ইবি কর্মকর্তা সমিতির সভায় দু’পক্ষের হাতাহাতি

ইবি কর্মকর্তা সমিতির সভায় দু’পক্ষের হাতাহাতি

ইবি টুডেঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির ৮ম সাধারণ সভায় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় এ ঘটনা ঘটেছে। এতে জুনিয়র ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কর্মকর্তাদের দীর্ঘ আন্দোলনের পরে গত ২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪৭তম সিন্ডিকেট সভায় সহকারী রেজিস্ট্রারদের ৩৫ হাজার ৫০০ এবং উপ রেজিস্ট্রারদের ৫০ হাজার টাকার বেতন স্কেলের বিষয়টি শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সাপেক্ষে মেনে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গৃহীত সিদ্ধান্তে সকল কর্মকর্তাদের একই বেতন স্কেল না দিয়ে ডিগ্রীর ভিত্তিতে বেতন স্কেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়াও এই প্রস্তাবের সাথে আরও দুটি শর্ত দেওয়া হয়। শর্তসমূহ হল- স্কেল প্রদানের কারণে বেতন সমতাকরণ ও বকেয়া ফিক্সিশন সুবিধা প্রদান করা যাবে না, স্কেল প্রদানের পর সরকারী অডিট কর্তৃক আপত্তি উঠলে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ উক্ত সুবিধা প্রত্যাহার বা সংশোধন করবে।

কিন্তু এই সিন্ধান্ত কর্মকর্তা সমিতির একাংশ মেনে নিলেও অন্য একাংশ সার্বজনীন বেতন স্কেলের দাবি জানায়। পরে কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দের পক্ষ হতে উক্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার জন্য বলা হয়। সমিতির পক্ষ থেকে আরও বলা হয় যে তারা সাধারণ সভায় সমিতির সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে তাদের মতামত জানাবেন।

উক্ত অনুরোধের ভিত্তিতে ভিসি নিজ ক্ষমতাবলে সিদ্ধান্তটি স্থগিত করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্তের পর্যালোচনার জন্য আজ শনিবার সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জামিরুল নামের এক কর্মকর্তা বক্তব্য দেওয়ার সময় সদ্য পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তা উকিল উদ্দিন, বিপুল, শিমুল, সেলিম, গোলাম, বাদলসহ কয়েকজন কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরে তারা জামিরুলকে মারতে স্টেজের উপরে উঠে যায়।

এসময় সিনিয়র কর্মকর্তা পরাগ, আলমগীরসহ কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের আটকাতে যায়। ঘটনার এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় উপ-রেজিস্ট্রার আলমগীর হোসেন শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয় বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মোর্শেদুর রহমান বলেন, ‘ প্রশাসন নীল নকশার মাধ্যমে কর্মকর্তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। কিছু প্রশাসনের অনুগত কর্মকর্তারা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালালে সাধারণ কর্মকর্তারা এতে বাঁধা দেয়।’



সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ প্রতিনিধি ইমানুল সোহান ।


সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *