে আনুষ্ঠানিক ডিগ্রী দেওয়া হবে এমন সাবেক অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, সমাবর্তন হলো আনুষ্ঠানিক ডিগ্রী প্রদানের এক মহাউৎসব। শিক্ষা জীবনের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি।

এ সময় সমাবর্তন বক্তার বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে জীবনের গতিকে দৃঢ় করেন। বিশ্বে কীর্তিমান ব্যক্তিদেরকে সমাবর্তনের বক্তা করার রেওয়াজ রয়েছে। যারা সমাজকে মেরামত করেন এমন প্রখ্যাত ব্যক্তিদেরই এ অবস্থানের আসীন করা হয়।

কিন্তু ভিসি বা প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে স্থানীয় সাংসদকে সমাবর্তন বক্তার জন্য চূড়ান্ত করেছেন। স্থানীয় ঐ সাংসদ এমন অবস্থান পেতে পারেন কিনা সে বিতর্ক কেউ করছেন না। তবে দেশে বিদেশে অনেক শিক্ষাবিদই রয়েছেন যাদের বক্তব্য শুনতেই চাইবেন শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদ্য স্নাতকোত্তর শেষ করা এ শিক্ষার্থী বলেন ‘ঐ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনে বান কি মুনকে বক্তা করা হয়েছে। এটা আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছি। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের প্রতি এটি একটি নীরব প্রতিবাদের প্রতীক।’

ভিসিকে ‘ডায়নামিক’ আখ্যা দিয়ে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ভিসি যতটা না শিক্ষাবিদ তারচেয়ে বেশি রাজনীতিবিদ। উনি মন্ত্রী সাহেবকে খুশি করার জন্যই এমনটি করেছেন।’

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সমাবর্তন বক্তা নির্ধারণ না করায় প্রতারণাও বলছেন কেউ কেউ। এদিকে সমাবর্তনে নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত ফি কমানোর দাবি জানিয়েছেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। সমাবর্তনে স্নাতক ডিগ্রীধারীদের জন্য ৩৫৫০ টাকা এবং স্নাতক ও একই সঙ্গে স্নাতকোত্তরধারীদের (দুই ডিগ্রী) জন্য ৪০৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে পূর্বে সমাবর্তন কমিটির আহবায়ক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. এ কে এম রায়হান উদ্দিনকে করা হলেও তাকে সরিয়ে দিয়ে ভিসি নিজেই আহ্বায়ক পদে আসীন হয়েছেন এবং রেজিষ্ট্রার ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরকে করেছেন সদস্য সচিব। ড. রায়হানকে আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়েও সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি প্রশাসন।

জানা যায়, ১ নভেম্বর থেকে সমাবর্তনের জন্য নিবন্ধনের তারিখ নির্ধারিত থাকলেও এর পূর্বেই শুরু করা হয় নিবন্ধন কার্যক্রম। সমাবর্তন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে স্পষ্ট বিবরণ প্রকাশ করাও হয়নি। একই সঙ্গে সমাবর্তনে অংশ না নিলেও সকল ডিগ্রীধারীকে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে মূল সনদ নিতে হবে বলে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে ‘গোঁয়ারতামি’ বলছেন শিক্ষার্থীরা। এক সূত্রে জানা যায়, নিবন্ধন শুরু হওয়ার পর গত বুধবার পর্যন্ত ১৬ দিনে নিবন্ধন করেছেন ১ শত জনেরও কম।

সমাবর্তনের এসকল বিষয় ও সমাবর্তন বক্তার বিষয়ে জানতে চাইলে ভিসি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সংসদকে সমার্বন বক্তার জন্য প্রস্তাব করেছি ওনি এখনও কোন কিছু জানানি ।’

তবে সকল কিছু ছাপিয়ে একটি প্রাণবন্ত শিক্ষার্থী বান্ধব সমাবর্তন উপহার দেয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা এমনটাই দেখার প্রতিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিবারের সদস্যরা।



সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডের কুবি প্রতিনিধি মুহাম্মদ ইকবাল মুনাওয়ার ।



গায়েব কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট!

কুবি টুডেঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ওয়েবসাইটে প্রবেশের সময় ‘ব্যান্ডউইথ সীমা অতিক্রম করেছে’ এমন একটি বার্তা প্রদর্শন করছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ফলাফলসহ যাবতীয় তথ্য পেতে সমস্যাসহ নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পরে ফল প্রত্যাশীরা একসাথে ওয়েবসাইটে প্রবেশের কারণে সাইটটি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের জন্য ক্রয় করা ডোমেইন ১ টেরা বাইট পর্যন্ত ব্যান্ডউইডথ নেওয়া হয়।

পরবর্তীতে ফলাফল প্রকাশের পরে এর মাত্রা ৯০০ জিবি পার হয়ে যায়। এতে প্রাথমিক পর্যায়ে সাইট দুর্বল হয়ে যায় ফলে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে ওয়েবসাইটেই প্রবেশ সম্ভব হয় না।

এতে সতর্কতা স্বরূপ একটি বার্তা প্রদর্শন করে। ‘ব্যান্ডউইথ সীমা অতিক্রম করেছে, এই সাইটের জন্য ব্যান্ডউইথের সীমা অতিক্রম করার কারণে সার্ভারটি অস্থায়ীভাবে আপনার অনুরোধের সেবা করতে অক্ষম। পরে আবার চেষ্টা করুন।’ বলে এক বার্তা দেয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এবং আইটি সেলের নজরে আসার পরে তারা গুরুত্বের সাথে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করে।

এদিকে ওয়েবসাইট অকেজো হয়ে যাওয়ায় বেশি সমস্যায় পড়েছে স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীরা। ওয়েবসাইট থেকে কোন তথ্য না পেয়ে হতাশায় ভুগছে তারা।
কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলসহ অনান্য তথ্য জানতে চাইলে তা সম্ভব হচ্ছে না। এই সমস্যার কারণে কেউ ভর্তি প্রক্রিয়ায় সমস্যার সম্মুখীন হলে এর দায়ভার কে নিবে?

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের প্রোগ্রামার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের পর থেকে ওয়েবসাইট ব্রাউজারের সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে ওয়েবসাইট দুর্বল হয়ে পড়ে। আমরা নতুনভাবে ‘বিডি রেন’ কম্পানির সাথে যুক্ত হয়েছি। দ্রুতই এর সমাধান হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক জানান, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট সবসময় সচল থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইট মাঝে মাঝে বিকল হয়ে যায়। অনেক শিক্ষক, শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করার পরে ওয়েবসাইটের এমন সমস্যার কারণে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ অনিয়মিত পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তথ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের বর্তমান ব্যান্ডউইডথ কম থাকায় এ সমস্যা হচ্ছে। আমরা ‘বিডি রেন’র সাথে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছি। আশা করছি এ সমস্যা দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।’



সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডের কুবি প্রতিনিধি মুহাম্মদ ইকবাল মুনাওয়ার।