মাইনুদ্দিন পাঠান
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের দ্বারা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (নোবিপ্রবিসাস) অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ১ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নোবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর মজনুর রহমানকে এই তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোবিপ্রবির প্রক্টর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।
সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড.নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর জানান, সহকারী প্রক্টর মজনুর রহমানকে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগেই উনাকে মৌখিক ভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং উনি কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আজ অফিস আদেশের মাধ্যমে অফিসিয়ালি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ভাংচুরের তদন্তে প্রয়োজনানুসারে ওনাকে সহযোগিতা করবে।
তবে এই তদন্তের বিষয়ে মজনুর রহমান বলেন, বিকেলে নোটিশ হওয়ার কথা, আমি এখনো হাতে পাইনি৷ হাতে পেলেই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবো।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামের ২য় তলায় দপ্তর ভাঙচুর অবস্থায় পেয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। তারা জানান, করোনা সংক্রমণের শুরুতে মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় দপ্তরে কারো আসা হয় নি। বিশেষ কাজে দপ্তরে গেলে ভাঙচুর অবস্থায় পাওয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এই দপ্তর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভাঙচুরের এই ঘটনায় দপ্তরের মূল ফটকে থাকা সংগঠনের নাম সম্বলিত সাইনবোর্ডটি ভেঙ্গে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অফিসের ভিতরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রে হামলা করার চেষ্টা চালায়।
এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।এছাড়াও এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে নোবিপ্রবির ছাত্র সংগঠন,শিক্ষকদের সংগঠন এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সাংবাদিক সংগঠন সহ ৪০ টির অধিক সংগঠন।১৭ জুলাই এবং ১৮ জুলাই সংগঠনগুলো বিবৃতির মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।