ইলন মাস্ক কত টাকার মালিক

ইলন মাস্ক কত টাকার মালিক

লাগামহীন ভাবে বাড়ছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক এর সম্পদের পরিমাণ। মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং মহাকাশ গবেষণার প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক এর সম্পদের পরিমাণ এখন ২১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আরো দুই ধন-কূব বিল গেটস এবং ওয়ারেন বাফেট এর মোট সম্পদ যোগ করলে যা হয় সেই অর্থের সমান।

ব্লুমবার্গ এর বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী মাইক্রোসফট এর সহ প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এর সম্পদের পরিমাণ ১১০ বিলিয়ন ডলার। ব্যবসায়ী ওয়ারেন্ট বাফেট এর সম্পদের পরিমাণ ১০১ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া ধোনির তালিকা প্রথম দিকের অবস্থানে থাকা ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন এর প্রতিষ্ঠাতা ও মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ব্লু অরিজিন এর মালিক জেফ বেজোস এর সম্পদের পরিমাণ ১৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বর্তমানে ব্লুমবার্গ এর বিলিনিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী প্রথম পজিশন এ থাকা ইলন মাসের পরেই রয়েছেন বার্নার্ড আর্নল্ট। যার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া এরপরে ধারাবাহিকভাবে রয়েছে জেফ বেজোস গৌতম আদানি বিল গেটস ওয়ারেন বাফেট এবং আরো অনেকে।

গত বছর ইলন মাস্ক এর মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৬ হাজার কোটি ডলার। এতে বড় ভূমিকা রেখেছে টেসলা এবং স্পেস এক্স এর শেয়ার দর। স্পেস এক্স কোম্পানির মূল্যমান এখন ১০ হাজার কোটি ডলার।

অবশ্য বিল গেটস এবং ওয়ারেন বাফেট সম্পদের দিক থেকে আরও অনেক এগিয়ে থাকতেন। এক্ষেত্রে দুজনই জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য বিখ্যাত এবং প্রশংসিত। এরা বছরের পর বছর ধরে কোটি কোটি ডলার জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করে থাকেন। অন্যদিকে দানশীল হিসেবে তেমন সুনাম নেই ইলন মাস্ক এর। গত বছর ১৫ কোটি ডলার দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাস্ক। যা এ পর্যন্ত তার সবচেয়ে বড় ডোনেশন এর একটি।

ইলন মাস্ক বর্তমানে ২১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এর মালিক। যা বাংলাদেশী টাকায় হয় ২১৩৭৮৩৩,০১০০০০০ বা ২১৩৭৮৩৩ কোটি ১ লক্ষ টাকা। যা প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি। ইলন মাস্কের প্রতি সেকেন্ড এ ইনকাম হয় ১৪২৫ ডলার বা ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার কাছাকাছি।

ইলন মাস্ক বড় বড় ছয়টি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। ২০২০ সালে তিনি সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধনী ব্যক্তি হিসেবে নিজের নাম লেখান। বর্তমানে তিনি নিউরো লিংক প্রজেক্ট এর উপর বেশ গুরুত্ব দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন।

ইলন মাস্ক তার মূল প্রতিষ্ঠান টেসলা থেকে ২৩.৫ বিলিয়ন ডলার স্যালারি নিয়ে থাকেন। এযাবৎকালের এটি সবচেয়ে বেশি বেতন হিসেবে ধরা হয়।

পেশাগত ভাবে ইলন মাস্ক এর বিভিন্ন প্রতিভা রয়েছে। তিনি মূলত একজন ইঞ্জিনিয়ার। এর বাইরে তার পেশা বিনে করে এবং উদ্ভাবক হিসেবে বেশ পরিচিত। ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭১ সালের ২৮ জুন। পৃথিবীর সব থেকে ধনী এই ব্যক্তির বয়স বর্তমানে ৫০ বছর। তার কোম্পানি নিউরো লিংক কাজ করে যাচ্ছে কিভাবে মানুষের ব্রেনের সাথে কম্পিউটার চিপ এটাস্ট করা যায়।

ইলন মাস্ক এর জন্মস্থান দক্ষিণ আফ্রিকা কিন্তু তিনি বসবাস করেন আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে। তিনি যে বাড়িতে থাকেন সেটির দাম ২৫ মিলিয়ন ডলার। বাড়িটি তিনি ২০১৬ সালে ক্রয় করেছেন। এই বছর তিনি ফোর্বস এর তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ২১ জন ধনী ব্যক্তির মধ্য নিজের নাম লিখিয়েছেন। তিনি রি ইউজেবল বা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য রকেট আবিষ্কার করে ব্যাপক সুনাম করেছেন স্পেস এক্স কোম্পানির মাধ্যমে। আমরা তার সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *