কোভিড-১৯ এর সেকেন্ড ওয়েভ ও আনুষঙ্গিক কিছু কথা

কোভিড-১৯ এর সেকেন্ড ওয়েভ ও আনুষঙ্গিক কিছু কথা

ড. ফেরদৌসী বেগম:সারাবিশ্ব জুড়ে চলছে কোভিড-১৯ অতিমারীর সেকেন্ড ওয়েভ। বলে রাখা ভালো কোভিড-১৯ ই পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া প্রথম মহামারী নয়। আবার করোনা ভাইরাস ও মানুষের জন্য নতুন নয়। মানুষ ও অনেক প্রাণীদেহে এই ভাইরাস অনেক আগে থেকেই আছে। মানুষের শরীর জুড়ে আছে এমন মিলিয়ন মিলিয়ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া কিন্তু সবাই রোগ সৃষ্টি করে না।

কিছু আমাদের সুস্বাস্হ্য, হজম, মুড, ইমোশনসহ বিভিন্ন জৈবিক বিষয়গুলোকেও প্রভাবিত করে। শুধুৃমাত্র প্যাথোজেনিক অনুজীবগুলো নিয়েই সমস্যা। যেহেতু আমরা অণুজীব বেষ্টিত পৃথিবীতে থাকি যাদের জম্ম মানুষ সৃষ্টির আগে এবং সংখ্যায় প্রাধান্য বিস্তার করে আছে তাই এগুলোকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নাই।

প্রায় প্রতি একশত বছর পর পরই একটি করে বৈশ্বিক মহামারী ঘটছে। ১৫২০ সালে স্মল পক্স, ১৬২২ সালে প্লেগ (ইটালি), ১৭২০ সালে প্লেগ(ফ্রান্স), ১৮২০ কলেরা, ১৯১৮-২০ ইনফ্লুয়েন্জা। কোভিড -১৯ শুরু হয়েছিলো ২০১৯ এর ডিসেম্বরে চায়না থেকে । ২০২০ সাল জুড়েই চলেছে এর তান্ডব। আর এখন ২০২১ সালে চলছে সেকেন্ড ওয়েভ। সারা বিশ্বই এখন আতন্কিত। বিশ্বায়নের এই সময়ে কোন ভাবেই রোগটি এক জায়গায় স্হির থাকবেনা।

একদেশে সৃষ্ট একটি সংক্রমণশীল মিউটেন্ট ভ্যারিয়েন্ট আরেক দেশে, এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যা সেকন্ড ওয়েভ এর জন্য দায়ী এবং বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক।

কোভিড-১৯ মহামারীর এই সেকন্ড ওয়েভ এ করোনা ভাইরাসের নতুন নতুন ধরন তৈরী হচ্ছে যা অধিক সংক্রমণশীল। সাধারনত প্যথোজেনের যে অংশটুকু রোগ সৃষ্টি করতে পারে তাকে এন্টিজেন বলে। এটি ইমিউনিটিকেও ইনডিউসড করতে পারে। করোনা ভাইরাসের এর ক্ষেত্রে স্পাইক প্রোটিন হলো এন্টিজেন। রোগ সৃষ্টিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রকৃতিকভাবে এ ভাইরাসে প্রতিনিয়ত মিউটেশন ঘটে এবং যদি একাধিক হোস্ট থাকে তাহলে এই মিউটেশন এর রেট আরো বেড়ে যায়।

মিউটেশনের মাধ্যমে ভাইরাসের এই স্পাইক প্রোটিন এর কেমিস্ট্রিতে পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট তৈরী হয়। ২০১৯ থেকে এখন পর্যন্ত শুধু করোনা ভাইরাসের প্রায় চার হাজার ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত হয়েছে এর মধ্যে চারটি ভ্যারিয়েন্ট খুব বেশি সংক্রমণশীল। এগুলো হলো ইউকে ভ্যারিয়েন্ট (বি ১.১.৭), সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট (বি ১.৩৫১), ব্রাজিলিয়ান ভ্যারিয়েন্ট( পি ১) ও ক্যালিফোর্নিয়ান ভ্যারিয়েন্ট( বি ১.৪২৭ ওবি ১.৪২৯)। এদের সবারই স্পাইকে ঘ৫০১ণ নামে একটি কমন মিউটেশন ঘটেছে।

সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টে ঊ ৪৮৪শ ও শ৪১৭ঘ নামে আরো দুটি মিউটেশন দেখা যায়। এদের সংক্রমনশীলতা মুল ভাইরাস এর চেয়ে ইউকে ধরনের ৩০-৫০%, সাউথ আফ্রিকান ধরনের ৫০% এবং ব্রাজিলিয়ান ধরনের ১৫০ গুন বেশি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অবস্হা বেশ নাজুক। ডাবল মিউটেন্ট আতন্ক কাটতে না কাটতেই ওখানে শুরু হয়ে গেছে ট্রিপল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমন। মহারাষ্ট্র, দিল্লী ও পশ্চিমবঙ্গে এর সংক্রমন সবচেয়ে বেশি। পশ্চিমবঙ্গকে এই ট্রিপল মিউটেন্ট এর উৎস ধরা হচ্ছে এই ধরনকে বেঙ্গল ভ্যারিয়েন্ট বলা হচ্ছে যার সংক্রমন ক্ষমতা ৩০০ গুণ বেশি।

বাংলাদেশের পরস্হিতি ও খুবই নাজুক। গত জানুয়ারীতে বি১.১.৭ নামক ইউকে এর নতুন ধরন সনাক্ত হয়। মার্চ পর্যন্ত ইউকে ধরনের প্রাধান্য ছিলো। এপ্রিলে এর সাথে যুক্ত হয়েছে সাউথ আফ্রিকান ধরন। এছাড়া আরো একটি নতুন ধরন বি ১.৫২৫ সনাক্ত হয়েছে যেটি ডেনমার্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া সহ পৃথিবীর ২৪ টি দেশে আছে । এর সাথে আরো যুক্ত হয়েছে ভারতের ট্রিপল মিউটেন্ট আতন্ক। তাই অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বর্তমান পরিস্হিত খুবই ঝুকিপূর্ন।ক্রমাগত মিউটেন্ট ভ্যারিয়েন্ট এর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে রোগলক্ষণেও পরিবর্তন ঘটছে।

প্রথমবারের সংক্রমণে কমন লক্ষন জ্বর, হাঁচি, কাশি এসব প্রকাশ পেতে দশ বারো দিন সময় নিতো। কিন্তু সেকেন্ড ওয়েভের মিউটেন্ট ভ্যারিয়েন্টগুলো মারাত্মক সংক্রমণশীল। কমন লক্ষণগুলোর পরিবর্তে মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, অস্বাভাবিক আচরণ এসব দেখা যাচ্ছে। রুগীর ফুসফুস দ্রুত আক্রান্ত(৩০-৪০%) হতে দেখা যাচ্ছে। আবার ফলস রিপোর্ট ও পাওয়া যাচ্ছে। কারন এই মিউটেন্ট ভ্যারিয়েন্টগুলো খুব দ্রুত নাক থেকে ফুসফুসে চলে যাচ্ছে। ফলে নাকের সোয়াব নিলে রেজাল্ট নেগেটিভ আসছে কিন্তু রোগী আসলে করোনা পজেটিভ। ফলে রোগ সনাক্ত করতে জটিলতা বাড়ছে। টেস্ট রিপোর্ট আসার আগেই ৩-৫ দিনেই রোগীর ফুসফস ৫০% ড্যামেজ হয়ে যাচ্ছে, মৃত্যু হার বেড়ে যাচ্ছে। প্রথমবারে বয়স্ক মানুষ বেশী আক্রান্ত হলেও এবার কিন্তু তরুনদের আক্রান্তের হার বেড়েছে। ক্রমেই জটিল পরিস্হিতি তৈরী হচ্ছে।

এখন প্রশ্ন হলো এই নতুন মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্টগুলো কেন বেশী সংক্রমনশীল? সাধারনভাবে একটি প্যাথোজেন বডিতে প্রবেশ করলে তার এন্টিজেন পোষকের একটি রিসেপ্টর সাইটের সাথে আবদ্ধ হয় এবং এই যুতবদ্ধতা খুবই সুনির্দিষ্ট। শুধুমাত্র একটি এন্টিজেন তার কমপ্লিমেন্টরী রিসেপ্টর সাইটের সাথেই আবদ্ধ হয়।

করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের কমপ্লিমেনটারী রিসেপ্টর হলো অঈঊ২ যা মানব কোষে থাকে। এখন দেখা যাচ্ছে যে সংক্রমনশীল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্টগুলোর স্পাইক প্রোটিনে(ঘ৫০১ণ) কমন পরিবরতন ঘটছে যেটির মানব কোষের রিসিপ্টর সাইটের সাথে আবদ্ধ হওয়ার সক্ষমতা অনেকগুন বেশি যা তাকে অধিক সংক্রমণশীল করছে। আবার সাউথ আফ্রিকান বা ব্রাজিলিয়ান ধরনের স্পাইক প্রোটিনে আরো দুটি মিউটেশন লক্ষ্য করা যাচ্ছে যার কারনে মুল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে এন্টিবডি তৈরী হয়েছিলো সেগুলো ঠিকমতো যুক্ত হতে পারে না বা ভাইরাসটিকে নিস্ক্রয় করতে পার না। ফলে ইতিপূর্বে যারা আক্রান্ত হয়েছে তারাও আাবার আক্রান্ত হতে পারে। সাউথ আফ্রিকান ধরনটি ভ্যক্সিন বা ইতিপূর্বে আক্রান্ত ব্যাক্তির বডিতে তৈরী হওয়া এন্টিবডিকে এড়িয়ে যেতে সক্ষম অর্থাৎ ইতিমধ্যে তৈরী হওয়া এন্টিবডি এদের উপর কাজ করতে পরছেনা না। যার ফলে এই ভ্যারিয়েন্ট গুলো মারাত্মক সংক্রমনশীল হয়ে উঠছে।

এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। প্রতিটি জীবের বা মানুষের নিজস্ব ইমিউন সিস্টেম বা ডিফেন্স মেকানিজম থাকে যা তাকে প্রাকৃতিকভাবে রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্হা দুই ধরনের। একটি জম্মের সাথে প্রাকৃতিকভাবেই লাভ করি আর একটি হলো সারাজীবন ধরে অর্জন করি। এর মধ্যে কিছু আছে আমারা খাদ্যাভাস বা লাইফস্টাইলের মাধ্যমে পাই।

কিছু আর্টিফিশিয়ালি ভ্যাক্সিন এর মাধ্যমে বডিতে দেওয়া হয় যাকে ইনডিউসড ইমমিউনিটি বলে। শরীরে ইমিউন সিস্টেম দুই ধরনের। একটি হলো হিউমোরাল যা রক্তের সিরামে অবস্হিত এন্টিবডির মাধ্যমে ঘটে আর একটি হলো সেলুলার প্রকৃতির যেখানে বিভিন্ন শ্বেত কনিকার কোষসমুহ জড়িত থাকে। কোন প্যাথোজেন বডিতে প্রবেশ করলে অটোমেটিক্যালি এই মেকানিজমগুলো কাজে করে।

শত্রু যদি চেনা থাকে বা বিপদটা কোথা থেকে আসছে সেটা যদি জানা থাকে তাহলে সিক্যুউরিটির ব্যবস্হা নেওয়া সহজ। এক্ষেত্রে নিজের শক্তিটুকু প্রয়োগ করবেন বা পুলিশকে জানাবেন। আর শত্রু অপরিচিত হলে কাবু করতে না পারলে ব্রাশফায়ার এর মতো ঘটনা ঘটতে পারে। বডিও তাই করে। প্যাথোজেন এর সুনির্দিষ্ট এন্টিজেন কোষের রিসিপ্টরে যুক্ত হলে বা কোষে প্রবেশ করলে তাকে লক করার জন্য বিটা-লিম্ফোসাইটিক কোষগুলো প্রচুর পরিমানে এন্টিবডি তৈরী করে। যদি চেনা কেস হয় তাহলে আরোও বেশি তৈরী করে এবং সেগুলো নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বডিতে মজুত থাকে। পরবর্তীতে সেম প্যাথোজেন আসলে তাকে লক করতে পারে। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে বডিতে নিস্ক্রিয় প্যাথোজেন বা এন্টিজেন দিয়ে দেওয়া হয়।

ফলাফলও একই রকম হয়। কিন্তু যখন প্যাথোজেন শক্তিশালী হয় তখন এন্টিবডি দিয়ে কাবু করতে পারে না। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এন্টিবডি দিয়ে কাবু করার পর টি -লিম্ফোসাইটিক সেল বিভিন্ন রকম কমপোনেন্ট যেমন সাইটোকাইনিন সিক্রেট করে প্যাথোজেনকে মেরে ফেলে। যদি প্যাথোজেন অচেনা ও শক্তিশালী হয় তাহলে তাকে কাবু করার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বা ব্রাশফায়ার এর মতো েঘটনা ঘটায়। করোনার ক্ষেত্রে আমরা এরকম ঘটনা দেখি। এক্ষেত্রে ইমিউনিটির সেল টি- লিম্ফোসাইট প্রচুর সাইটোকাইনিন তৈরী করে যাকে আমরা ‘সাইটোক্রম স্ট্রম’ বলি। যার প্রতিক্রিয়ায় আমাদের শ্বাস অঙ্গ বা অন্যান্য অঙ্গগুলো দ্রুত ফেইলর হয় এবং সংগে সংগে যথাযথ সাপোর্টিভ চিকিৎসা না পেলে রোগী মারা যায়।

