সাগর দে
প্রায় ২ মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে আবারও শুরু হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চেয়ারম্যান, ডিনদের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আগামী( ১৮ অক্টোবর) রবিবার থেকে সকল বিভাগের অনলাইন ক্লাস শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং আগামী দুই এক দিনের মধ্যেই সকল বিভাগে অনলাইন ক্লাসের জন্য নোটিশ পাঠানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বল্প মূল্যে ডাটা বা বিনা সুদে স্মার্টফোন দেওয়ার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ব্যাপারে চাইলেই দ্রুত কিছু করা সম্ভব না। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে আমরা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন তারা যে সিদ্ধান্ত নিবে আমরা সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করবো। তবে তাদের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে থাকলে তো চলবে না। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে এই অনলাইন ক্লাস নিয়মিত হবে বলে আশা করি।
এসময় অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, শুনেছি ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত হয় তবে নিয়মিত অনলাইন ক্লাস শুরু হলে অনুপস্থিতির সংখ্যা কমে যাবে বলে আশা করি।
এর আগে ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১ জুলাই থেকে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন ক্লাস শুরু করেছিলো বশেমুরবিপ্রবি। ক্লাসগুলোতে প্রথমদিকে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের হার ৫০-৬০ শতাংশ থাকলেও এক পর্যায়ে সেটি ১০-২০ শতাংশেরও নিচে নেমে আসে। এর ফলে তিন থেকে চারটি বিভাগ ব্যতিত প্রায় সকল বিভাগই অনলাইন ক্লাস নেয়া বন্ধ করে দেয়।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূলত ডিভাইস সংকট, আর্থিক সক্ষমতা না থাকা, নেটওয়ার্ক সমস্যা এবং নির্দিষ্ট ক্লাস রুটিন ও শিক্ষা পরিকল্পনার অভাবেই অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। শিক্ষার্থীরা মনে করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বশেমুরবিপ্রবিও যদি শিক্ষার্থীদের স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করে তাহলে অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাবে।