অনিশ্চয়তার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
রুবাইয়াদ ইসলাম
বাংলাদেশের মার্চ মাসে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর হঠাৎ ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি জটিল রূপ ধারণ করলে তা কয়েক দফায় বেড়ে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে যাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল তাদের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয় এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এমতাবস্থায় সরকার অনলাইন ক্লাসের উদ্যোগ নিলেও যারা পরীক্ষাধীন অবস্থায় ছিল তাদের বিষয়ে ইউজিসি বা প্রশাসন কেউই এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেয়নি।
যার ফলে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো অনলাইন ক্লাস হয়নি আর তারা অটোপ্রমোশন পাবে নাকি আবার পরীক্ষা দিতে হবে সে বিষয়ে তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। আবার অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট অনলাইন ক্লাস এর মাধ্যমে অনেকটা এগিয়ে গেলেও এ সব ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা তাদের থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। তাদের ক্ষতি কিভাবে প্রশমন হবে তা নিয়েও তারা বেশ উদ্বিগ্ন।
আবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাস গুলোর অবস্থাও বেশ নাজুক। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নাম মাত্র কয়েকটা অনলাইন ক্লাস নিয়ে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা অনেকটা টেনশন এর মধ্যেই দিনাতিপাত করছে।
এ ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। তারা তাদের শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস সহ অনলাইনে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে তাদেরকে প্রমোশন দিয়েছে; আর নেক্সট সেমিস্টার শুরু করেছে। যার ফলে তারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে তারা অনেক এগিয়ে গেছে।
বর্তমানে সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়,ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্মিলিতভাবে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কিভাবে পোষণ করা যায় তা সিদ্ধান্ত নিবে এবং দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসকল শিক্ষার্থীরা সেমিস্টার ফাইনাল দিচ্ছিল তাদের ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত উপনীত হবে; এই প্রত্যাশাই একমাত্র সম্বল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সব ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের।