খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কারের প্রতিবাদে বশেমুরবিপ্রবিতে মানববন্ধন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কারের প্রতিবাদে বশেমুরবিপ্রবিতে মানববন্ধন

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং তিন শিক্ষককে অপসারণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।এ সময় ২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যহারসহ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয় ।

আজ (শুক্রবার) বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।

মানববন্ধনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল মিলন বলেন, “শিক্ষার্থীদের নায্য আন্দোলনে জড়িত থাকার ‘অপরাধে’ দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং শিক্ষার্থীদের সমর্থনে এগিয়ে আসা শিক্ষকদের বরখাস্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অথচ শিক্ষকদের জাতি গঠনের কারিগর বলা হয়।কেননা একজন আদর্শ শিক্ষকই পারেন তার অনুসারী দের জ্ঞান ও ন্যায় দীক্ষা দিতে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীর মানবতাবোধ কে জাগ্রত করে একজন শিক্ষক কেবল পাঠদান কে সার্থকই করে তোলেন না,অন্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতেও শিক্ষা দেন।সেই শিক্ষকের উপর যখন স্বেচ্ছাচারী নিয়ন্ত্রণের অনৈতিক দমনের চেষ্টা করা হয় তখন সেটা অন্ধকারের দিকেই নির্দেশ করে। তাই আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই ন্যাক্কারজনক,স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং শিক্ষকদের স্বপদে বহাল ও শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল হোসেন বলেন, “আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে তাকালে দেখতে পাবো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষা এবং জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রে পরিণত না করে অর্থ ও বানিজ্যের কেন্দ্রে পরিণত করা হচ্ছে। এছাড়া ইতোপূর্বে অনেকেই দাবি করতো ছাত্র রাজনীতি না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। কিন্তু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা থেকে আমরা দেখছি এই দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বরং ছাত্র রাজনীতি না থাকায় যৌক্তিক দাবি করার পরও শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার হতে হচ্ছে। তাই আমরা অবিলম্বে ২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যহারসহ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে , দুই শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ ও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে সম্প্রতি দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।এছাড়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানানোসহ আন্দোলনের সময় প্রশাসনের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে গত ১৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ৩ শিক্ষককেও অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *