চিকিৎসা না পেয়ে এম্বুলেন্সেই মৃত্যুবরণ করলেন কাজী নজরুলের কলেজ ছাত্রী
![চিকিৎসা না পেয়ে এম্বুলেন্সেই মৃত্যুবরণ করলেন কাজী নজরুলের কলেজ ছাত্রী](https://thecampustoday.com/wp-content/uploads/2020/06/JPEG_20200613_105726_364307464670927007.jpg)
ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক: শ্বাসকষ্ট থাকায় করোনা রোগী ভেবে দুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা না দেওয়ায় অবশেষে মারা গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কবি নজরুল কলেজের ছাত্রী ইসরাত জাহান উষ্ণ।
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত শুক্রবার বিকালে তিনি চিকিৎসার অভাবে মারা যান। তার গ্রামের বাড়িনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার আলমদী ।
পরিবারের অভিযোগ , ইসরাতের শ্বাসকষ্ট দেখে করোনা রোগী ভেবে হাসপাতালগুলোতে তার চিকিৎসা দেয়া হয়নি। শুক্রবার সকাল থেকে চিকিৎসার জন্য ৩টি হাসপাতালে ঘুরে বিকালে তার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়।
তবে ইসরাত জাহান উষ্ণের মৃত্যুর জন্য মাতুয়াইল শিশু মাতৃসদন হাসপাতালের অবহেলাকে দায়ী করেন নিহত উষ্ণের ভগ্নীপতি বুয়েটের সিনিয়র সহকারী লাইব্রেরিয়ান ইসমাইল হোসেন।
তিনি বলেন, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলমদী গ্রামের ওয়াহিদ ভূঁইয়ার মেয়ে ও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান উষ্ণ গত ৬ জুন সিজারের মাধ্যমে মাতুয়াইল শিশু মাতৃসদন হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। পরে ১১ জুন বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। ছাড়পত্র নিয়ে সে সোনারগাঁ উপজেলার আলমদী গ্রামে নিজ বাড়িতে গেলে শুক্রবার সকালে তার প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট, খিচুনি শুরু হয় ও হয়ে মুখে লালা বের হতে থাকে।
দ্রুত তাকে পুনরায় মাতুয়াইল শিশু মাতৃসদন হাসপাতালে নিয়ে যায় তার স্বজনরা। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউর দোহাই দিয়ে কোনো চিকিৎসা দেয়নি। পরে উষ্ণকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সেখানে আইসিইউ না পাওয়ায় তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়ার পথে সে অ্যাম্বুলেন্সে মারা যায়।
নিহত ইসরাত জাহান উষ্ণ বারদী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। বর্তমানে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ কলেজের আওতায় কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।
তবে এই ব্যাপারে মাতুয়াইল শিশু মাতৃসদন হাসপাতালে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।