ছিনতাইয়ে হারানোর পর রিকশা উপহার পেলেন ঢাবি ছাত্রের বাবা

ছিনতাইয়ে হারানোর পর রিকশা উপহার পেলেন ঢাবি ছাত্রের বাবা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে আয়ের একমাত্র উৎস রিকশা হারিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছিলেন আলাউদ্দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মেধাবী ছাত্র রফিকুলের বাবা আলাউদ্দিন মিস্ত্রি নামেই অধিক পরিচিত।

এ ঢাবি শিক্ষার্থীর বাবাকে রিকশা উপহার দিয়ে আবার তার আয়ের উৎসের যোগান করে দিল ‘উই আর বাংলাদেশ (ওয়াব)’।

জানা যায়, রাজধানীতে রিকশা চালিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ করতেন আলাউদ্দিন। ঢাবির ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম রিকশা ছিনতাই হলে বেশ বিপদে পড়ে আলাউদ্দিনের পরিবার। এ রিকশা চালিয়েই ছেলের পড়াশুনার খরচ মেটাতেন আলাউদ্দিন। তবে একরাতে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে হারিয়ে ফেলেন রিকশাটি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে ফেসবুক ভিত্তিক কমিউনিটি গ্রুপ ওয়াব এর। এর সূত্র ধরে গ্রুপের সদস্যদের অর্থায়নে আলাউদ্দিন মিস্ত্রিকে একটি নতুন রিকশা উপহার হিসেবে দিয়েছে ওয়াব।

ওয়াব এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, রোববার (১১ অক্টোবর) বিকেলে কাফরুল থানা চত্বরে আলাউদ্দিন মিস্ত্রির হাতে রিকশার চাবি তুলে দেওয়া হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম আলাউদ্দিনের কাছে রিকশার চাবি হস্তান্তর করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উই আর বাংলাদেশের অ্যাডমিন আলামিন ভুঁইয়া, খালিদ সাইফুল্লাহ্, কাওসার আহমেদ, জান্নাত সাথী প্রমুখ।

এডিসি ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম থেকে যে ভালো কিছু করা সম্ভব তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ওয়াব। এগিয়ে যাক ওয়াব। একই সঙ্গে তিনি শিক্ষার্থী রফিকুলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা কামনা করেন।

ওয়াবের অ্যাডমিন খালিদ সাইফুল্লাহ্ বাংলানিউজকে বলেন, ফেসবুকে কোনো ইস্যু দেখে শুধুমাত্র শেয়ার করেই থেমে থাকা উচিত নয়। উদ্যোগ নিয়ে সমাধান করতে হবে। যেটি করছে ওয়াব। আমরা আমাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্য ও সীমাবদ্ধতার মাঝেও এ ধরনের সামাজিক কাজে এগিয়ে আসতে চাই। আমরা চাই অন্যান্যরাও এগিয়ে আসুক।

ওয়াবের প্রতিষ্ঠাতা এস এম আকবর বলেন, আমরা পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়া মানবিক ও সামাজিক কাজের জন্য দারুণ একটা প্ল্যাটফর্ম হতে পারে সেটাই আমরা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিচ্ছি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক নেতিবাচক কিছু আছে এবং থাকতে পারে। কিন্তু ভালোটা খুঁজে নিয়ে সেটার প্র্যাকটিস করাটাই আমাদের দায়িত্ব হওয়া উচিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের একে অপরের পাশে সাহায্যে দাঁড়ানো উচিত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *