ইবি প্রক্টরের কুশপুত্তলিকা দাহকারীদরে বহিস্কার দাবি শিক্ষকদের

ইবি প্রক্টরের কুশপুত্তলিকা দাহকারীদরে বহিস্কার দাবি শিক্ষকদের

ইবি টুডেঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহকারী ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ জড়িতদের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে শিক্ষকরা।

বুধবার সকাল ১০ টার দিকে উপাচার্যের সাথে দেখা করে এ দাবি জানায় তারা। এদিকে বেলা ৪টায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা সাংবাদিক সম্মেলন করে সাবেক প্রক্টরের বিচারের দাবি জানায়।

ক্যাম্পাস সূত্রে, গত ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর এবং প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরমের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করে ছাত্রলীগের একাংশের নেতা কর্মীরা। এসময় ড. মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রজীবনে শিবির সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ আনে তারা।

এ ঘটনায় কেন্দ্র করে বুধবার সকাল ১০ টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর সাথে দেখা করেন প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের একাংশের শিক্ষকরা। এ সময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, বঙ্গবন্ধু হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোয়ার্দ্দারসহ প্রায় ৩০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। উপস্থিত শিক্ষকরা ছাত্রদের দ্বারা একজন শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

এই নিন্দনীয় ঘটনার সাথে জড়িতরা ছাত্রলীগের বর্তমান পদধারী কেউ না এবং অনেকেরই শিক্ষাজীবন শেষ হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। এছাড়া কুশপত্তলিকা দাহকারী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানায় শিক্ষকরা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ঘটনার বিচার না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলোর সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের কথাও জানান তারা।

এদিকে বুধবার বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস কর্ণারে সংবাদ সম্মেলন করেন ড. মাহবুবর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহকারী ছাত্রলীগ নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শিশির ইসলাম বাবু। একজন প্রমানিত শিবির সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের পক্ষে গিয়ে ছাত্র এবং ছাত্রলীগ কর্মীদের বহিষ্কারের দাবি অযৌক্তিক। তারা দাবি করেন ড. মাহবুবর রহমান উপাচার্যের কাছের মানুষ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অপরদিকে আন্দোলন থামাতে আমাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা ও ছাত্রত্ব বাতিলসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন নেতারা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘শিক্ষকরা আমার কাছে এসেছিলো। গতকালের (মঙ্গলবারের) ঘটনায় একজন শিক্ষককের সম্মানহানি হয়েছে তাই তারা নিন্দা জানিয়েছে। তাদের বিচারও দাবি করেছে তারা।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *