অতিরিক্ত রাত জাগা ডেকে আনে ‘অকাল মৃত্যু’!

অতিরিক্ত রাত জাগা ডেকে আনে ‘অকাল মৃত্যু’!

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ রাতজাগা মানুষ এবং ভোরে ঘুম থেকে ওঠা মানুষের মাঝে তুলনা করে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা হয়েছে। তবে মৃত্যুর সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা এই প্রথম হলো।

নতুন এই গবেষণায় দেখা গেছে, রাতজাগা মানুষের ডায়াবেটিস, মানসিক সমস্যা এবং স্নায়বিক রোগের ঝুঁকি বেশি। গবেষণায় বলা হয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাতজাগা মানুষও সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি।

যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় জানা গেছে, যারা রাতে সময়মতো ঘুমাতে যান এবং ভোরে ঘুম থেকে উঠেন এমন মানুষদের চেয়ে যারা রাতে দেরি করে ঘুমাতে যান এবং সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের কম বয়সে মৃত্যুবরণের সম্ভাবনা ১০ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া ওই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, রাত জাগা মানুষদের বিভিন্ন রোগের বেশি ঝুঁকি থাকে। সায়েন্স ডেইলির এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিন এবং ইউনিভার্সিটি অফ সারে’র এই গবেষণাটির তথ্য প্রকাশিত হয়।

জীবনে নানা প্রয়োজনে আমাদের প্রায় সবাইকে কখনও না কখনও রাত জাগতে হয়। রাত জাগায় আপনি যদি অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন বা অসুবিধা মনে না হলেও এর বেশ কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে।

ইউকে বায়োব্যাঙ্ক নামের একটি দীর্ঘমেয়াদি জরিপের প্রায় ৫ লাখ অংশগ্রহণকারীর তথ্য নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা মানুষ বা ‘ভোরের পাখিদের’ তুলনায় রাতজাগা বা ‘প্যাঁচা’ ধরনের মানুষের মৃত্যু হয় আগে। ওই গবেষণার রাতজাগা মানুষদের মাঝে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের আগামী সাড়ে ছয় বছরের মাঝে মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে বলে জানানো হয়।

গবেষণার সহ-লেখক ক্রিস্টেন নাটসন জানিয়েছেন, পৃথিবীতে ভোরে ঘুম থেকে ওঠে এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি। এমন একটা পৃথিবীতে রাতজাগা মানুষের জীবনযাপনে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।

ইউনিভার্সিটি অফ সারে-এর ক্রনোবায়োলজি বিষয়ের অধ্যাপক ম্যালকম ভন শান্টজ জানিয়েছেন, যারা রাত জাগেন তাদের কর্মক্ষেত্রেও এ ব্যাপারটি মাথায় রেখে কাজের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত। তারা দেরি করে কাজ শুরু এবং দেরিতে শেষ করার সুযোগ পেলে তা উপকারী হবে বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে রাত জাগার এমন প্রবণতার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে বলে মনে করেন নাটসন। তিনি জানান, এর পেছনে থাকতে পারে মানসিক চাপ, ভুল সময়ে খাদ্য গ্রহণ, যথেষ্ট ব্যায়াম না করা, ঘুম কম হওয়া, জোর করে রাত জাগা, মাদক গ্রহণ বা মদ্যপান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *