এক দশক পূর্বে ১ম সমাবর্তন, ২য় সমাবর্তন চায় হাবিপ্রবি

এক দশক পূর্বে ১ম সমাবর্তন, ২য় সমাবর্তন চায় হাবিপ্রবি

তানভির আহমেদ, হাবিপ্রবিঃ দুই দশকে পা দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক দশক আগে একবার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হলেও পরের দশকে অনুষ্ঠিত হয়নি কোন সমাবর্তন।

এ বছর ১১ সেপ্টেম্বর, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( হাবিপ্রবি) তার ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাত্র একবার সমাবর্তন হয়েছে উত্তবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এবার সবাই চাইলে প্রতিষ্ঠার পর, ‘দ্বিতীয় সমাবর্তন’ করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক (বীর মুক্তিযোদ্ধা) ।

দুই দশকে পা দেয়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র একটি। যেখানে প্রাইভেট, ন্যাশনালসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এক-দুই বছর পর পর সমাবর্তনের আয়োজন করছে। এমনকি সমসাময়িক সময়ে প্রতিষ্ঠিত অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও সমাবর্তন হয়েছে কয়েকবার। দুই দশক জুড়ে হাবিপ্রবি থেকে পাশ করা গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ নিয়ে বেশ ক্ষোভ দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা উল্লেখ করে অনেক শিক্ষার্থী সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই সমাবর্তনের আয়োজন হচ্ছে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ শুরু করছেন তারা। গত একাডেমিক কাউন্সিলে সমাবর্তনের বিষয়টি উত্থাপিত করা হলেও তা শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। আগামী একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি আবারও উত্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

প্রথম সমাবর্তনের পর ২০০৭-২০০৮ সেশনে হতে বিশ্ববিদ্যালয়টি সব বিভাগ মিলিয়ে অন্তত ৯টি ব্যাচ পাস করে বেরিয়ে গেছে। প্রয়োজনের খাতিরে অনেকেই আবেদন করে সার্টিফিকেট নিয়ে গেছেন। অথচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর সমাবর্তনের মাধ্যমে পাস করা শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়ার কথা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থী কাবিদ আহমেদ মানিক জানিয়েছেন, মাত্র ৯৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথমবার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এখন শিক্ষার্থী সংখ্যা ও বিভাগ সংখ্যা বেড়েছে। ফলে অনেকের সাথে অনেকের পরিচয় নেই। দ্রুত সময়ে সমাবর্তনের আয়জনক করা হলে অনুজ ও অগ্রজদের মধ্যে যে সেতুবন্ধন রয়েছে তা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করছি।

অনেকে মনে করেন, সমাবর্তন অনুজ ও অগ্রজদের পারস্পরিক সেতুবন্ধন। যত সমাবর্তন হবে ততই পারস্পরিক সম্পর্ক শ্রদ্ধাবোধ দৃঢ় হবে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমরাও সমাবর্তন চাই।

সমাবর্তন ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, “আমরাও চাই সমাবর্তন হোক। কিন্তু আমাদের চাওয়ার সাথে তো সবার চাওয়া মিলতে হবে, তা না হলে তো করা সম্ভব হবে না। আগামীকাল একাডেমিক কাউন্সিল রয়েছে সেখানে আবারও বিষয়টি তোলা হবে। সবাই যদি চায় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব আমরা সমাবর্তনের আয়োজন করবো।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *