উচ্চশিক্ষার জন্য সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও আসন শূন্য থাকবে : ইউজিসি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


চলতি বছর এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষা না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা শেষ করার চিন্তাভাবনা চলছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি গুচ্ছ না কেন্দ্রীয় (ক্যাট) পদ্ধতিতে হবে, সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

দেশের শীর্ষ পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাট পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে ইচ্ছুক। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চাচ্ছে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে। তারা বলছে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে তারা কাজ শুরু করেছেন। আগামীকাল ১৫ অক্টোবর সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

এদিকে করোনা সংক্রমণের ভয়ে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল হলেও ‘পরীক্ষা দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে’— এমন সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। তাদের মতে, অপরিহার্য পরীক্ষা বাতিল হলো অথচ করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে তোড়জোড় কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জানুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে পারে। তবে শীতের কারণে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপ হলে পরীক্ষা পেছাতে পারে। সেক্ষেত্রে শীত শেষে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি বা মার্চে পরীক্ষা নেয়া হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি অপেক্ষা করতে না চায় তাহলে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতেই ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে। সেক্ষেত্রে সশরীরে শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আগামীকালের (১৫ অক্টোবর) বৈঠকে গৃহীত হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন হবে। এজন্য আমাদের প্রস্তুতিও অনেক এগিয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে সশরীরে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন হবে। অল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষা গ্রহণ এবং ফল প্রকাশের চেষ্টা থাকবে।’

তার দাবি, আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় আসতে আপত্তি জানালেও বর্তমানে তারা এ পদ্ধতিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ১৫ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি সভায় সবাই উপস্থিত থাকবেন। সেখানে এসব বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ‘এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে’ বলেও জানান তিনি।

আগের সিদ্ধান্ত অর্থাৎ ক্যাট পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আকতারুজ্জামান। তিনি বলেন, আমাদের আগের সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজেরাই ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করবে।

তিনি বলেন, ‘নতুন সিদ্ধান্তে এইচএসসিতে গ্রেড পদ্ধতিতে কী ফল আসবে, তার ওপরও নির্ধারণ করে আমাদের ভর্তি পরীক্ষার কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে। এটি (ভর্তি পরীক্ষা) কখন, কীভাবে এবং কত নম্বরে আয়োজন হবে, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফোরামের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এদিকে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করা প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীকে অটোপাস দেয়া হলেও সারাদেশে উচ্চ শিক্ষায় সেই সংখ্যক আসন নেই বলে জানা গেছে। এ কারণে সবার জন্য উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতের বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইউজিসি থেকে জানা গেছে, সারাদেশে পাবলিক-প্রাইভেট, মেডিকেল, ডেন্টাল, এমআইএসটি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১২ লাখ আসন রয়েছে। অথচ এ বছর প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। ফলে দুই লাখ শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রতি বছর মোট পরীক্ষার্থীর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ফেল করত। সেই হিসাবে আসন সঙ্কট না হলেও এবার শতভাগ পাস হওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের চাইতেও অতিরিক্ত আসন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর।

তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য পর্যাপ্ত আসন রয়েছে। সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও কিছু আসন শূন্য থাকবে। ভর্তি থেকে কেউ বাদ যাবে না।

ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, আমরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাব। এক্ষেত্রে তিনটি গুচ্ছ হবে। এগুলো হচ্ছে- কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। মোট পাঁচটি ধাপে পরীক্ষার আয়োজন হবে। প্রথম দুটির জন্য দুটি পরীক্ষা হবে। শেষেরটির জন্য বিজ্ঞান, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান এবং বিজনেস স্টাডিজে তিনটি পরীক্ষা হবে।

‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হলে একজন শিক্ষার্থী সবগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। আলোচনা অনুযায়ী বড় পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতি (করোনা মহামারি) এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক স্বার্থ বিবেচনায় তারাও গুচ্ছ পদ্ধতিতে চলে আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।’

গত ৩০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। সমন্বিতভাবে এ পরীক্ষা নেয়া হবে। আগামী জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
তখন যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং সশরীরে পরীক্ষাটি নেয়া যাবে কি-না, সেটি কেউ নিশ্চিত করতে পারছে না। পরীক্ষার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ই সিদ্ধান্ত নেবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ইতোমধ্যে তিনটি পদ্ধতির প্রস্তাব এসেছে। প্রথমে গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তির চিন্তা নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের।

এবার এসএসসি – এইচএসসির নাম্বার ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা!

