করোনাকালে জবি শিক্ষার্থীদের পাশে ছাত্রলীগ
ফারহান আহমেদ রাফি
জবি
করোনার এই দুঃসময়ে থেমে নেই জবি শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া সমস্যা। সেই সাথে থেমে নেই মেস ভাড়া সংকট নিরসনে জবি ছাত্রলীগের ৩ কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রম।
প্রতিদিন জীবন বাজি রেখে এই করোনাতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন জবি শিক্ষার্থীদের মেস সমস্যা সমাধানে। তাদের সাথে আরো কয়েকজন কর্মী বিভিন্ন সময় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
জবি ছাত্রলীগের উল্লেখযোগ্য সেই ৩ সারথী হচ্ছেন- ১২ ব্যাচের পদার্থবিজ্ঞানের কনিক স্বপ্নীল , ১৩ ব্যাচের মেনেজমেন্ট বিভাগের মোহন আলি খান ও একই বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফসান জামিল রাজু।
করোনাকালীন মেস ভাড়া সংকটে তাদের সাথে কাজ করছেন জবি ছাত্রলীগের ফারহান আহমেদ রাফি, মোঃ ইউনুস, সৌরভ দাস, শাহীনুর শাহীন, পিয়াল অনুপ, মেহেদী হাসান।
তারা নিঃস্বার্থ ভাবে নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে করোনাতে মেস সমস্যায় আছেন এমন শিক্ষার্থীদের মেসে গিয়ে ওইসব মেসের বাড়িওয়ালাদের সাথে কথা বলে বাড়ি ভাড়া কমানো থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের মালামাল নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করছেন।
তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর স্যার মোস্তফা কামাল ও সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলদারের এর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে এসব কাজ করছেন। তারা প্রক্টর ও সহকারী স্যার এর নির্দেশনায় সমস্যায় পরা শিক্ষার্থীদের মালামাল নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে রাখছেন।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার বলেন, দেশের এই দুঃসময়ে ওরা যেভাবে ওদের ভাইবোনদের পাশে এগিয়ে এসেছে এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
এ বিষয়ে কনিক স্বপ্নীল বলেন –
‘করোনা কালীন এই দুঃসময়ে মেস ভাড়া সংকটে বিপাকে পড়া জবিয়ানদের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। মেসের ভাড়া কমানো, মালামাল রাখার ব্যবস্থা, মালামাল কুরিয়ার ও মেসের অন্তর্গত সমস্যাগুলোও সমাধান করছি। প্রক্টরিয়াল বডি আমাদের সাথে আছেন তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।’
মোহন আলি খান বলেন, প্রতিদিন সূদুর খিলগাঁও থেকে পুরান ঢাকা আসি আমাদের ভাই-বোনদের মেস সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য। এমনও অনেকদিন থাকে যাওয়া-আসার ভাড়াটাও আমাদের কাছে থাকে না তবুও থেমে থাকি নি, এগিয়ে চলেছি সকলের ভালোবাসায়।
রাফসান জামিল রাজু বলেন, জুন মাসে আমার বাসার নিকটে একটু রুম নিয়েছিলাম জবিয়ান মালামাল রাখার জন্য সেখানে জায়গায় সংকট হওয়াও এবং সবার প্রয়োজনের তাগিদে আমরা নতুন আরেকটি ফ্লাট নিয়েছি। যেখানে বাকিদের মালামাল রাখার সু ব্যবস্থা করা যায়।