ভাইরাস ঘটিত রোগে ভ্যাক্সিনই হলো
একমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্হা। আমরা করোনা হলে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খাই। এগুলো সব সাপোর্টিভ চিকিৎসা হিসেবে দেওয়া হয়। কিন্ত ভ্যাক্সিনই একমাত্র ব্যবস্হা যা দিয়ে আপনি ভবিষ্যতে এ রোগকে প্রতিহত করতে পারবেন বা সুরক্ষা দিতে পারবেন এর কোন বিকল্প নেই। অতিমারীর এ সময়টিতে যত দ্রুত বেশি মানুষকে ভ্যাক্সিনাইজড করা যাবে ততই মঙ্গল। অতীতে আমরা দেখেছি ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে গুটি বসম্ত, কলেরা, টাইফয়েড, যক্ষাসহ বহুরোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।

পোলিও, মাম্পস, রুবেলা এগুলোও নিয়ন্ত্রনের পথে। আমাদের জাতীয় টীকাদান কর্মসূচীও বেশ কার্যকরী ও ফলপ্রসূ। আমরা ভাগ্যবান যে সরকার বিনামূল্যে করোনা প্রতিরোধী ভ্যাক্সিনেশন প্রোগ্রাম শুরু করেছেন। যারা এর আওতায় বা বয়সসীমার মধ্যে পড়েন প্রত্যেকের উচিত ভ্যাক্সিন নেওয়া। এই মুহুর্তে আ্যাস্ট্রেজেনিকার ভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে।

এটি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট বা ট্রিপল মিউট্যান্ট বা অতি সাম্প্রতি সৃষ্ট সংক্রমণশীল মিউট্যান্ট গুলোর উপর খুব বেশি কার্যকর হবে না তারপরও দিতে হবে। এটি বডিকে অন্যান্য ধরন থেকে সুরক্ষা দিবে। এক ডোজ ভ্যাক্সিন নিলে এন্টিবডি তৈরী হতে দুই থেকে চার সপ্তাহ সময় নেয়। আবার এর কার্যক্ষমতা কতদিন পর্যন্ত হবে সেটাও জানা নেই। তিনমাস বা ছয়মাস হতে পারে যা আমাদেরকে অতিমারীর এই সময়টুকুকে পার করতে সহায়তা করবে। প্রয়োজনে আমরা আবার সেকেন্ড শট না বুস্টার ডোজ নিবো। তবুও ভ্যাক্সিন নিতে হবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে এই অতিমারী অতিক্রম করতে হলে হারড ইমুউনিটি অর্জন করতে হবে। যেটি অর্জিত হবে যখন কোন এলাকার আশিভাগেরও অধিক মানুষের মধ্যে এই এন্টিবডি তৈরি হবে যা ভ্যাক্সিন ও প্রাকৃতিকভাবে করোনা সংক্রমনের মাধ্যমেই সম্ভব। শুধু ভ্যাকসিন নিলেই চলবে না স্বাস্হ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। তিনটি জিনিস অবশ্যই মানতে হবে মাস্ক পড়া, হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করা এবং জনসমাগম ও জনাকীর্ন স্হান পরিহার করা। হয়তো আগামী চার পাঁচ বছর বা এই দশক আমাদের এগুলো মেনেই চলতে হবে।

তারপরও করোনা ভাইরাস কখনই পৃথিবী থেকে যাবে না। তবে সংক্রমনের এই তীব্রতা কমবে। মিউটেন্ট ভ্যারিয়েন্টগুলো কয়েক জেনারেশন কমপ্লিট করার পর আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে আসবে।ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে শতভাগ না হলেও এটি নিয়ন্ত্রিত হব্। সত্যিই বিশ্বাস করি গভীরভাবে বিশ্বাস করি এ পৃথিবী একদিন শান্ত হবে। কোভিত- ১৯ অতিমারী মুক্ত হবে। মানুষ তার আগের মতোই আবার নিত্য নৈমিত্তিক জীবনে অভ্যস্ত হবে। সেদিন আসবেই আসতেই হবে।

লেখক– প্রফেসর ড. ফেরদৌসী বেগম, অণুজীববিদ, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *