ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক
করোনা মহামারির কারণে বন্ধ থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছে গাছে এখন বাহারি ফলের সমারোহ। পাকছে বিভিন্ন মৌসুমি ফল। তবে বন্ধ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী না থাকায় এসব ফল খাওয়ার কেউ নেই। ফলে গাছেই পেকে পচে যাচ্ছে এর অধিকাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন, গণিত ও পরিসংখ্যান ভবন ও মীর মশাররফ হোসেন হলের পেছনের অংশসহ আবাসিক হলগুলোর পাশে রয়েছে নানা প্রজাতির মৌসুমি ফলের গাছ। আম, জাম, পেয়ারা, কাঁঠাল, আমলকি, চালতা, কদবেল, কলা, ডাবসহ রয়েছে বাহারি রকমের ফলের গাছ।
অন্যান্য বছর গাছে ফল আসার পর অপরিপক্ক অবস্থায় শিক্ষার্থীরা পেড়ে খেয়ে ফেলতেন। কিন্তু এবার ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কারণে তা সম্ভব নয়। ফলে গাছে গাছে পচে যাচ্ছে ফল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. বেলাল হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে আমরা দুই বন্ধু ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। মীর মশাররফ হোসেন হল অতিক্রম করার সময় পেয়ারা গাছের দিকে তাকাতেই চোখ আটকে যায়। ক্যাম্পাসে এর আগে গাছে পাকা পেয়ারা দেখিনি। এছাড়া চালতা, কদবেল, আমড়াসহ কয়েক প্রকার মৌসুমি ফলে ভরে গেছে গাছগুলো। অনেক গাছেই ফল পেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বেলাল হোসেনের সঙ্গে ক্যাম্পাসে ঘুরতে যাওয়া অপর শিক্ষার্থী হচ্ছেন আলকামা আজাদ। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী না থাকায় গাছে ফল পেকেছে। অন্য সময় ফলগুলো ছোট থাকা অবস্থাতেই পেড়ে নিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। তবে এখন তো আর সে সুযোগ নেই। তাই গাছে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফলগুলো।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ১৮ মার্চ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও ২২ মার্চ থেকে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।