গণস্বাস্থ্যের কিট করোনা ভাইরাস শনাক্তে কার্যকর নয়: বিএসএমএমইউ

গণস্বাস্থ্যের কিট করোনা ভাইরাস শনাক্তে কার্যকর নয়: বিএসএমএমইউ

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তে উপযুক্ত নয় গণস্বাস্থ্যের কিট রোগ শনাক্তে উপযুক্ত নয়। এছাড়া এ কিট দিয়ে মাত্র ১১ থেকে ৪০ শতাংশ রোগীর রোগ শনাক্ত সম্ভব বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কনক কান্তি বড়ুয়া এ তথ্য জানান। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ কিট সহায়তা করবে বলেও তিনি মত দিয়েছেন।

এর আগে সকালে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে গঠিত পারফরম্যান্স কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনা শনাক্তে রেপিড ডট ব্লট কিট উদ্ভাবনের পর ২৬ এপ্রিল তা হস্তান্তরের আয়োজন করে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান তা গ্রহণ করতে যায়নি। এই কিটের অনুমোদন দেয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সরকারের ওষুধ প্রশাসন। তখন তারা বলেছে, সিআরও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (মধ্যস্বত্বভোগী) কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার পর তা তারা অনুমোদন দেবেন।

এর আগে বিএসএমএমইউ সূত্রে বলা হয়েছিল, গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় গঠিত পারফরম্যান্স কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কিটের ব্যাপারে তাদের অবস্থান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হবে।

এদিকে ১৭ মার্চ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ঘোষণা দেয়, নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ মিনিটের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে সক্ষম, এমন একটি টেস্টিং কিট তারা উদ্ভাবন করেছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে এই কিট তৈরি করেন ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ। এর দু’দিন পর কিট উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি।

কিট পরীক্ষা নিয়ে বেশ বিতর্কের পর ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিএসএমএমইউ অথবা আইসিডিডিআর,বিতে ওই কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে অনুমতি দেওয়া হয়।

এরপর ২ মে সেই পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউর ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

এরই মাঝে, ২৬ মে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ওই টেস্ট কিটের ট্রায়ালের জন্য ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহের কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তবে ২৫ মে রাতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছিল সেই উদ্যোগ।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান (উপ-উপাচার্য, শিক্ষা), অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম (উপ-উপাচার্য, প্রশাসন), অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন (উপ-উপাচার্য, গবেষণা ও উন্নয়ন), কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. শাহিনা তাবাসসুম (ভাইরোলজি বিভাগ), অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ (চেয়ারম্যান, মাইক্রোবায়োজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি বিভাগ, অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী (চেয়ারম্যান, ভাইরোলজি বিভাগ) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *