গরিবের ত্রাণ কেড়ে নিল যুবলীগ নেতা

গরিবের ত্রাণ কেড়ে নিল যুবলীগ নেতা

ক্যাম্পাস টুডেঃ

গত ৫ এপ্রিল(রোববার) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর শহর এলাকার বলিদাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানতে পেরে ৮ এপ্রিল(বুধবার) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রাণী সাহা হতদরিদ্র ওই দুই মহিলার বাড়িতে মাধ্যমে ত্রান পৌঁছে দিয়েছেন।

এদিকে গত রোববার বিকালে পৌর শহরের বলিদাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ত্রাণ দেওয়ার স্থানীয় কর্মহীন, হতদরিদ্র পরিবারদের ডাকা হয়। কিছুসময় পর স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার, ইউএনও সুবর্ণা রানী সাহা ও পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ ত্রাণ বিতরণ করতে মাঠে আসেন। পরে তাদের সামনে দেওয়া হয় ত্রাণের প্যাকেট। এরপর ত্রাণ বিতরণের শেষে ছবি তোলা হয়। ত্রাণ বিতরণ শেষে স্থানীয় সাংসদ সহ সকলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সন্ধ্যার দিকে অসহায় কিছু ব্যক্তিদের বলা হয়, আপনাদের নামের তালিকায় নেই। পরে তাদের কাছ থেকে ত্রাণের প্যাকেট কেড়ে নেন বলিদাপাড়ার যুবলীগ নেতা সমীর হোসেন ও বাবরা গ্রামের লিটন আলী।এর মধ্যে যুবলীগ নেতা সমীর হোসেন কালীগঞ্জ পৌর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে বাহাদুর মন্ডলের স্ত্রী সুন্দরী খাতুন জানান, আমার স্বামীর বয়স প্রায় ৮০ বছর। অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। একটা মাত্র ছেলে ভাংড়ির ব্যবসা করতো। আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করি। সেখান থেকে যা পাই সেটা দিয়েই চলি। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জন্য অামরা কাজ করতে না পেরে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছি।

এজন্য গত রোববার স্কুল মাঠে ত্রান নিতে অাসি এবং ত্রাণ ও পায়। কিন্তু ত্রাণ দেওয়ার পর ছবি তুলে আমাদের কাছ থেকে সেই ত্রাণ সামগ্রী কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সমীর নামের একজন চাল কেড়ে নেয়। একটা মেয়ে ছবি তুলছিল। ছবি তোলার পর চাল গাড়িতে করে নিয়ে যায়।

আরেক ভুক্তভোগী বলিদাপাড়া এলাকার সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছোট থাকতেই বাবা মারা গেছে। বড় ভাই ইজিবাইক চালায়। করোনার মধ্যে সেটিও চালাতে পারছে না। আমি ড্রাইভার ছিলাম। সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা সমীর হোসেন ছবি তোলার পর ত্রাণ কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তালিকায় নাম না থাকায় তাদের ত্রাণ নিয়ে অন্য ব্যাক্তিদের দেওয়া হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *