শিক্ষার্থীদের সনদ ময়লার গাড়িতে: বাসা মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা, রিমান্ডে ১

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বাস ভাড়া বকেয়া থাকায় সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির ৫০ শিক্ষার্থীর শিক্ষাসনদ ও মালামাল গায়েব করার মামলায় এক বাসা মালিক রিমান্ডে।আসামির নাম খোরশেদ আলম। তবে অপর মামলায় আরেক বাড়িওয়ালাকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

গত শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফ সাফায়েতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রিন রোডের বেসরকারি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির ৫০ শিক্ষার্থী পূর্ব রাজাবাজারে আলিফ নামের একটি ছাত্রাবাসে ভাড়া থাকতেন। এ জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তিন বেলার থাকা-খাওয়ার খরচসহ সাড়ে চার হাজার টাকা দিতে হতো। করোনা পরিস্থিতিতে তিন মাসের মেস ভাড়া না দেওয়ায় তাদের শিক্ষাসনদ ও মালামাল গায়েব করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে গত বুধবার গভীর রাতে পুলিশ খোরশেদকে গ্রেপ্তার করে।

এর মধ্যে এক শিক্ষার্থী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে গত মার্চে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলে তারা কক্ষে তালা লাগিয়ে বাড়িতে চলে যান। কিছুদিন আগে জানতে পারেন ছাত্রাবাস মালিক খোরশেদ আলম গত এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত তিন মাসের ভাড়া না পেয়ে তাদের কক্ষ ভেঙে চেয়ার টেবিল, বই-খাতা, আসবাবপত্রসহ মালামাল সরিয়ে ফেলেছেন। বুধবার সকালে ৫০ শিক্ষার্থী সবাই ঢাকায় আসেন। তারা খোরশেদ আলমকে ফোন করলে তিনি এসে বলেন বকেয়া টাকা দিলে মালামাল দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের চাপে ওইদিন রাতে যেখানে মালামাল রাখা হয়েছে, সেখানে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দেখতে পান, তাদের প্রত্যেকের সুটকেসের তালা ভাঙা। লেপ-তোশক ছাড়া, কোনো মালপত্রই নেই। পরে রাত ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা কলাবাগান থানায় অভিযোগ করেন।

আরও বলেন , স্যুটকেসে সব শিক্ষার্থীর শিক্ষাসনদ ছিল। লেপ-তোশক ছাড়া তারা কোনো মালপত্রই তারা পাননি। তাঁদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন তাঁরা দিশেহারা।

এদিকে , কলাবাগানের ৪/এ ওয়েস্টার্ন স্ট্রিটের একটি বাড়ির নিচতলায় মেসে থাকা আট শিক্ষার্থীর তিনটি কক্ষের তালা ভেঙে তাদের শিক্ষাসনদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনপত্র, বই-খাতাসহ যাবতীয় মালামাল ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেন বাড়িওয়ালা।

এ ঘটানায় মুজিবুল হক নামের ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ওই বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধেও একই থানায় মামলা হয়। তবে বাড়িওয়ালাকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে বাড়ি মালিক পলাতক।

Scroll to Top