অনলাইনে এগিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগ

অনলাইনে এগিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগ

সুপর্না রহমান, গবি প্রতিনিধি


গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ অনলাইনে নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা সম্পন্ন করেছে। ভিন্নধর্মী উদ্যোগ ও বাস্তবায়নে প্রশংসায় ভাসছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

আজ রোববার সকালে অনলাইন প্রযুক্তি জুম অ্যাপের মাধ্যমে এ আয়োজন সম্পন্ন করা হয়।বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. ফুয়াদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু৷

গোটা আয়োজনকে দুই পর্বে ভাগ করা হয়। প্রথম পর্বে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, পবিত্র ধর্ম’গ্রন্থ থেকে পাঠ, আমন্ত্রিত অতিথিদের বরণ, বক্তব্য, নবীনদের পরিচিতি এবং বিদায়ীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। নৃত্য পরিবেশন, গান, কবিতা, কৌতুক, আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজনে সাজানো হয় দ্বিতীয় পর্বটি।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা। কম সময়ে সঠিক উত্তরদাতা পেয়েছেন আকর্ষণীয় উপহার। সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া হয় সৌজন্য উপহার সামগ্রী।

স্মারক ও বিজয়ীদের উপহার প্রাণরসায়ন বিভাগে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে৷ ক্যাম্পাস খুললে পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে এ উপহার প্রদান করা হবে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের৷

প্রাণরসায়ন বিভাগের ১০ম ব্যাচের বরণ ও ২য় ব্যাচের বিদায় দেওয়া হয়েছে। এসময় নবীন শিক্ষার্থীরা বলেন, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিশাল ও মনোরম ক্যাম্পাস পেয়ে আমরা আনন্দিত। এ বিভাগে আমরা ভর্তি হয়ে গর্ববোধ করছি৷ করোনা কালীন সময়েও আয়োজন করে আমাদের বরণ করা হবে, তা কল্পনাতেও ছিল না। বলতেই হবে আমরা (১০ম ব্যাচ) ভাগ্যবান৷

২য় ব্যাচের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম রিমন বলেন, প্রাণরসায়ন বিভাগ এতো সুন্দর প্রোগ্রাম উপহার দেবার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। বিগত ৪ বছরে কোনো কাজে কেউ কষ্ট পেলে আমাদের ক্ষমা করে দিবেন। আমরা বিভাগের ২য় ব্যাচ, পরবর্তী জীবনেও আপনাদের এই ভালোবাসা এবং উপদেশ একমাত্র কাম্য।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) ড. এস তাসাদ্দেক আহমেদ, জাহাংগীরনগর বিশবিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইব্রাহিম খলিল, বিভাগীয় শিক্ষকমণ্ডলী এবং শিক্ষার্থীরা। বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফুয়াদ হোসেন বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের প্রাণ বিদায়ী ব্যাচ ও নবীনেরা। বিদায়ীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি এবং নবীনদের স্বাগত জানাচ্ছি।

বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের বিভাগ অন্য বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অন্য বিভাগের মতো নয়। তাই তোমরা নিজেদের আগে ভাগ্যবান মনে করো। আমরা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সাথে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলি৷ এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রমী ও ধৈর্য্যশীল হতে হবে৷ তোমরা যে বিভাগে আছো, তা চ্যালেঞ্জের ও গৌরবের।

এসময় বিশেষ অতিথি জাহাংগীরনগর বিশবিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইব্রাহিম খলিল বলেন, এই পরিস্থিতিতে এমন আয়োজন আসলেই প্রশংসনীয়। আমরা নিশ্চিত ছিলাম না, প্রোগ্রামটি সফল হবে কী না! কিন্তু এখন বলা যায়, আমাদের আয়োজনটি পুরোপুরি সফল৷ প্রত্যাশা করি, বিপদ-আপদ কাটিয়ে আমরা আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসবো।

গবির উপাচার্য ডা. লায়লা পারভীন বানু বলেন, এমন ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানের উদ্যোগীদের ও আয়োজনকারীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গণবিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনেও এগিয়ে, এই অনুষ্ঠান তার একটি উদাহরণ। আমাদের কার্যক্রম অনলাইনেই চালিয়ে যাবো।

জানা গেছে, করোনাকালীন লকডাউনের মধ্যেও শতভাগ শিক্ষার্থীর অনলাইন অংশগ্রহণে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে৷ চলতি সেমিস্টারেও ক্লাস টেস্ট, মৌখিক পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট-প্রেজেন্টেশন
প্রদান ও গ্রহণ সহ একাডেমিক পাঠদান চলছে নিয়মিত। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পদচারণ না থাকলেও প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন বিভাগীয় শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা৷

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *