এইচএসসি পরীক্ষা: জেড আকৃতি সিট প্লানে এক বেঞ্চে একজন!

এইচএসসি পরীক্ষা: জেড আকৃতি সিট প্লানে এক বেঞ্চে একজন!

ডেস্ক রিপোর্ট


দেশে চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারনে গত পাঁচ মাস ধরে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে এর মধ্যে পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা পরিস্থিতির আর অবনতি না ঘটলে এসএসসি পরিক্ষা শুরু হতে পারে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বা অক্টোবরেই। আন্ত শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটি এমন প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার কেন্দ্রে ‘জেড’ আকৃতিতে শিক্ষার্থীদের বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে একটি কক্ষে প্রথম বেঞ্চে দুজন শিক্ষার্থী বসলে দ্বিতীয় বেঞ্চে বসবে একজন। এর পরের বেঞ্চে আবার বসবে দুজন। এভাবে একজন শিক্ষার্থী থেকে আরেকজন শিক্ষার্থীর তিন ফুট দূরত্ব নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজনে বেঞ্চগুলো আগের চেয়ে দূরে দূরে বসানো হবে। এভাবে শিক্ষার্থীদের বসালে কতগুলো কেন্দ্রের প্রয়োজন হতে পারে, সে বিষয়ে মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) স্থানীয় শিক্ষকদের নিয়ে এ ব্যাপারে কাজ করছেন।

এর আগে বছরের ১ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসার কথা ছিল প্রায় ১৩ লাখ শিক্ষার্থীর। কিন্তু করোনার পরিস্থিতির কারণে এ পরীক্ষাসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমন বাস্তবতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা আয়োজনের এই চিন্তা-ভাবনা চলছে।
জানা যায়, মাঠ পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হবে। শিগগিরই এই পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির আর অবনতি না ঘটলে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে অথবা অক্টোবরের শুরুতে পরীক্ষা আয়োজন হতে পারে।

সূত্র আরও জানায়, শিক্ষার ‘রিকভারি প্ল্যান’ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) এ বছর না নেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব ওঠে। অন্যান্য শ্রেণিতে অটোপাসের মাধ্যমে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীতের ব্যাপারে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারেও আলোচনা হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘অনেক দিন ধরে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। এ জন্য আমরা বিকল্প পদ্ধতিতে কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় সেই পরিকল্পনা করছি। তিন ফুট দূরত্ব নির্ধারণ করে শিক্ষার্থীদের বসালে কতগুলো কেন্দ্র বা উপকেন্দ্রের প্রয়োজন হতে পারে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। এগুলো পাওয়ার পর শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রস্তাব আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করবে।’

আন্ত শিক্ষা বোর্ডের সূত্র জানায়, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের প্রায় আড়াই হাজার কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। তবে প্রতিটি কেন্দ্রে ‘জেড’ আকৃতিতে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে বেঞ্চগুলোর দূরত্ব বাড়ালে সাত-আট হাজার প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হতে পারে।যেহেতু দেশে এত সংখ্যক কলেজ নেই, তাই কেন্দ্রের সংখ্যা ঠিক রেখে এর অধীনে তিন-চারটি করে উপকেন্দ্র করা হবে। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের আশপাশের স্কুলকেও উপকেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *