এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই: অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার

এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই: অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার

বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবরার ফাহাদ (২১) নামে এক ছাত্রকে হত্যার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে হল অফিস ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।



“এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই”



এদিকে ওই সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, রাত ২টা ৬ মিনিটের পর আর কোন ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ফুটেজ পেলে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া একাধিক শিক্ষার্থী মোবাইলে ভিডিও করার কথা শোনা গেলেও তা এখনো পাওয়া যায়নি।

কৃষ্ণপদ রায় বলেন, “ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি। আমরা দেখছি কারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই।”

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, “কয়েকটি সিটি সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিচার বিশ্লেষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক, যে জড়িত থাকবে তাকেই তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”

এদিকে ফাহাদ হত্যার ঘটনায় দু‘জনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল এবং সহ সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ।

উল্লেখ্য, রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরে বাংলা হলের ভেতর ওই ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়। ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। এছাড়া তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাসুক এলাহী বলেন, “রাতে আমি ডিউটিতে ছিলাম। রাত ২টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের ১ম ও ২য় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

এ ঘটনার ব্যাপারে চকবাজার থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, “রাত ২টার দিকে আবরার ফাহাদের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায় হলে। ধারণা করা হচ্ছে, তার সহপাঠীরাই তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।”

প্রসঙ্গত, ফাহাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। তার বাবার নাম বরকতুল্লাহ। তিনি বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *