দুই মাসের মধ্যে আবাসিক হল খোলার সিদ্ধান্ত হতে পারে: চবি উপাচার্য

চবি প্রতিনিধি


স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলগুলো খুলে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

আজ রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৩২তম সিনেট অধিবেশনে সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. দানেশ মিয়ার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই কথা বলেন চবি উপাচার্য।

প্রফেসর ড. মো. দানেশ মিয়া বলেন, ‘ট্যুরিস্ট স্পটসহ হাট-বাজার সবই ওপেন করে দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে সেখান থেকেই শিক্ষার্থীরা সংক্রমিত হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ায় শ্রেয় বলে আমি মনে করি।’

উপচার্য প্রফেসর শিরীণ আখতার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। তবে আগামী দুই মাসের মধ্যে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।’

চবিতে কটেজ ভাড়ায় মাত্র ২০ শতাংশ ছাড়

চবি প্রতিনিধি


করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত কটেজ সমূহের ভাড়া ২০ শতাংশ মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়স্থ কটেজ মালিক সমিতি। শনিবার এ ব্যপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মালিক সমিতি।

কোন শিক্ষার্থী একসাথে বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করলে মিলবে এই ২০ শতাংশ ছাড়।চবি প্রক্টর মহোদয়ের অনুরোধে এবং মানবিক বিবেচনায় কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি জনাব শাহ আলমের সভাপতিত্বে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা কটেজ ভাড়া ৫০ শতাংশ মওকুফের জন্য আবেদন জানায়।গত ১৭মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়।এরই পরিপ্রেক্ষিতে বকেয়া মাস সমূহের ভাড়া আদায়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন কটেজ মালিকেরা।অনেক দফায় আলোচনার পর সব শেষে ২০শতাংশ ভাড়া মওকুফের ব্যপারে সকলে একমত হয়।

তবে শিক্ষার্থীদের দাবী কমপক্ষে ৪০ শতাংশ ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল সহ আনুষাঙ্গিক খরচ যাতে মওকুফ করা হয়।গত এপিল-২০২০ থেকে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে জানান কতৃপক্ষ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস শুরু আগামীকাল

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগামীকাল (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)।তবে ইন্টারনেটের খরচের ব্যাপারেও কোন সিন্ধান্ত নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হতে পারেন অনেক শিক্ষার্থী বলে শঙ্কা করা হচ্ছে । তারা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের হওয়াতে অনলাইনে ক্লাস অংশ নিতে অনেকের স্মার্টফোনও নেই। তাছাড়া অনেক দুর্গম অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মোবাইল নেটওয়ার্কই ঠিকমতো পৌঁছায়না।

যার ফলে তারা অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসের জন্য স্মার্টফোন ও ডাটা খরচ বহন করা সম্ভব হয়ে উঠবে না। ফলে এটি বৈষম্য তৈরি হবে বলে ধারণা শিক্ষার্থীদের।

উল্লেখ্য যে , গত মাসের ২০ আগস্ট অনলাইন ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হবে।

চবি: নতুন রেজিস্ট্রার মনিরুল, প্রক্টর রবিউল

চবি টুডে


একই দিনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নতুন মুখ।

চবি নতুন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর এস. এম. মনিরুল হাসান।

প্রফেসর মনিরুল হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ তম রেজিষ্ট্রার। এর আগে তিনি প্রক্টর হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

তিনি তিন মেয়াদে স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোষ্টের দায়িত্বও পালন করেন। এছাড়া তিনি আলাওল হলের আবাসিক শিক্ষক ছিলেন।

অপরদিকে প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াকে।

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আজ সোমবার (২৯ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এ দুটি পদে দুইজনকে নিয়োগ দেন।

নবনিযুক্ত রেজিষ্ট্রার প্রফেসর মনিরুল হাসান জানান, আগামী ২ বছরের জন্য ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি। কিছুক্ষণ আগে আমি দপ্তরে যোগদান করেছি। দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগীত চাই।

নবনিযুক্ত প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

পরবর্তীতে ২০১৭ সালে জাপানের নাগোয়া ইউনিভার্সিটি থেকে স্কুল অব মেডিসিনের ওপর পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর একই বছর এপ্রিল মাসে জাপানের সোগো ইউনিভার্সিটিতে ২ বছরের পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আব্দুর রব হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া একটি আবাসিক হলের আবাসিক শিক্ষকও ছিলেন।

ফ্রি করোনা পরীক্ষা করতে পারবে চবি শিক্ষার্থীরা

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ফ্রি করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন । পরীক্ষার নমুনা দিতে চট্টগ্রামের কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজে স্থাপিত বুথ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এরপরে নমুনা বিশ্ববিদ্যায়ে স্থাপিত করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। বিনামূল্যে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরাও এ সুবিধা পাবেন ।

সোমবার (১৫ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চবি পরিবারের কারো করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ব্র্যাকের সহযোগীতায় কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজে স্থাপিত বুথ নমুনা জমা দিতে পারবেন। এ জন্য চবি প্রক্টর অফিসে নাম জমা দিয়ে প্রতিনিধি সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত নমুনা জমা দিতে পারবেন আগ্রহীরা।

চবি প্রক্টর অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট করো করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তিনি প্রক্টর অফিসে লিখিত দিয়ে কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজে স্থাপিত বুথে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার নমুনা দিতে পারবেন। পরীক্ষার জন্য কোনরূপ ফি দিতে হবে না। আর এসব নমুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবেই আমরা পরীক্ষা করবো।

এর আগে সোমবার সকালে চবি উপাচার্যের বাসভবনে এ বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, করোনা মহামারীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সুরক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাস সতর্কতায় আক্রান্ত ব্যাক্তিকে চিহিৃত করা একটি বড় কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সদস্যদের জন্য এমন সুযোগ করে দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ব্র্যাকের সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে উপস্থিত ছিলেন, চবি প্রক্টর প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল্-ফোরকান, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, ব্র্যাক এর ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. ইয়াছিন মিঞা এবং রিজিওনাল ম্যানেজার জনাব মো. হানিফ উদ্দিন।

করোনা টেস্টের অনুমতি পেল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চবি টুডেঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রী জীববিজ্ঞান গবেষণাগারে কোভিড-১৯ রোগের ল্যাবরেটরি পরীক্ষা চালু করার অনুমতি প্রদান করা হল।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিটস ও লজিস্টিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সরবরাহ করা হবে। কোভিড-১৯ পরীক্ষার সমন্বিত ফলাফল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ল্যাব কল সেন্টার এবং ডেএইচআইএস ২ – তে প্রেরণ করতে হবে।

কোভিড-১৯ সনাক্তকরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতার জন্য উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয় ওই চিঠিতে।

চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার জানান, আমরা নমুনা পরীক্ষার অনুমতি পেয়েছি। কখন থেকে শুরু করা হবে তা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

১০ শিক্ষার্থীকে ভিক্ষা করে ভাড়া দিতে বললেন বাড়ির মালিক

চবি টুডেঃ দেশে করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব। সেই সঙ্গে বন্ধ র‍য়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে মেস-বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা। এই সময়ে অনেক শিক্ষার্থীকে মেস-বাসা ভাড়া পরিশোধ করার জন্য চাপ দিচ্ছে অনেক মেস-বাসার মালিক।

এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১০ শিক্ষার্থীকে ভিক্ষা করে এপ্রিল মাসের বাসা ভাড়া দিতে বলার অভিযোগ উঠেছে এক বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। করোনা ভাইরাসের কারণে বাড়িতে চলে যাওয়ায় ওই শিক্ষার্থীরা এপ্রিল মাসের বাসা ভাড়া দিতে পারেনি ওই বাড়ির মালিককে। এতেই নাকি তাদের ওপর রেগে আছেন ওই বাড়ির মালিক শামসুন্নাহার বেগম।

ওই বাসার ভাড়াটিয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান জানান, খুলশী থানার আল ফালাহ গলির হাজী নূর আহমেদ সড়কের আলী ভিলার চতুর্থ তলায় তারা ভাড়া থাকেন। আড়াই বছর ধরে ১০ জন মিলে এ বাসায় আছেন তারা। সকলেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে পড়েন। প্রতিমাসে ১৯ হাজার টাকা ভাড়া গুনতে হয় তাদের। আমরা সবাই টিউশন করে নিজেদের খরচ যোগান দিই। আড়াই বছরে কোন মাসেই ভাড়া বকেয়া ছিল না। এখন করোনার কারণে সবাই যার যার বাড়ি চলে গেছে। টিউশনও নেই। এ জন্য এপ্রিল মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে পারিনি।’

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, “আমি বাড়িওয়ালা আন্টিকে ফোন দিয়ে ওনার খোঁজ খবর নিয়ে বললাম, আমরা যারা মেসে থাকি সবাই নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। টিউশন করে চলি। এখন এই পরিস্থিতির কারণে টিউশনও নাই। পরিবারে সবার ভাল আয়ের কোন ব্যবস্থাও নেই। এখন আপনি যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত ভাড়ার বিষয়টি বিবেচনা করতেন তাহলে আমরা উপকৃত হতাম। ওনি এই কথা শুনেই বলেন, আমি বাসা ভাড়া দিয়েছি। আমি ভাড়া চাই। তোমরা ভিক্ষা করে হলেও ভাড়া এনে দাও। আমার ভাড়ার টাকা না দিলে আমি কোন জিনিসপত্র বাসা থেকে নামাতে দিব না।”

বাড়ির মালিক শামছুন্নাহার বেগম বলেন, ‘এটা আমার আর মিজানের বিষয়। সে সাংবাদিককে কেন জানালো? মিজান কি আমাকে সোজা পেয়েছে? মিজান আমাকে হাইকোর্ট দেখাতে চাইলে আমি তাকে নাঙলকোট দেখাবো। তাকে চট্টগ্রাম শহরে আসতে বলিয়েন।’

চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীরের মৃত্যু

চবি টুডেঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন।

আজ রবিবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৬টায় নগরের বেসরকারি হাসপাতাল সিএসসিআরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, সেহেরি খাওয়ার পর বুকে ব্যথা অনুভব করলে সিএসসিআর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনিমারা গেছেন।

জানা যায়, ফাইন্যান্স বিভাগের সাবেক সভাপতি ও সিইউসিবিএস’র পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম এক মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। জাহাঙ্গীর আলমের বাসা নগরের মুরাদপুরে।

তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। এছাড়া শোক জানিয়েছে চবি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন।

চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ হলে তল্লাশি, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

চবি টুডেঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) গভীর রাতে হঠাৎ করে ছাত্রদের ৫টি হলে তল্লাশি চালিয়ে রাম দা ও চাপাতিসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শাহজালাল, শাহ আমানত, সোহরাওয়ার্দী, স্যার এএফ রহমান ও আলাওল হলে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় হলের প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির নেতৃত্বে ওই পাঁচ হলে অভিযান চালানো হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

গভীর রাতের অভিযানে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে একটি রাম দা ও কিছু লোহার পাইপ, আলাওল হল থেকে চারটি রাম দা, দুটি বিদেশি চাপাতি ও পাঁচটি হাতুড়ি ও লোহার পাইপ এবং স্যার এএফ রহমান হল থেকে একটি রাম দা ও কিছু লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, “শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে ছাত্রদের ৫টি হলে অভিযান চালানো হয়েছে। এতে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।”