চেতনার পথিক: সামাজিক চেতনা খুঁজতে গিয়ে সমাজকেই যেন হারিয়ে ফেলা

চেতনার পথিক: সামাজিক চেতনা খুঁজতে গিয়ে সমাজকেই যেন হারিয়ে ফেলা

মো. আশরাফুল আলম আকাশ


২০২০, এক যে আতঙ্কের নাম। চারিদিকে মহামারি করোনার ভয়াল থাবা স্পষ্ট। করোনাকেও হয়তো একদিক ইতিহাসের পাতাতেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।

আগামী প্রজন্ম হয়তো করোনার ভয়াল থাবা সম্পর্কে পাঠ্যবইয়ে পড়বে। কিন্তুু সমাজের প্রতিটি চেতনার থাবা সম্পর্কে কি আগামী প্রজন্ম জানবে?
উত্তর- হ্যা বা না।

উত্তর যেটাই হোক, আসলে আমরা পথিক হিসাবে কোন চেতনাকে নিয়ে বেঁচে আছি। সমাজের আনাচে-কানাচে কত চেতনাবাজ অাছে তার কি হিসাব মিলাই আমরা।

এই যে দেখা গেল, করোনা মোকাবেলা করছে একশ্রেণির স্বেচ্ছাসেবক অাবার একদল দুর্নীতিবাজ। আপনি ভাবেন ২ শ্রেণীর লোকই কিন্তুু মোকাবেলা করছে তাদের নিজ নিজ চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে। শুধু চেতনার মধ্যে বিস্তর ফারাক।

এই ফারাক দেখে অন্য পক্ষ সারাদিন অনলাইন প্লাটফর্ম এ এসে আগুনের ঝড় তুলছে। কারণ বাস্তবিক অর্থে আমাদের চেতনা ওই অনলাইনে সীমারেখায় ঘুরপাক খাচ্ছে কিন্তুু খাঁচা থেকে যেন বের হচ্ছে না।

কিছুদিন দেখলাম, বুড়িগঙ্গার লঙ্কাকাণ্ড। হুম লঙ্কাকান্ডই বটে। ১৩ ঘন্টা পর জীবিত উদ্ধার নিয়ে শুরু হলো অনলাইন ঝড় যেন ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত কেও ছাড়িয়ে যাবে। সেখানের চেতনার বহিঃপ্রকাশ।

শুধু হলো পক্ষে বিপক্ষে বৈজ্ঞানিক ব্যাখা, সাথে উপমহাদেশের সেই ধর্ম নামক অস্ত্রের ব্যবহার তো আছেই হোক সেটা বুঝে বা না-বুঝে। কিন্তুু এ কি হায়! যারা মৃত্যু তাদের তো খবরও নেওয়া হলো না। হুম এটাকেও একটা প্রকার চেতনাই বটে।

এ কি দেখছি, বিসিএস নামক হরিণ এর যে বাচ্চা প্রসব করেছে ২/৩ দিন আগে। সেই সব বাচ্চাদেরও যেন রক্ষা নাই।

শুরু হয়ে গেছে একই সাথে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের শুভেচ্ছা ও ধোলাই।
অনেকের চেতনা অবশ্য বিসিএস নামক পদ্ধতির ভুল কাঠামোর উপর। কেউ কেউ আবার গবেষণাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। কেইবা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর দৌড় প্রতিযোগিতার কাউন্টিং এর দায়িত্বে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।

আসলেই তো অনলাইন ছাড়া এ যুগের আন্দোলন কি সফল হয়। এটাই তো চাবি। আপনি দেখেন না কত কত সফলতা। তারপরও অনলাইন প্লাটফর্ম এর দোষ খুঁজেন। আপনি তো কিছুই বোঝেন না। আপনার জীবনটাই বৃথা। এইচুকু চেতনা থাকা দরকার ছিল।

না থাক সেসব কথা। প্রচারেই কি সব। উপকার করতে চাইলে অনলাইন এ দেখানোর দরকার নাই। মনে থেকে করলেই হলো।কি বলেন।

এবার আসল কথায় কি, এত কিছু পর্যবেক্ষণ এর পর দেখবেন কখন যেন নিজের চেতনাকেই হারিয়ে ফেলেছেন। খুঁজে ফিরছেন চেনা সমাজের সেই চেতনার পথিক হয়ে।

বঙ্কিমচন্দ্রের সেই কপালকুণ্ডলার মতো অাপনার সহযোগী এসে বলবে, ” পথিক তুমি পথ হারিয়েছ।” হায়রে চেতনার পথিক!

লেখকঃ মো. আশরাফুল আলম আকাশ
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *