বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০২:৫০ অপরাহ্ন

করোনা: নীরব দর্শক স্কোপাসের জরিপে গবেষণায় শীর্ষে থাকা রাবি

  • আপডেট টাইম বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০, ৬.৪৭ পিএম

এমএ জাহাঙ্গীর, রাবি প্রতিনিধি


স্কোপাসের জরিপে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে গবেষণায় শীর্ষের প্রতিষ্ঠানটির নাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নানা গবেষণার সাথে তাল মিলাতে পারছে না এই শীর্ষ প্রতিষ্ঠানটি। দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংকটের মুহুর্তে রয়েছে অনেকটা নিষ্ক্রিয় ভূমিকায়।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মেসী বিভাগের স্যানিটাইজার তৈরির পর আর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রদক্ষেপ চোখে পড়ে নি। অথচ দেশের এই সংকটকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগ, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞানসহ বেশ কয়েকটি বিভাগকে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ ছিলো। তবে এসকল বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রয়েছেন অন্যান্য বিভাগের মতোই ছুটিতে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন নিস্ক্রিয়তায় হতাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল শিক্ষার্থীই। তারা বলছেন, দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জায়গা আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু গবেষণায় অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান তাই এই সংকটে অনেক কিছু করার সুযোগ আছে।

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাস রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় উপাচার্য ভবনে অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ঢাবি করোনাভাইরাস রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির একটি জরুরি সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টায় ২০০টি করোনা পরীক্ষার সক্ষমতার কথা জানিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ। যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার গবেষণাগারটি করোনা পরীক্ষার মানসম্পন্ন দাবি করে কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও দক্ষ লোকবল তাদের রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে পরীক্ষার কিট ও নমুনা সরবরাহ করলেই এক দিনেই শনাক্তের ফলাফল জানা যাবে। এ ধরনের কোনো কার্যক্রমও চোখে পড়েনি রাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

এই সংকটের মুহূর্তে গবেষণা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু করণীয় আছে কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আশিক মোসাদ্দিক বলেন, এই বিষয়ে কাজ সুযোগ অবশ্যই আছে। আমাদের বিভাগেরই অনেক শিক্ষক আছেন যারা মলিকুলার বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিষয়ে অভিজ্ঞ। তাদেরকে নিয়ে আমরা চিন্তা করছি কিছু করা যায় কিনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর কর্তৃপক্ষ যদি চায় তাহলে আমরা চেষ্টা করবো কিছু কাজ করার।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইরাস ডিটেকশন করার মতো সুযোগ এখন পর্যন্ত আমাদের নাই, সরকার যদি আমাদের এখানে ল্যাব করে দেয় তাহলে আমাদের সেই সক্ষমতা আছে যে আমরা জিনোম সিকোয়েন্স থেকে শুরু করে ভাইরাস ডিটেকশন করা বা এ নিয়ে আরো গবেষণা করতে পারবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের কোনো কাজ হচ্ছে না এখনো পর্যন্ত। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় এ ধরণের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ কম।

The Campus Today YouTube Channel

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_creativenews_II7
All rights reserved © 2019-20 The Campus Today