বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পুনর্বহালের দাবিতে নোবিপ্রবি সংগঠন সমূহের বিবৃতি

মাইনুদ্দিন পাঠান, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি


নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী তারিখ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক সংগঠনসমূহ।

সোমবার (২২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটি, বিজনেস ক্লাব, রয়্যাল ইকনোমিকস ক্লাব, সিএসটিই ক্লাব ও সায়েন্স ক্লাবসহ আরো অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ২২ জুনকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস করার দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০০৮ সালের নিবার্চনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পরেও নোবিপ্রবির ২য় এবং ৩য় ভিসির মেয়াদকালেও ২২ জুনকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করা হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছরের ২২ জুন এই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

কিন্তু গত ২০১৬ সাল থেকে ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আসলে এ নিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন তথ্য হতে দেখা যায়, ১৯৯৮ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের ১২টি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যার মধ্যে নোবিপ্রবি অন্তর্ভুক্ত ছিলো।

পরবর্তীতে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই “নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০১” পাশ হয়, ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সেই আইন কার্যকর হয় এবং ২০০৫ সালের ২৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিবেকবান ছাত্র হিসেবে এই গর্বিত ইতিহাসকে আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।

এদিকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর দিনকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করার জন্য গণস্বাক্ষর কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম বলেন, “আগের বছরে পালিত তারিখে এবারও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হবে। তবে যেহেতু অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর দিনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হয়। আমরাও নির্দিষ্ট সভায় এটা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।”

Scroll to Top