আন্তর্জাতিক টুডে ডেস্ক: লকডাউনে ভিড় বেড়েছে পর্ন ওয়েবসাইটগুলিতে সাথে সাথে কন্ডম, গর্ভনিরোধক ওষুধে টাকা খরচ করতে চাইছেন না বেশির ভাগ আম জনতা! ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মহিলাদের। তাই দীর্ঘ লকডাউনের জেরে অনিচ্ছাকৃত মাতৃত্বের শিকার হতে চলেছেন লক্ষ লক্ষ মহিলা! আবার অনেক মহিলা হচ্ছেন নিজের বাড়িতে ধর্ষণের শিকার এনিয়ে ব্রিফ করেছেন স্বয়ং জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি বলেছিলেন, করোনার মধ্যে আবার অন্য পরিস্থিতি তৈরি বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া নিয়ে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন।
জানা যায় , মার্চ মাসে ইতালিতে প্রায় ৫৭ শতাংশ, ফ্রান্সে ৩৯ শতাংশ এবং স্পেনে প্রায় ৬১ শতাংশ ভিড় বেড়েছে পর্ন ওয়েবসাইটগুলিতে। সম্প্রতি ‘দি গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চ মাসে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১২ শতাংশ ভিড় বেড়েছে পর্ন ওয়েবসাইটগুলিতে।
এই অনিচ্ছাকৃত মাতৃত্বের ঝুঁকির ভয়ে লকডাউনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কন্ডোম, প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের চাহিদা। কোনও কোনও এলাকায় ডায়াবেটিস বা প্রেসারের ওষুধের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কন্ডোম, প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের চাহিদা। লকডাউনের ফলে সরবরাহের ক্ষেত্রে সাময়িক সমস্যার ফলে অনেক জায়গাতেই পর্যাপ্ত প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট, গর্ভনিরোধক ওষুধের জোগানে টান পড়েছে।
সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানাচ্ছে, লকডাউনের আগে পর্যন্ত তৃতীয় বিশ্বের বা মধ্য আয়ের ১১৪টি দেশের প্রায় ৪৫ কোটি মহিলা অনিচ্ছাকৃত মাতৃত্বের থেকে বাঁচতে নিয়মিত ভাবে গর্ভনিরোধক ব্যবহার করতেন যা এখন অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অনিচ্ছাকৃত মাতৃত্বের শিকার হতে চলেছেন অন্তত ৭০ লক্ষ মহিলা।
তথ্যসূত্রঃzee24ghanta