সরকার চাইলে ফ্রি করোনার ভ্যাক্সিন দেব: গ্লোব বায়োটেক

ডেস্ক রিপোর্ট


দেশের হয়ে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) টিকা (ভ্যাকসিন) আবিষ্কারের দাবি করেছে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। তারা বলছে, তাদের এই ভ্যাকসিন অতিদরিদ্র মানুষরাও কিনতে পারবেন।এমনকি সরকার চাইলে আমরা ফ্রি দিতে পারবো।

গত বৃহস্পতিবার দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশন্সের ম্যানেজার ও ইনচার্জ এবং টিকা আবিষ্কারের গবেষক দলের সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

গণমাধ্যমে বলেন, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন সুস্থ মানুষের শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে দেয়া হবে। তবে এটির এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাকি আছে। এতদিন অ্যানিমেল (প্রাণী) মডেলে কাজ করা হয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর মানবদেহে কাজ করা হবে।

বাণিজ্যিকীরণের পর এই ভ্যাকসিন অতিদরিদ্র মানুষরাও কিনতে পারবে? এ বিষয়ে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, সব জায়গায় আমরা লাভ করবো না। এক্ষেত্রে ভ্যাকসিন উৎপাদনে আমাদের যে খরচ হয়েছে, সেটা দিয়েই আমরা বিক্রি করবো। দাম সবার নাগালের মধ্যেই থাকবে। অতিদরিদ্র মানুষরাও কিনতে পারবেন।

আবার এমনও হতে পারে সরকার জনগণকে ভ্যাকসিনটি ফ্রি করে দিয়েছে কিংবা স্বল্প দামে দিচ্ছে। কারণ এ দেশে বেশিরভাগ টিকাই বিনামূল্যে দেয়া হয়। তবে আমরা সম্পূর্ণ ফ্রি দিতে পারবো না। উৎপাদক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের কিছু খরচ আছে। এখন সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় এটি জনগণকে ফ্রি দেয়া হবে, তখন আমরা হয়তো লাভ করবো না। শুধু উৎপাদন খরচের বিনিময়ে সরকারের কাছে দেব, যোগ করেন গবেষক দলের এই সদস্য।

উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) আবিষ্কারের দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের দাবি, ভ্যাকসিনটি ইতোমধ্যে পশুর শরীরে প্রথম ধাপের পরীক্ষায় সফল হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা করা হবে। যা সম্পন্ন করতে সময় লাগবে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ। সেই পরীক্ষায় সফল হলে এটিকে মানবদেহে পরীক্ষা করা হবে। আর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভ্যাকসিন বাজারে আসতে সময় লাগবে ৬ থেকে ৭ মাস।

Scroll to Top