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করে শতভাগ শিক্ষার্থীকে পাশ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত সপ্তাহে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, জেএসএসি এবং এসএসসি পরীক্ষার গড় ফলাফলের ভিত্তিতেই এবার এইচএসসির ফলাফল মূল্যায়ন হবে। এর ফলে নতুন পদ্ধতিতে এসএসসি এবং এইচএসসির জিপিএ নম্বর ছাড়াই স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার চিন্তাভাবনা করছে যাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

আগামী ১৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নীতিনির্ধারকরা বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় বসবে। সেখানে বিস্তারিত আলাপ করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় এবার লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।

তাঁর মতে, এ বছরের ভর্তি পরীক্ষায় আমরা এসএসসি এবং এইচএসসির ফলাফলের নম্বর বিবেচনা করবো না। ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে পূর্বের দুই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন না করার এটা সবচেয়ে ভালো সুযোগ। এই বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আমি আলোচনা করবো।

ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার করণীয় নিয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর উপাচার্যদের একটি বৈঠক ডেকেছি। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ করা হবে। তবে আমাদের অবস্থান হলো, ভর্তিচ্ছুদের বিগত দুটি পাবলিক পরীক্ষার নম্বর বাদ দিয়ে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবীদের বের করে নিয়ে আসা।

তাঁর মতে, শিক্ষার্থীদের ভালোর স্বার্থে ভর্তি পরীক্ষায় এসএসসি এবং এইচএসসির নম্বর বাদ দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

সূত্র মতে, চলতি বছর দেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ই ইউজিসির অধীনে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আলাদাভাবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্নাতক পরীক্ষা নেবে।

দেশের ৩৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য প্রায় ৬০ হাজার আসন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির আবেদনের জন্য এসএসসি এবং এইচএসসিতে নুন্যতম জিপিএ ২.৫০ হওয়ায় প্রতিবছরই অন্তন্ত ১ থেকে ২ লাখ শিক্ষার্থী খারাপ ফলাফল করায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আবেদনই করতে পারেন না।

তবে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিকের এই পরীক্ষা বাতিল করে শতভাগ শিক্ষার্থীকে পাশ করার সিদ্ধান্তের ফলে ১৩ লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থীই পাশ করেছে। পরীক্ষা ছাড়াই শতভাগ পাশের এমন ঘটনা দেশের ইতিহাসে প্রথম। সরকারের এ সিদ্ধান্তের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রায় শতভাগই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো ইউনিটে ২০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হয় যেখানে ১২০ নম্বরের লিখিত এবং এমসিকিউ পরীক্ষা হলেও ৮০ নম্বর বরাদ্দ থাকে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে।

তথ্য অনুযায়ী, দেশের শীর্ষ চারটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বশর্ত হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, গণিত এবং ইংরেজির ফলাফল বিবেচনা করে। তবে তারা আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেয়। এ চারটি বিশ্ববিদ্যালয় হল- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েত) এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।

এবার চার ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম তিন ধাপে প্রকৌশল, কৃষি ও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি পরীক্ষা আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে নিজস্ব পদ্ধতিতে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


চলতি বছরে করোনা ভাইরাসের কারণে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি’২০ পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘গুচ্ছ ভিত্তিতে’ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

অন্যদিকে এবার সাড়ে ১৩ লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর সবাই পাস। এই বিরাটসংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দেশে বর্তমানে ৩৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়। ‘গুচ্ছ ভিত্তিতে’ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সিদ্ধান্ত নিলেও, এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) নিজেদের মতো করে আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে।

ইউজিসি বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত তাঁদের সিদ্ধান্ত হলো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে একটি, সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আরেকটি এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আরেকটি গুচ্ছ করে এই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে ১৫ অক্টোবর উপাচার্যদের সঙ্গে সভা আছে।

এদিকে, এমনিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সাধারণত অক্টোবর থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এবার স্বাভাবিকভাবেই তা পেছাবে।

এবার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে তৈরি হতে পারে যেসব জটিলতা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে চলতি বছর জেএসসি ও এসএসসি’র ফলাফলের গড়ের মাধ্যমে এইচএসসির ফল নির্ধারণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় যে কোনো শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার যোগ্যতা আছে কি না। আর অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফলও নির্ভর করে এই দুই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের ওপর।

পাশাপাশি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিকেলে পড়তে চাইলে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিতের মত কয়েকটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ন্যুনতম গ্রেড প্রয়োজন হয়।

তাই পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসি’র ফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসি’র ফলাফল দেয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে জটিলতা তৈরির সম্ভাবনা থাকে। খবর বিবিসির।

যে ধরণের জটিলতা তৈরি হতে পারে
বর্তমান নিয়মে বাংলাদেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাওয়া মোট নম্বরের ৪০ ভাগ এসএসসি ও এইচএসসি’র ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাই এই নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন হবে না বলে মন্তব্য করেন শিক্ষা গবেষক ছিদ্দিকুর রহমান।

তিনি বলেন, “এসএসসি’র ১০%, এইচএসসি’র ৩০% ও ভর্তি পরীক্ষার ৬০% নিয়ে পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ করা হতো। কিন্তু এবার এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় ঐ ৩০% আর থাকছে না, কাজেই ভর্তি পরীক্ষার ওপর জোর বেশি দিতে হবে।”

এইচএসসি’র ফল এসএসসি ও জেএসসি’র ফলের গড়ের মাধ্যমে হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি’র ফল গণনা করা যুক্তিযুক্ত হবে না বলে মনে করেন রহমান।

জেএসসি পর্যায় পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীদের একই বিষয় পড়তে হয়। এসএসসি’তে বিভাগ আলাদা হওয়ার পাশাপাশি আলাদা আলাদা বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয় বলে এইচএসসি’র সব বিষয়ের ফল এই দুই পরীক্ষার গড়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।

ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, “যেই বয়সে শিক্ষার্থীরা জেএসসি পরীক্ষা দেয়, সেই বয়সে তাদের মানসিক পরিপক্কতা আসে না। ঐ পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসি’র ফল নির্ধারণ করা যুক্তিসঙ্গত বা বিজ্ঞানসম্মত নয়।”

তবে যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি থেকে এইচএসসি’তে বিভাগ পরিবর্তন করেছে, তাদের ফল নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করেন মি. রহমান।
“কেউ হয়তো এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে ছিল, কিন্তু এইচএসসির সময় পরিবর্তন করে মানবিক বিভাগ নিয়েছে। ঐ বিভাগের নম্বরের ভিত্তিতে বর্তমান বিভাগে ফলাফল দেয়া হলে তা একেবারেই যুক্তিযুক্ত হবে না।”

আর এই জটিলতার ফলে সরকারি প্রকৌশল এবং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন মি. রহমান।

এছাড়া এইচএসসি পরীক্ষার পর যেসব শিক্ষার্থী দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান, তারাও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সিদ্দিকুর রহমান।

“পরীক্ষা না নিয়েই মূল্যায়ন করার ফলে বিদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই হয়তো এই শিক্ষার্থীদের নিতে চাইবে না। তবে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতির উপর নির্ভর করে।”

পরামর্শক কমিটি কী বলছে?
গত ৭ই অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন জেএসসি ও এসএসসি’র ফলের ভিত্তিতে কীভাবে এইচএসসি’র ফল ঠিক করা হবে, তা নির্ধারণ করবে এই বিষয় সংক্রান্ত একটি পরামর্শক কমিটি।
এই পরামর্শক কমিটির একজন সদস্য ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক জানান, ঠিক কোন নীতি অনুসরণ করে ফলাফল নির্ধারিত হবে সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া না হলেও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের কাজ করা হচ্ছে।

মি. হক বলেন, “কীভাবে জেএসসি পরীক্ষা ও এসএসসি পরীক্ষার বিষয়গুলো যুক্ত করে এইচএসসি’র বিষয়গুলোর সাথে সম্পৃক্ত করা যায়, তা নিয়ে পরামর্শক কমিটির পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব টেকনিক্যাল কমিটিও কাজ করছে।”

তিনি জানান, এসএসসি থেকে এইচএসসি’তে যেসব শিক্ষার্থী বিভাগ পরিবর্তন করেছে, তাদের বিষয়টিও পর্যালোচনা করছে কমিটি।
“শুধু বিজ্ঞান থেকে মানবিক বা ব্যবসা শিক্ষায় নয়, কারিগরি শিক্ষা বা মাদ্রাসা থেকে সাধারণ শিক্ষায় যোগ দেয় শিক্ষার্থীরা। আবার প্রাইভেট, মান উন্নয়ন শিক্ষার্থীও আছে। এই প্রতিটি ক্ষেত্রই আমরা শনাক্ত করেছি এবং একটার সাথে আরেকটাকে সম্পৃক্ত করতে যা করা দরকার তা নিয়ে কাজ করছি।”

তবে এইচএসসি পরীক্ষা না নেয়া হলেও বিদেশে পড়ালেখা করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই শিক্ষার্থীরা সমস্যার মধ্যে পড়বে না বলে মনে করেন জিয়াউল হক।
“আমাদের দেশ থেকে বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সময় তারা শুধু দেখে যে শিক্ষার্থী টুয়েলভ গ্রেড পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে কিনা। এরপর শিক্ষার্থীর মেধা যাচাইয়ের প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব পদ্ধতিই অবলম্বন করে।”

“আর সারা পৃথিবীতে অনেক জায়গাতেই করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পাবলিক পরীক্ষা বা এক্সিট এক্সামগুলো নেয়া সম্ভব হয়নি। কাজেই আমাদের শিক্ষার্থীদের ভিন্নভাবে যাচাই করা হবে বলে আমার মনে হয় না।”

এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়

তানিয়াল হোসেন


২০২০-২০২১ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন JSC & SSC গড়ে HSC এবং SSC ই GPA এর মূল্যায়ন যেন না করা হয় তার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এবার আসা যাক কেন এমনটার জোর দাবি জানাচ্ছি -তবে এর আগে আমার এক বন্ধুর কথা শুরুতেই বলে নিচ্ছি -আমার বন্ধু JSC তে GPA=3.00 এবং SSC তে GPA=3.75 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।কিন্তু সে কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশুনার মাধ্যমে HSC তে GPA=5 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। কেন শুরুতেই এমনটি বললাম তার উত্তর নিচের কথাগুলোর মাধ্যমে পাবেন বলে আশা করি।

আজ শিক্ষামন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা এই মুহূর্তের জন্য কল্যাণকর না অকল্যাণকর সেটা আপনারা সবাই জানেন এবং ভাল বোঝেন।আমি শিক্ষামন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করছি না।তবে আমার দাবি হলো ২০২০-২০২১ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়।

যারা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তারা সবাই যেন অংশগ্রহণ করতে পারে।আর,সেই পরীক্ষার মেধাক্রমের ভিত্তিতেই যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। কেননা, আমার এই বন্ধুর মত অনেক পরীক্ষার্থী এবারও ছিল।যারা JSC & SSC তে ভাল রেজাল্ট করে নি।কিন্তু,HSC তে ভাল করার মনোবল ছিল।আজ শিক্ষামন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তে তারা তাদের স্বপ্নগুলোকে ডুবিয়ে দিতে বসেছে।

তারা ভাবছে তার স্বপ্ন অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া হবে না।আমি দু জন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছি। ১ম যার সাথে আমি কথা বললাম সে ত কান্নার কারণে কথাই বলতে পারছিল না।তার কথা হল ভাই আমার ত JSC & SSC ই রেজাল্ট খুব বাজে।আমার ত স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব।আজ সব শেষ হয়ে গেল।আমি আর পড়াশুনা করব না।

২য় জন।সেও প্রায় একই কথা ২০২০-২০২১ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়।
২০২০-২০২১ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন JSC & SSC গড়ে HSC এবং SSC ই GPA এর মূল্যায়ন যেন না করা হয় তার জোর দাবি জানাচ্ছি। এবার আসা যাক কেন এমনটার জোর দাবি জানাচ্ছি – তবে এর আগে আমার এক বন্ধুর কথা শুরুতেই বলে নিচ্ছি – আমার বন্ধু JSC তে GPA=3.00 এবং SSC তে GPA=3.75 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।কিন্তু সে কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশুনার মাধ্যমে HSC তে GPA=5 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। কেন শুরুতেই এমনটি বললাম তার উত্তর নিচের কথাগুলোর মাধ্যমে পাবেন বলে আশা করি।

আজ শিক্ষামন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা এই মুহূর্ত্যের জন্য কল্যাণকর না অকল্যাণকর সেটা আপনারা সবাই জানেন এবং ভাল বোঝেন।আমি শিক্ষামন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করছি না।তবে আমার দাবি হলো ২০২০-২০২১ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়।

যারা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তারা সবাই যেন অংশগ্রহণ করতে পারে। আর, সেই পরীক্ষার মেধাক্রমের ভিত্তিতেই যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। কেননা, আমার এই বন্ধুর মত অনেক পরীক্ষার্থী এবারও ছিল।

যারা JSC & SSC তে ভাল রেজাল্ট করে নি।কিন্তু,HSC তে ভাল করার মনোবল ছিল।আজ শিক্ষামন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তে তারা তাদের স্বপ্নগুলোকে ডুবিয়ে দিতে বসেছে।তারা ভাবছে তার স্বপ্ন অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া হবে না।আমি দু জন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছি। ১ম যার সাথে আমি কথা বললাম সে ত কান্নার কারণে কথাই বলতে পারছিল না।তার কথা হল ভাই আমার ত JSC & SSC ই রেজাল্ট খুব বাজে।আমার ত স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব।আজ সব শেষ হয়ে গেল।আমি আর পড়াশুনা করব না।

২য় জন।সেও প্রায় একই কথা বলছিল।তার কথা হল ভাই এইচএসসিতে GPA টা ভাল করব বিধায় অনেক পড়াশুনা করেছিলাম।আমার সব ইচ্ছা ইচ্ছায় থেকে গেল।আমার JSC & SSC রেজাল্ট খুব একটা ভাল না।আমি হয়ত ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারব না।

তারপর আমি আমার এলাকার একজন শিক্ষকের সাথে কথা বললাম – তিনি বললেন “দেখো আমরা ত হাওর অঞ্চলের মানুষ।আমাদের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি সচেতন না।তারা বিশ্ববিদ্যালয় কি তা কলেজে ভর্তি হয়ে তারপর জানে।

তখন তাদের মধ্যে অনেকেই খুব পড়াশুনা করে এবং প্রতিবছর JSC & SSC তে ভাল ফলাফল না করেও HSC তে অনেক ভাল করে।তারপর এখান থেকে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়।কিন্তু আজ তারা তাদের সেই স্বপ্ন হারাতে বসেছে।তারা ভাবছে তারা হয়ত আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না।কারণ তাদের JSC & SSC রেজাল্ট খুব একটা ভাল না। এমনটি হয়ত সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভাবছে।

তাই আমি শিক্ষা মন্ত্রাণলয়ের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়।আর,এমনটি যেন এই মাসেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তা শিক্ষার্থীদের উদ্দশ্যে বলে দেওয়া হয়। বলছিল।তার কথা হল ভাই ইন্টারে GPA টা ভাল করব বিধায় অনেক পড়াশুনা করেছিলাম।আমার সব ইচ্ছা ইচ্ছায় থেকে গেল।আমার JSC & SSC রেজাল্ট খুব একটা ভাল না।আমি হয়ত ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারব না।

তারপর আমি আমার এলাকার একজন শিক্ষকের সাথে কথা বললাম – তিনি বললেন “দেখো আমরা ত হাওর অঞ্চলের মানুষ।আমাদের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি সচেতন না।তারা বিশ্ববিদ্যালয় কি তা কলেজে ভর্তি হয়ে তারপর জানে।তখন তাদের মধ্যে অনেকেই খুব পড়াশুনা করে এবং প্রতিবছর JSC & SSC তে ভাল ফলাফল না করেও HSC তে অনেক ভাল করে।তারপর এখান থেকে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়।কিন্তু আজ তারা তাদের সেই স্বপ্ন হারাতে বসেছে।তারা ভাবছে তারা হয়ত আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না।কারণ তাদের JSC & SSC রেজাল্ট খুব একটা ভাল না। এমনটি হয়ত সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভাবছে।

তাই আমি শিক্ষা মন্ত্রাণলয়ের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়।আর,এমনটি যেন এই মাসেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তা শিক্ষার্থীদের উদ্দশ্যে বলে দেওয়া হয়।তাহলে সেসব শিক্ষার্থী তারা তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য চেষ্টা করে যাবে।আবার তারা ঘুরে দাঁড়াবে।

লেখক: তানিয়াল হোসেন
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ।

জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা। সমন্বয় পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে। এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি-এসএসসি ফল অনুযায়ী রেজাল্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আজ দুপুরে এ ঘোষণা দিয়েছেন। একটি পরামর্শক কমিটি করা হবে। কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে দুটি পাবলিক পরীক্ষার ফল রয়েছে। এর ভিত্তিতেই করতে হবে মূল্যায়ন। অন্যকিছুতে যাওয়া যাবে না। কেউ হয়তো বলেতে পারেন টেস্ট পরীক্ষা হয়েছে, এবং সেই ফলগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাতে রয়েছে। সেখানেও তো নানা ধরণের সমস্যা থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের ফল তৈরিতে জেএসসি ও এসএসসির ফলের কত শতাংশ হিসেব করা হবে, দৈনিক শিক্ষার রিপোর্টার রুম্মান তুর্য প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়টি পরামর্শক কমিটির মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। হাতে সময় আছে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১২ লক্ষাধিক অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ২ লক্ষাধিক, প্রাইভেট পরীক্ষার্থী, সহ সারাদেশে ১১ বোর্ডের অধিনে পরীক্ষার্থী প্রায় ১৫ লক্ষাধিক। করনোর মধ্যমে সারাদেশে ২৫৭৯ কেন্দ্র এক বেঞ্চে দুইজন সম্ভব না। কেন্দ্র ভিত্তিক প্রশ্নপত্র ও তৈরি ছিল। বিষয় কমিয়ে সিলেবাস কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যায় তবে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ওই পরীক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হয় তাহলে কি হবে?