খুবি কর্মকর্তাদের ৮ দফা দাবিতে উপাচার্যের সাথে বাকবিতণ্ডা

খুবি কর্মকর্তাদের ৮ দফা দাবিতে উপাচার্যের সাথে বাকবিতণ্ডা

খুবি প্রতিনিধিঃ কর্মকতাদের প্রারম্ভিক বেতন স্কেল পূণনির্ধারণ, অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন, সকল দপ্তরে প্রধানসহ নন টিচিং পদে কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাধ্যতামূলক করণসহ আট দফা দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শতাধিক কর্মকর্তা নিজ কর্মস্থল ত্যাগ করে উপাচার্যের বাসবসন অভিমুখে যাত্রা করে।

এসময়ে উপাচার্য বেরিয়ে এলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে উত্তেজিত কর্মকর্তাদের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

জানা যায়, ২০০৪ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা এসকল দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করলেও প্রশাসনের আশ্বাসে তারা এতদিন কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করেননি। আজ মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ২ টায় বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফেডারেশনের মুখপাত্রদের নিয়ে হঠাৎ কর্মকতারা কর্মস্থল ত্যাগ করে উপাচার্যের সাথে কথা বলতে তার বাসভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। তবে পরবর্তীতে তারা সেখান থেকে সরে এসে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।

কর্মকর্তাদের দাবি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক এক রকম নীতিমালা হওয়ায় তারা বিভিন্নভাবে বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছেন। উপরোক্ত তিনটি দাবি ছাড়াও ফেডারেশনের ৮ দফা দাবিসমূহ হলো- কর্মকর্তাদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬৫ বৎসরে উন্নীতকরণ,
সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সভায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৪% সরলসুদে কর্পোরেট ঋণ প্রদান, কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা এবং কর্মকর্তাদের অতীত চাকুরীকালে অভিজ্ঞতা গণনা বাস্তবায়ন করণ।

এসময় বিশ্বদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বাসভবন থেকে বেরিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে তাদের শান্তিপূর্ণভাবে সম্মেলন কক্ষে বসে আলোচনার আহ্বান জানান।

একপর্যায়ে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফেডারেশনের মহাসচিব মীর মোঃ মোর্শেদুর রহমান ও ফেডারেশনের অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দদের সাথে উপাচার্যের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে উপাচার্যের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা সম্মেলন কক্ষে আলোচনার জন্য রাজি হয়।

আলোচনা শেষে খুবি অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, এই উপাচার্যের দুই মেয়াদেও আমাদের দাবি দাওয়া পূরণ হয়নি। আমরা আশাবাদি ছিলাম যে এবার তার মেয়াদ শেষের আগেই অন্তত কর্মকতাদের থার্ড আপগ্রেডেশন হবে।

এসময় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফেডারেশনের মহাসচিব মীর মোঃ মোর্শেদুর রহমান বলেন, আমরা তাদের মেহমান। কিন্তু উপাচার্য হিসেবে তিনি উপাচার্য সুলভ আচরণ করেননি। বরং উনি তো মাস্তান পুষছেন।

সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, ফেডারেশনের মুখপাত্র ও বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা যেভাবে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা নিয়ে হৈ-চৈ এবং অস্থিতিশীল করেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রীতিকর। আর দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে গঠিত কমিটি দ্রুত নিষ্পত্তি করলে আমি ব্যাক্তিগতভাবে খুশি হবো।

পরবর্তী মিটিংয়ে দাবি-দাওয়া আদায় না হলে কর্মকর্তারা নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করবে এবং ফেডারেশন তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করবে বলে জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *