আজ ২১ আগস্ট: নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ১৬ বছর

আজ ২১ আগস্ট: নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ১৬ বছর

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


আজ ২১শে আগস্ট। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় নৃশংস গ্রেনেড হামলার ষষ্ঠদশ বার্ষিকী।

২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে এ হামলা চালানো হয়।

এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা প্রাণে বাঁচলেও, নিহত হন ২৪ নেতাকর্মী; আহত হন চার শতাধিক। ইতিহাসের বর্বোরচিত এই গ্রেনেড হামলার ১৬ বছরেও শেষ হয়নি বিচারকাজ। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৯ জনের যাবজ্জীবন দিয়ে রায় ঘোষণার ২২ মাস পেরিয়ে গেলেও, উচ্চ আদালতে আজও শুরু হয়নি আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশ চলছিল। এতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষে হঠাৎ বিকট শব্দে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
পরপর ১৩টি গ্রেনেডের বিস্ফোরণে মুহূর্তের মধ্যে রক্তাক্ত হয়ে যায় সমাবেশস্থল। শ’ শ’ মানুষের আর্তচিৎকার, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নিথর দেহ আর বারুদের ঝাঁজালো গন্ধে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় গোটা বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকায়।

ওই হামলায় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বেঁচে গেলেও, নিহত হন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন অন্তত চার’শ মানুষ।

এদিকে, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়ে চলে নানা নাটকীয়তা। বিএনপি সরকারের আমলে জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে মামলাকে ভিন্নখাতে নেয়ারও অভিযোগ ওঠে। বার বার তদন্ত কর্মকর্তা বদল করেও দীর্ঘায়িত হয় মামলার তদন্ত কাজ।

পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গতি পায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলা দুটি। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দুই মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এ ছাড়া, আরও ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার ৪৮ দিন পর দুই মামলার রায়সহ প্রায় ৩৭ হাজার ৩৮৫ পৃষ্ঠার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পরে আসামীদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য মামলার পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, মামলাটির গুরুত্ব উল্লেখ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য আবেদন করা হবে। তিনি আরও জানান, বিচারিক আদালত আসামিদের যে সাজার রায় দিয়েছেন তা যেন বহাল থাকে উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সে চেষ্টাও থাকবে। শিগগিরই এর শুনানি শুরু হবে বলেও প্রত্যাশা জানান রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা।

সৌজন্যে: বাংলাটিভি

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *