কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই? পর্ব-১

কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই? পর্ব-১

হানিফ সিদ্দিকীঃ নাবিক যদি না জানে সে কোন বন্দর খুঁজছে, তাহলে যে কোন বাতাসই তার কাছে সঠিক। রোমান দার্শনিকের বিখ্যাত উক্তিটির মধ্যে নিহিত আছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ধীরে ধীরে দিকভ্রান্ত হবার নিগুঢ় রহস্য। কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই? কে চান? কারা চান? নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির চাওয়া? নাকি গোষ্ঠীর চাওয়া?

আমরা প্রায়শই এই জায়গাটিতে ভুল করি। চাপিয়ে দেই। এই চাপিয়ে দেওয়া থেকে তৈরি হয়- ব্যক্তি তুষ্টি, কিন্তু সামগ্রিক অপ্রাপ্তি ও অসন্তোষ। অবশেষে বিস্ফোরণ। তখন আবার সংস্কার করি। তাৎক্ষণিক সংস্কার। সংস্কার করি অন্যদেশের মডেল বা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি-বিশেষের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে। আবার সেই চক্র- অপ্রাপ্তি এবং অসন্তোষ। এই চক্রের মধ্যেই আমরা ঘুরপাক খাচ্ছি।



বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যক্ষ অংশীদান (Stakeholder) হলেন- শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিল্পকারখানা, সাধারণ জনগণ, সরকার, অর্থপ্রদানকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মকর্তা। এর মূলে কেন শুধু শিক্ষার্থী?



বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। কথাটি বলার পরে আমার সহকর্মী আমার উপর যেমনভাবে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন, তখনি বুঝেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দিয়ে হবে! বিশ্ববিদ্যালয় কেন শিক্ষার্থীদের জন্য- তা একটু খোলাসা করা যাক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যক্ষ অংশীদান (Stakeholder) হলেন- শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিল্পকারখানা, সাধারণ জনগণ, সরকার, অর্থপ্রদানকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মকর্তা। এর মূলে কেন শুধু শিক্ষার্থী?

অভিভাবকগণ সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান তাঁদের সন্তান মানুষের মত মানুষ হবে বলে। পরিবারের দায়িত্ব নেবে বলে। এখানে অভিভাবক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তাঁর সন্তানের মাধ্যমে যুক্ত। শিল্পকারখানাগুলো তাকিয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে যেন তারা উপযুক্ত মানবসম্পদ পায় যার দ্বারা কলকারখানাগুলো সচল থাকবে। সমাজের চাহিদা মিটবে। এই চাহিদা মেটানোর কেন্দ্রে অবস্থান শিক্ষার্থীদের। সাধারণ জনগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কিভাবে সংযুক্ত?

একটি গল্প শুনুনঃ এক দেশে ছিলেন এক দরিদ্র ও ঋণগ্রস্ত দম্পতি। দিন আনে, দিন খায়। তাঁদের এক সন্তান। পড়াশুনা করে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। সন্তানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ করে বাবামার কাছে ফেরত যায় এবং বলে- তোমরা আমাকে লেখাপড়া শিখিয়েছো। বড় করেছো। আমি কৃতজ্ঞ। এখন আমার জীবন চালানোর জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করে দাও। প্রিয় পাঠক বাবামার মনের অবস্থা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন? কে কার দায়িত্ব নেবার কথা ছিল?

বিষয়টি খোলাসা করা যাক। এই বাবামা হলেন আমাদের দরিদ্র-ঋণগ্রস্ত প্রিয় জন্মভূমি। একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীর পেছনে বেশ কয়েক লাখ টাকার উপরে খরচ করে রাষ্ট্র যা সাধারণ জনগণের টাকা অথবা ঋণের টাকা। সাধারণ জনগণের প্রত্যাশার জায়গাটা স্পষ্ট। শিক্ষার্থীরা নিজেরা বোঝা না হয়ে অন্যদের বোঝা লাঘব করবে। জনগণের এই প্রত্যাশাটাও শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক। সরকার ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের কথা ভেবে তার দক্ষ জনবল তৈরি করে।



কোন শিক্ষার্থী বলতে পারে নাই- বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সে কী ভাবছে। অভিভাবকের সাথে যোজন যোজন দূরের সম্পর্ক।শিল্পকারখানাগুলো প্রায়ই অভিযোগ করে বলেন, তাদের চাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায় প্রতিফলিত হয় না। সাধারণ জনগণের কোন মতামত প্রাধান্য পেতে কখনো শুনি নাই।



যেমন বর্তমানে আমাদের সামনে ভিশন ২০২১, এসডিজি ২০৩০, রূপকল্প ২০৪১ বা ডেল্টা ২১০০। আমরা তৈরি হচ্ছি। কাদেরকে তৈরি করছি? নিশ্চয় শিক্ষার্থীদের। তাহলে কী শিক্ষকদের ভূমিকা অস্বীকার করবো? মোটেও তা নয়। এই মহা কর্মযজ্ঞের কারিগর শিক্ষক। শিক্ষকের পেশা মানুষ বানানো। এটা তাঁর উপরে অর্পিত দায়িত্ব। কিন্তু রসদ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের মানুষ করতে হবে বলেই শিক্ষক নিয়োজিত। কাজেই, বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। শিক্ষার্থীদেরকে সঠিক দিকনির্দেশনায় মানুষ করার মধ্যেই নিহিত আছে রাষ্ট্রের কল্যাণ।

কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয় সমাজকে গতিশীল করার জন্য। কিন্তু কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই? এর প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য জানতে হবে যেমনটি পূর্বে আলোচিত হয়েছে, কোন প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি বা আরও প্রতিষ্ঠান থাকে। যারা প্রত্যক্ষভাবে সেই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকে। তারা প্রতিষ্ঠানের অংশীদার। যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে অংশীদার হলেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিল্পকারখানা, সাধারণ জনগণ, সরকার, অর্থপ্রদানকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মকর্তা ইত্যাদি।

প্রথমতঃ তাঁরা কী চান? সমাজে ভবিষ্যতের চাহিদা কি? আমরা কোথায় পৌঁছতে চাই? এটি একমাত্রিক নয়। বরং বহুমাত্রিক। জরিপ, রাষ্ট্রের দিকদর্শন এবং বিভিন্ন নথি থেকে এটি পাওয়া যেতে পারে। একজন যোগ্য-বিজ্ঞ শিক্ষানুরাগী একটি বডির মাধ্যমে সমস্ত অংশীদারের উপর পরিচালিত জরিপ এবং রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ ভাবনা বা দিকদর্শন রোমন্থন করে নির্যাস বের করবেন। সেই নির্যাসই হলো একটি প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন বা সংক্ষিপ্ত দর্শন। এটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু সম্পূর্ণ। থাকবে সময় অভিক্ষেপ এবং ভবিষ্যতের দিকদর্শন। যেমন দশ বছর পরে আমরা আমাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়কে কোথায় দেখতে চাই?

এটি হতে হবে নির্দিষ্ট কিন্তু চ্যালেঞ্জিং। এটি একটি সম্মিলিত স্বপ্ন। যাকে অর্জন করার জন্য সম্মিলিত এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা লাগবে। এমনি এমনিতে অর্জিত হবে না। যুদ্ধে সেনাপতি যোদ্ধাদের যেমন উদ্দীপিত করে, ভিশন কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মরতদের তেমনি উদ্দীপ্ত রাখে। এখন ভাবুন, আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন কি আপনি জানেন? মানসিকভাবে ধারণ করেন? আপনাকে উদ্দীপ্ত রাখে? বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিরা তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন নিয়ে কখনো ভেবেছেন?

এই ভিশনকে অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে কিছু সুপরিকল্পিত কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। যাকে সংক্ষেপে উপস্থাপন করার মাধ্যমে তৈরি হয় মিশন। বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রকৃতি, সম্পদ ও বিশ্বাস অনুযায়ী এই মিশন তৈরি হয়। প্রতিষ্ঠান কেন টিকে আছে- তার মর্মকথা থাকতে হয়। ৩টি প্রশ্নের উত্তরের সমন্বয়ে তৈরি হয় এই মিশন। ভিশন অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠান কি করছে? কার জন্য করছে? কিভাবে করছে?

এটি যেমন সকল অংশীদারের জন্য বোধগম্য হতে হয়, তেমনি হতে হয় উদ্দীপনামূলক। সকল অংশীদান অনুপ্রাণিত হবে। এর মধ্যে থাকবে ভিশন কেমন করে বাস্তবায়িত হবে। শব্দচয়নে থাকে প্রতিষ্ঠানের প্রমূল্য (মূল্যবোধ), প্রোডাক্ট, সার্ভিস, ভাবমূর্তি এবং কার্যক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রাধিকার ইত্যাদি বিষয়াদি। এটি সংক্ষিপ্ত এবং স্বাতন্ত্র। আমার জানামতে, কিছুদিন পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাড়াহুড়া করে ভিশন ও মিশন তৈরি হয়েছে, কিন্তু বস্তুতপক্ষে অংশীদারদের মতামত সেখানে কোনভাবেই নেয়া হয় নাই। প্রতিফলন তো অনেক দূরের কথা।

কোন শিক্ষার্থী বলতে পারে নাই- বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সে কী ভাবছে। অভিভাবকের সাথে যোজন যোজন দূরের সম্পর্ক।শিল্পকারখানাগুলো প্রায়ই অভিযোগ করে বলেন, তাদের চাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায় প্রতিফলিত হয় না। সাধারণ জনগণের কোন মতামত প্রাধান্য পেতে কখনো শুনি নাই।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রতিষ্ঠানের (বিশ্ববিদ্যালয়সহ যেকোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য) মূল্যবোধ বা প্রমূল্য (Core Values)। এই মূল্যবোধ থেকেই মানুষ তৈরি হয়। মানবিক গুনের উন্মেষ ঘটে। মননশীলতা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। রাষ্ট্র তথা সমাজ সামনের দিকে এগিয়ে চলে। প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাস থেকে মূল্যবোধ বা প্রমূল্য তৈরি হয়। এটি একটি সংস্কৃতি বা কালচার তৈরি করে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাগবিহীন।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই সততার অনুশীলন করে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সমাজের যে কোন সমস্যাতে সাধারণ জনগণের মঙ্গলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক মধুর। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুস্থ বিতর্ক হয়, এমনকি শিক্ষকগণও সেই বিতর্কে অংশগ্রহণ করে। কখনো কখনো শিক্ষার্থীদের কাছে হেরে শিক্ষার্থীর পিঠ চাপড়ে বলে- যোগ্য বাছা। শিক্ষার্থী আমাদের বহুকালের সংস্কৃতি অনুযায়ী মাথা নিচু করে সালাম করে- সমস্ত আপনার জন্যই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি বছর মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টি করে। এগুলোই মূল্যবোধ। যেখান থেকে অহংবোধের সৃষ্টি। এটিই প্রমূল্য।

প্রতিষ্ঠানের প্রমূল্য স্থাপন বা খুঁজে বের করে আনতে হয়। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে লালন করতে হয়। সবার সামনে উপস্থাপন করতে হয়। এটি যেমন প্রতিষ্ঠানের মৌলিকত্ব প্রকাশ করে তেমনি প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করে। সকল অংশীদার এই প্রমূল্যের জন্য গর্ব করে, তেমনি এটিকে লালন করে। লালন করতে হয় যেন বিনষ্ট না হয়। তিল তিল করে গড়ে তুলা এই প্রমূল্য প্রতিষ্ঠানকে স্বতন্ত্রভাবে সমাজে এবং বিশ্বপরিমন্ডলে পরিচিত করে তুলে। সাধারণত প্রমূল্য হিসেবে কী কী থাকতে পারে?

যেমনঃ বিষয়ভিত্তিক চরম উৎকর্ষতা বা গুণ, সততা ও নিষ্ঠা, মননশীলতা ও মানবিকগুণ, সৃষ্টিশীলতা ও সংস্কৃতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চর্চা, শ্রদ্ধাবোধ, টীমওয়ার্ক ইত্যাদি। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো- আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোথাও প্রমূল্য লিখিত আছে শুনি নাই। কোথাও সুনির্দিষ্টভাবে আলোচিত হয়- জানিনা। তার মানে কি আমাদের গর্ব করার মত কিছু নেই। অবশ্যই আছে। কিন্তু সম্মিলিতভাবে সকল অংশীদার তা জানিনা বলেই লালন করতে পারি না বা চর্চা করার ব্যাপারে মনের ভেতর থেকে চাপ অনুভব করি না। অর্থ্যাৎ আমাদের বিবেককে শানিত করতে পারি না।

শিক্ষা প্রক্রিয়ায় কোন ব্যক্তির অন্তর্নিহিত গুণাবলীর পূর্ণ বিকাশের জন্য উৎসাহ দেয়া হয় এবং সমাজের একজন উৎপাদনশীল সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভ করতে সহায়তা করে। সর্বোপরি, নিজস্ব প্রকৃতি এবং পরিবেশ থেকে নিজেদের সমস্যা সমাধানের যে শিক্ষা তা হলো আমাদের জমিত শিক্ষা। আমাদের নিজস্ব বা সমাজের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং তা সমাধান করার ব্রত তৈরি হয় জমিত শিক্ষায়।

শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে প্রচলিত দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান দোষের নয়। কিন্তু শুধুমাত্র বিদেশী চাহিদা পূরণ করার জন্য যে শিক্ষা তা আমাদের বিশেষ উপকারে লাগার কোন সম্ভাবনা নেই। বিশ্বের বিশেষ জ্ঞান আহরণ করে দেশের সমস্যা সমাধানের সাথে সাথে বিশ্বসমাজে নিজেদের উপস্থাপন এবং নিজেদের ও বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা। যুক্তি আমাদের সমস্যা সমাধানের পদ্ধতিকে শানিত করে।

পরমতসহিষ্ণুতা আমাদেরকে সঠিক পথ বেছে নিতে সহায়তা করে। যুক্তি ও পরমতসহিষ্ণুতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবশ্যিক অনুষঙ্গ। উপরন্তু, মৌলিক জ্ঞানের উৎপত্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় উদ্দেশ্য। কিন্তু যুক্তি ও পরমতসহিষ্ণুতা ব্যতিরেকে মৌলিক জ্ঞানের উৎপত্তি যেমন সম্ভব নয় তেমনি প্রমূল্য বা মূল্যবোধ তৈরি হতেও পারে না।

লিখেছেনঃ অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, সিএসই বিভাগ, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *