করোনা: আপনার শিশুকে যেভাবে মানসিক চাপমুক্ত রাখবেন

মোঃ বিল্লাল হোসেন


করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সারাবিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে এটি মহামারী আকার ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারাও যাচ্ছে। যার ফলে মানুষের মধ্যে তৈরী হচ্ছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া।

সময়ের সাথে সাথে সব বয়সী মানুষেরই মানসিক অবস্থার অবনমন ঘটছে। ঠিক তেমনিভাবে আপনার শিশুরও মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটছে ধীরে ধীরে যা শিশুর জন্য খুবই মারাত্মক। এই মহামারীর সময়ে আপনার শিশুর মানসিক অবস্থা যাতে অবনমন না হয় সেজন্য কিছু টিপস মেনে চলা উচিত।

আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক সেই টিপসগুলো কি কি-

১. মহামারী বা দুর্দশার সময়ে শিশুর দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় এবং সে বিভিন্নভাবে পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করে কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খাপ খাওয়াতে ব্যর্থ হয় ফলে তাদের মধ্যে উদ্বিগ্নতা, অতিরিক্ত রাগ, পরিবারের সদস্যদের থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখা, সারাক্ষণ নিশ্চুপ থাকা ইত্যাদি প্রবণতা বেড়ে যায়।

তাই এই সময়ে আপনার শিশুর প্রতিক্রিয়াগুলোকে সহজভাবে নিয়ে তার কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনুন এবং যথাসম্ভব বেশি বেশি আদর করুন ও তার দিকে একটু বেশি মনোযোগ দিন যাতে সহজেই সে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারে।

২. কঠিন সময়গুলোতে শিশুদের প্রচুর সময় দিন এবং ভালবাসুন। নরমভাবে কথা বলুন এবং তাদের পুনরায় নিশ্চিত করুন যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। যদি সম্ভব হয় শিশুদের জন্যে খেলাধুলার ব্যবস্থা করুন।

৩. আপনার শিশুকে সবসময় আপনার কাছে রাখুন, কখনোই পরিবার থেকে আলাদা রাখবেন না। যদি আলাদা রাখতে হয় (হাসপাতালে থাকলে) তাহলে তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।

৪. প্রতিদিন রুটিন মাফিক খেলাধুলা, পড়াশুনা বা বিনোদনের ব্যবস্থা করুন।

৫. বর্তমান পরিস্থিতি সম্বন্ধে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। কিভাবে তারা এই রোগ প্রতিরোধ করতে পারে এবং এই ব্যাপারে তাদের করনীয় সম্পর্কে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করুন দরকার হলে নিজে করে দেখান।

শিশুদের মানসিক অবস্থা ভাল রাখতে সর্বদা তৎপর থাকুন। কেননা যে কোন শিশুর মানসিক অবস্থার অবনতি জীবনে ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। তাই আসুন এই মহামারীর সময়ে আমরা নিজেরা সচেতন থাকি, শিশুদের দিকেও বাড়তি মনোযোগ দেই। যাতে তারা মানসিক চাপমুক্ত ও সুস্থ্য জীবনযাপন করতে পারে। সচেতনতাই আমাদের প্রধান হাতিয়ার।


লেখকঃ শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

Scroll to Top