টাকার অভাবে মায়ের বিক্রি করা নবজাতককে ফিরিয়ে দিল পুলিশ

সারাদেশ টুডে:   টাকার অভাবে বিক্রি করা নবজাতককে ফিরিয়ে দিল পুলিশ এমন ঘটনা ঘটেছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে।

এক হত দরিদ্র পিতা মাতা তাদের নবজাতক ছেলে সন্তানকে বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেছেন। পরে পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের নিজ উদদ্যোগে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে নবজাতককে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার গর্ভবতী অবস্থায় কেয়া খাতুন নামে এক নারী কোনাবাড়ী এলাকায় সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই সিজারের মাধ্যমে তার একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। তার স্বামী মো. শরীফসহ তারা এনায়েতপুর এলাকায় বসবাস করে আসছিল। তারা দুজনেই স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।

কেয়া খাতুন ওই হাসপাতালে ১১ দিন ভর্তি ছিল। এতে হাসপাতালের বিল আসে ৪২ হাজার টাকা। এত টাকা পরিশোধ করার মত সামর্থ্য ছিল না মো. শরীফ-কেয়া খাতুন দম্পতির। একপর্যায়ে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হয়ে সন্তান বিক্রি করতে সিদ্ধান্ত নেন।

শুক্রবার (১ মে) ২৫ হাজার টাকায় তাদের ১১ দিন বয়সের পুত্র সন্তান বিক্রি করে দেন। সন্তান বিক্রির সেই টাকা দিয়ে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে বাড়ি ফিরে যান ওই দম্পতি। পরবর্তীতে বিষয়টি পুলিশের অতিরিক্ত মহা-পরিদর্শক (আইজি-এসবি) শহিদুল ইসলামের নজরে আসে। পরে তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি অবগত করেন। একপর্যায়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন ২৫ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়ে ওই শিশুটিকে ফেরত আনেন। পরে মো. শরীফ-কেয়া খাতুন দম্পতির ১১ দিন বয়সের পুত্র সন্তানকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, দারিদ্রতার কারণে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে পারছিল না ওই দম্পতি। ওই দম্পতি পোশাক কারখানার কর্মী। পরে তাদের সন্তানটিকে বাধ্য হয়ে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। সেই টাকা দিয়ে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন বাড়ি ফিরে যান।

তিনি আরও জানান, যাদের কাছে সন্তানটিকে বিক্রি করা হয়েছিল তাদের টাকা ফেরত দিয়ে ওই সন্তানকে ওই দম্পতির কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

Scroll to Top