আবেদনের আড়াই মাসেও দেওয়া হয়নি অনুদানের টাকা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
হাবিপ্রবি টুডে: করোনাকালে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিলেও দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আবেদন আহবান করে সহায়তা না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
তবে এর আগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনবল কম থাকায় আবেদন ফর্ম থেকে উপযুক্তদের বাছাই প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। ঈদ পরবর্তী সময়ে চূড়ান্তভাবে মনোনিতদের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় “ছাত্র-কল্যান তহবিল” থেকে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর অর্থ সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন দুই হাজার দুইশত জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৪০০ জনের আবেদন প্রক্রিয়ায় ভুল ও গরমিল থাকায় তা বাতিল হয়ে যায়।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ফেসবুক গ্রুপে কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এই অনুদানের অর্থ আরো অনেক আগেই দেওয়া উচিৎ ছিল। ধীরে ধীরে সব কিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত অনুদান দেয়নি। আপদ-কালীন সময়ের ঘোষিত এমন একটা স্পর্শকাতর অনুদান বাস্তবায়নে বিলম্ব করাটা প্রশাসনের উদাসীনতা ছাড়া কিছুই নয়।
অর্থনীতি বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: আনিসুজ্জামান বলেন, “ঘোষণা দেবার এক মাসের মাঝে তা কার্যকর করতে পারলে শিক্ষার্থীদের উপকারে আসত।এভাবে সময়ক্ষেপণ করার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর প্রতি আস্থা কমে আসতেছে সবার। তাদের মনে রাখা উচিত শিক্ষার্থীদের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়”
সর্বশেষ ঈদের ছুটির আগে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই সংক্রান্ত খাতে ছয় লক্ষ’র মতো টাকা আছে। আগস্টের ৯ তারিখ থেকে(সম্ভাব্য) সব বিভাগের অনলাইন ক্লাস শুরু হবে এবং তার পূর্বেই অনুদানের টাকা মনোনীতদের দেওয়া হবে। যা এখনো পাননি আবেদন করা শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “উপাচার্য মহোদয় এর ইচ্ছা শিক্ষার্থীরা যেন এই অর্থ তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে লাগাতে পারে। আগামী রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হলে এর পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে টাকা প্রদান করা হবে।”