এইচএসসি তে সব শিক্ষার্থী পাশের সিদ্ধান্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিকদের সীমাহীন খুশি

এইচএসসি তে সব শিক্ষার্থী পাশের সিদ্ধান্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিকদের সীমাহীন খুশি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর সবাইকে পাস করিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে খুবই খুশী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। নিম্নমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেশি খুশী।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্র্রী ভর্তি করতে বিজ্ঞাপন প্রচারসহ নানা বৈধ-অবৈধ পন্থার অবলম্বন করতে হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সীমিত থাকায় আগের তুলনায় এবার দ্বিগুণ শিক্ষার্থী বাড়বে বলে আশা তাদের। যেসব পরীক্ষার্থী ফেল করার হওয়ার ভয়ে ছিল তাদের বেশিরভাগই নিম্নমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেছে নেবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। আর ভর্তির জন্য এসব শিক্ষার্থীকেই টার্গেট করেছে নিম্নমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন সীমিত হওয়ায় এবং ভালোমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা থাকায় এবারে বিনা পরীক্ষায় এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হওয়া দুর্বল শিক্ষার্থীরা সহজ লক্ষ্য হিসেবে নিম্নমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই বেছে নেবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেভাবেই প্রস্তুতি শুরু করেছে।

বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ভিত্তিতে এইচএসসির মূল্যায়নের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সব শিক্ষার্থীই পাস করার ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বাড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ইউজিসির হিসেব অনুযায়ী, ৪৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তি করা ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন আছে ৬০ হাজারের মতো। বাকি আসন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কলেজ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে। বর্তমানে অনুমোদন পাওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৭টি। এ ছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তির সুযোগ আছে।

অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেই সনদ বিক্রি, নিম্নমানের পাঠদান, খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে চালানো, শিক্ষকদের নিয়মিত বেতন না দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

মালিকদের চাপে সংবাদমাধ্যমে কথাও বলতে পারেননা অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামী ভিসি, স্ত্রী প্রোভিসি, ছেলে কোষাধ্যক্ষ ও মেয়ের জামাই রেজিষ্ট্রার। এগুলো পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। এরাই টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচুর বিজ্ঞাপন দেয়া । ফলে সাংবাদিকরা নিম্নমানের প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *