এ বছর ক্যাম্পাস না খুললে, বিকল্প উপায় কি হতে পারে?

এ বছর ক্যাম্পাস না খুললে, বিকল্প উপায় কি হতে পারে?

শফিকুল ইসলাম


বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্যাম্পাস খুলা নিয়ে স্পষ্টতই আমরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে আছি। চলছে পক্ষ বিপক্ষে যুক্তি পাল্টা যুক্তির লড়াই। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখে আসছি প্রশাসন বরাবরই সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মতামতের প্রতি উদাসীন। যার দীর্ঘমেয়াদী ফল ভোগ করতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকেই। যা পরিস্থিতি, তাতে ভাবলেশহীন কর্তৃপক্ষ মধ্যে আগামী দুই তিনমাসেও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার বিন্দুমাত্র লক্ষণ দেখছিনা।

শিক্ষার্থীদের স্থবির শিক্ষা জীবন সচল করতে এই অবস্থায় বিকল্প কি করা যেতে পারে? এই ব্যাপারে আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক-প্রসূত বিকল্প চারটি প্রস্তাব সবার সাথে শেয়ার করতে চাই।

প্রস্তাব-১: কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস খুলতে আগ্রহী না হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেইসব ব্যাচের পরীক্ষাগুলো আটকে আছে সেই সকল ব্যাচের পরীক্ষাগুলা নিয়ে নিতে পারে। একসাথে না নিতে চাইলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে মাস্টার্স এরপর চতুর্থ, তৃতীয়, দ্বিতীয় এবং প্রথম বর্ষের এক্সামগুলা নিয়ে নেওয়া হোক।

প্রস্তাব-২: যদি কোন ভাবেই এক্সাম নেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে যেসকল শিক্ষার্থীদের এক্সামের কারণে শিক্ষা জীবন আটকে আছে তাদের পরের সেমিস্টার অথবা পরের বর্ষে অনলাইন ক্লাস করার সুযোগ দেওয়া হোক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে না হয় আমরা দুই সেমিস্টারের/বর্ষের এক্সাম একসাথে দিয়ে দিবো।

প্রস্তাব-৩: অনলাইন ক্লাস প্রক্রিয়াকে আরও গুরুত্ব দিয়ে আরও কার্যকর করা হোক। নেট কানেকশন নাই, ডিভাইস নাই! এই প্রব্লেমগুলা খুব কম সংখ্যক স্টুডেন্টদের। সবাই আন্তরিক হলে এই সমস্যাগুলো সহজেই সমাধান করে অনলাইন ক্লাস গুলাকে আরও কার্যকর করা যায়। ক্লাসে উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনে এটেন্ডেন্স নেওয়া হোক। প্রযুক্তিখাতে বাজেটের উদ্ধৃত অংশ ব্যয় করা হোক।

প্রস্তাব-৪ : ক্যাম্পাসে যে সকল শিক্ষার্থী টিউশন করে পেট চালাত তারা গত ছয় মাসের এই দুর্যোগে কে কোথায় উপোস দিন কাটাচ্ছে তার খবর কেউ রাখেননি! অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী-কর্মকর্তাগণ বসে বসে বেতন ভাতা নিচ্ছেন। অথচ সকল কর্মকর্তা-ককর্মচারীর একসপ্তাহের বেতন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহায় শিক্ষার্থীদের তিন মাসের পেট পূজার ব্যাবস্থা করা যায়।

আপনাদের আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে ক্যাম্পাস খুলার কোন আগ্রহ না থাকলে অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি তহবিলের ব্যাবস্থা করার জোর দাবি জানাই।

লেখকঃ শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যলয় ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *