হাসপাতালের বাহিরে সর্বপ্রথম করোনা পরীক্ষার অনুমতি পেল যবিপ্রবি

হাসপাতালের বাহিরে সর্বপ্রথম করোনা পরীক্ষার অনুমতি পেল যবিপ্রবি

ওয়াশিম আকরাম, যবিপ্রবি প্রতিনিধি


করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি । হাসপাতালের বাইরে দেশের কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রথম করোনাভাইরাস পরীক্ষার সরকারি অনুমতি পেল।

শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে ২০১৯ সালে সংগ্রহ করা বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পিসিআর মেশিন রয়েছে। একসঙ্গে এখানে ৯৬ জনের পরীক্ষা সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪ জন শিক্ষক করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করবেন। তারা ছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুজন শিক্ষক এই ল্যাবে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। তাদেরও প্রশিক্ষিত করে ল্যাবে যুক্ত করা হবে।

এর আগে গত ৩০ মার্চ দ্য ক্যাম্পাস টুডেতে ‘ করানো রোগী শনাক্তের জন্য প্রস্তুত যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের ১১দিন পর যশোরবাসী সুখবর পেলেন।

জিনোম সেন্টারে ২৪ ঘণ্টা চালু রাখারও সক্ষমতা তাদের রয়েছে। প্রতিদিন ২শ’ রোগীর নমুনা এখানে পরীক্ষা সম্ভব। তবে নমুনা বারে বারে না পাঠিয়ে এক বা দুইবার পাঠানো হলেই কাজ দ্রুত সম্ভব হবে। দিনের দিনই পরীক্ষার ফলাফল তারা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন যবিপ্রবির উপাচার্য।

উপাচার্য আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকায় তিনি নিজে এবং শিক্ষকরা ঢাকা, ফরিদপুরসহ অন্যান্য এলাকায় অবস্থান করছেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে আগামীকাল (রোববার) তিনি যশোর পৌঁছাবেন। এছাড়া পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই), কিট ও রোগীর নমুনা সরবরাহ করা হলে তারা আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই পরীক্ষা শুরু করতে পারবেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ টেকনিক্যাল কমিটি ল্যাবরেটরি ইনভেস্টিগেশনের সভাপতি ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাস পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অতিদ্রুত সেখানে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হবে। এবং তারা পরীক্ষা করে দেবেন।

উপাচার্য ড. আনোয়ার জানান, “ল্যাবটি ইতিমধ্যে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও যশোরের সিভিল সার্জন পরিদর্শন করেছেন। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি এবং শিক্ষা সচিবের সাথেও তার কথা হয়েছে।

আইইডিসিআর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সঙ্গেও এ নিয়ে তার কথা হয়েছে। সরকারের সিগন্যাল পেলে মহামারীর এ দুর্যোগ মোকাবেলায় তারা তাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রস্তুত।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *