একাদশ ভর্তিতে চট্টগ্রামে আবেদন করেও কলেজ পায়নি ১০ হাজার শিক্ষার্থী

একাদশ ভর্তিতে চট্টগ্রামে আবেদন করেও কলেজ পায়নি ১০ হাজার শিক্ষার্থী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


একাদশে ভর্তিতে ২য় দফায় মাইগ্রেশন ও ৩য় দফা আবেদনের ফলাফল গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় প্রকাশ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। ফলাফলে চট্টগ্রামের ৭ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী কলেজ ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। এর আগে দুই দফা প্রকাশিত ফলাফলে মনোনীতদের মাঝে মোট ১ লাখ ২ হাজার ৪৭৮ শিক্ষার্থী তাদের ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন সম্পন্ন করে। আর সর্বশেষ ৩য় দফা ফলাফলে মনোনীত ৭ হাজার ৬৮৬ জনসহ ভর্তির জন্য এ পর্যন্ত কলেজ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ১৬৪ জন।

যদিও চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে একাদশে ভর্তিতে তিন দফায় মোট ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি সূত্রে জানা গেছে।

আবেদন করেও প্রায় ১০ হাজার (৯ হাজার ৮৩৬ জন) শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কলেজ পায়নি। অর্থাৎ এসব (প্রায় ১০ হাজার) শিক্ষার্থী এখনো ভর্তি প্রক্রিয়ার বাইরে রয়ে গেছে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার এসএসসি পাস করেছে প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার শিক্ষার্থী। সে হিসেবে এসএসসি উত্তীর্ণ মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী এখনো ভর্তি প্রক্রিয়ার বাইরে।

তিন দফায় আবেদন ও ফলাফল প্রকাশের পর ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে কলেজগুলোতে। চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ ১৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনীত কলেজে ফি জমা দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে শিক্ষার্থীকে। অবশ্য ভর্তিতে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্র আপাতত জমা দিতে হবে না। পরবর্তী সুবিধাজনক সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসব কাগজপত্র জমা নিতে কলেজগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি।

এর আগে ৩য় দফা ফলাফলে মনোনীতদের আগামীকাল (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ২০০ টাকা পরিশোধ করে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে। টেলিটক বা মোবাইল ব্যাংকিং সোনালী ব্যাংক, রকেট, নগদ, বিকাশ ও শিওরক্যাশে এই ফি জমা দিতে হবে। ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন না করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক।

তবে মাইগ্রেশনে সুযোগ পাওয়াদের পুনরায় নিশ্চায়নের প্রয়োজন নেই জানিয়ে কলেজ পরিদর্শক বলেন, মাইগ্রেশনে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ফি দিতে হবে না। মাইগ্রেশনে সুযোগ পাওয়াদের প্রথম মনোনীত কলেজের পরিবর্তে মাইগ্রেশন হওয়া কলেজের তালিকায় নাম আসবে। আর যে কলেজের তালিকায় শিক্ষার্থীর নাম থাকবে, ওই কলেজেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে তিন দফা আবেদন গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশের পর মনোনীত ও নিশ্চায়নকৃত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে চললেও ভর্তি প্রক্রিয়ার বাইরে থাকা বিশাল সংখ্যক (প্রায় ১০ হাজার) শিক্ষার্থীর ভর্তি নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ার বাইরে থাকা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে উৎকন্ঠা ভর করেছে। আর এসব শিক্ষার্থীকে কোন প্রক্রিয়ায় ভর্তির সুযোগ দেয়া হবে কিংবা পরবর্তীতে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী।

শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সিদ্ধান্ত ও সিডিউল অনুযায়ী অনলাইনে তিন দফায় আবেদন নেয়া হয়েছে। ফলাফলও প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরও অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কলেজ পায়নি। ভর্তির বাইরে থাকা এসব শিক্ষার্থীর বিষয়ে পরবর্তীতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ওই পর্যন্ত এসব শিক্ষার্থীকে অপেক্ষায় থাকতে হবে বলে জানান শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান।

এবার একাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্রসহ কোনো প্রকার প্রামাণপত্র গ্রহণ না করেই আপাতত ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে কলেজগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। তবে কোটায় নির্বাচিতদের কোটার স্বপক্ষে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সনদ/কাগজপত্র জমা দিয়েই ভর্তি হতে হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হকের স্বাক্ষরে ৮ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *