ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, বর্তমান যে বিপ্লব চলছে তার মুল নিয়ামক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন। প্রযুক্তির এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি আইসিটি জনবলের একটি আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়ন হওয়া দরকার।
গত মঙ্গলবার গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের আয়োজনে “টেকসই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটি জনবলের ভূমিকা” শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি একথা বলেন। ওয়েবিনারে বক্তাগণ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ও ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন।
সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, টেকসই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটি জনবল সমূহ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের ফলে আজ এই মহামারীতেও অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা, ব্যবসা বানিজ্য,কৃষি,স্বাস্থ্য ও সরকারি ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। ।
বুয়েট উপাচার্য আরও বলেন, আইসিটি ক্যাডার ডিজিটাল বাহিনী হিসেবে সরকারকে পথ দেখাতে পারে। সমস্ত অর্জনকে টেকসই করতে আমাদের আইসিটিকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নাই। আমার বিশ্বাস আইসিটি ক্যাডার তৈরি হলে আজকের এসব মেধাবী গ্র্যাজুয়েটরা ক্যারিয়ারের জন্য আর দেশ ছেড়ে যাবেনা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. মুনাইজ আহমেদ নূর বলেন, উচ্চ শিক্ষায় দক্ষ মানব সম্পদের ভূমিকা অপরিসীম আর দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে আইসিটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির গ্যাপ নিরসনের উপরও তিনি তার বক্তব্যে জোর দেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশসের সকল অর্জনসমূহকে সমুন্নত রাখতে, ডিজিটাল নেতৃত্ব তৈরী করতে রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে এবং আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়নের জন্য সরকার যে কাজ শুরু করেছে তা দ্রুত বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আইসিটি গ্র্যাজুয়েটদের মেধা মনন ও উদ্ভাবনী শক্তি দেশের জন্য আরও অবদান রাখবে বলে তিনি বক্তব্যে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরজেএসসির প্রোগ্রামার জিকরা আমিন এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্রগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুল আরেফিন।
তিনি আরও বলেন, দেশে আইসিটিতে ভালো ক্যারিয়ার না থাকায় প্রতি বছর প্রকৌশল ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া গ্র্যাজুয়েটদের বড় একটা অংশ দেশের বাইরে চলে যায় ফলে তাদের মেধা মননশীলতা তাদের উদ্ভাবনী শক্তি থেকে দেশ বঞ্চিত হয়। আবার অনেকেই সিএসই কিংবা সিএসই রিলেটেড বিষয়ের গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পরও শুধু আইসিটি ক্যাডার না থাকার কারণে অন্য ট্র্যাক কিংবা অন্য ক্যাডার বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে।
গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তমিজ উদ্দীন আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়নের দাবি শুধু আইসিটি জনবলেরই নয় এ দাবি সরকারের এ দাবি আইসিটি উপদেষ্টার। গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি তথ্য প্রযুক্তির পেশাগত সংগঠন। বর্তমানে প্রায় ১৬০০ সদস্য রয়েছে।